সোনিবার হেলাই ভরা দিনটা – আমার সারাদিনের কাহিনি

আমার নিজের সারাদিনের কাজ এইডা। কেও কপি কইরা নিজেদের আইডিতে পোস্ট কইরেন না । ধন্যবাদ।

সোনিবার আসলেই মনটা ফুরফুরা লাগে। কোন স্কুল নাই, কোন পড়ার চাপ নাই। বই-পুস্তক দিয়া ছুটি মাইরা আমি এক্কেবারে রিলাক্স মোডে থাকি।

 

সকাল সকাল ঘুম থিকা উঠার তেমন চাপ নাই। তবুও বাসার মধ্যে আম্মার ডাকা-ডাকি শুনলেই একটু আধটু নড়াচড়া শুরু হয়। উঠেই আগে হাগু-মুতো সেরে লই, তারপর পানিতে মুখ দুই-তিনবার চুবাই দিয়া উঠে খাইতে বসি। আম্মা এইদিন খিচুড়ি না হয় ডিম-ভাজি আর পরটা দেয়। আমি খাই আর মোবাইলে রিল চেক করি।

 

খাওন শেষ কইরা একটু বিছানায় গড়াগড়ি, পিছে টিভি খুলে রাখি – ‘ডোরেমন’, ‘শিনচ্যান’ এসব দেখে হাসি পাই। ছোট ভাইটা পাশেই লাফায়, আমি একটু ঝাড়ি দেই – “শান্ত থাহো তো, দেখি দিতাছি!”।

 

বেলা বাড়ার লগে লগে বন্ধু বান্ধবের কল আসে – “ওই বের হমু নি?”। মা আগে কয় – “ঘর ঝাড়ু দিয়া, থালা ধুইয়া, একটু কাজ কইরা তবেই বাইর হইবা।” তাই কিছুটা কাজ করতেই হয়। মাঝে মাঝে পাংখা মুছি, আবার বালিশে কভার লাগাই।

 

দুপুরে বাসার সবাই একসাথে খায়। আব্বা থাকলে গল্প হয়, আর না থাকলে আমি-আম্মা-ভাই মিলে চুপচাপ খাই। খাওন শেষেই আবার মোবাইল হাতে ধরি – ফেসবুকে কে কী দিছে, কে কয়টা রিয়েল দিছে, হেইসব দেখি।

 

বিকালটা একদম আলাদা। বাইরাই যাই, কেউ হলে মাঠে ফুটবল বা ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু। নাহলে চায়ের দোকানে চা, চানাচুর আর গল্প।

 

সন্ধ্যায় আবার বাসায় ফিরি, মুখ ধুইয়া টিভির সামনে। নাটক হইতে পারে বা ইউটিউবে ভিডিও দেখি। আম্মা ডাকে – “আয় খাইয়া ল”। খাইয়া তারপর কিছুক্ষণ বইসা থাকি।

 

রাইতে শুইতে যাওনের আগে একেবারে চুপচাপ মোবাইল হাতে – গেম খেলি, গান শুনি বা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেই – “সোনিবার মানেই শান্তি”।

 

এইভাবেই সোনিবারটা কইরা যায় – না পড়ালেখার চিন্তা, না স্কুলের হাঁকডাক। একেবারে নিজস্ব মুডে হেলাই হেলাই কাটে।


Hridoy Sarker

85 blog messaggi

Commenti