রাতে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
রাতে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে নিয়মিত খেজুর খেলে যে যে বিশেষ উপকারগুলো পাবেন তা হলো-
রাতে খেজুর খেলে আমাদের দেহের পেশী শক্তি বৃদ্ধি হয়।
খেজুর শরীরের জয়েন্টের ব্যথা কমায় ও রক্তস্বল্পতা কমাতে সাহায্য করে।
রাতে খেজুর খেলে আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
নিয়মিত রাতে খেজুর খেলে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
রক্তের হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা বাড়ায়।
অনিদ্রার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
হার্টের নানা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হৃদরোগের এর ঝুঁকি কমায়।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য প্রসব বেদনা নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।
আমাদের শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
নিয়মিত রাতে পরিমাণমতো খেজুর খেলে আপনার স্বাস্থ্য ও শরীরের নানারকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তাই আমরা রাতে খেজুর খেলে আমাদের শরীরে যে যে প্রয়োজনে কাজে আসবে তা উপরের বিষয়গুলো থেকে আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে বিস্তারিত তুলে ধরছি-
দেহের পেশী শক্তি বৃদ্ধি করে
বিশেষজ্ঞদের (Recommended Dietary Allowance) মতে, ৬০ কেজি ওজনের একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ৪৮ গ্রাম প্রোটিন খেলে সবচেয়ে ভালো হয় এবং ৭৫ কেজি ওজনের একজন সক্রিয় ব্যক্তির প্রতিদিন ৬০-৯০ গ্রাম প্রোটিন নিতে পারবেন। আমাদের দেহ ও স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকতে হলে রাতে দুধের সাথে খেজুর খেলে প্রোটিনের ঘাটতি অনেকটা দূর হবে । এতে থাকা প্রোটিন আমাদের হাড়ের ও পেশির শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রাতে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে এটি ভালো ফলাফল দেয়।খেজুর দেহের পেশী শক্তি বৃদ্ধি করে
জয়েন্টের ব্যথা ও রক্তস্বল্পতা কমাতে সাহায্য করে
খেজুর খেলে শরীরের জয়েন্টের ব্যথা ও রক্তস্বল্পতার সমস্যা সাড়াতে সাহায্য করে। এটি লৌহ ও ক্যালসিয়ামের একটি সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় রাতের খাবার হিসেবে আপনি খেজুর খেতে পারেন। এই লৌহ শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, যা রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত রোগীর জন্য উপকারী। আপনি রাতে ঘুমানোর আগে মাত্র ৩টি খেজুর গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার পাবেন কেননা, খেজুর দুধে ভিজিয়ে রাখলে এর ক্যালসিয়ামের পরিমাণ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এটি কেবল হাড় মজবুত করবে না, বরং হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে জয়েন্টের ব্যথাও কমিয়ে দেবে।
রাতের শহরের আলো
শহরের সন্ধ্যা নামতেই আলো জ্বলে ওঠে। শহরটা যেমন জীবন্ত হয়, ঠিক তেমনি তার গভীরে লুকানো থাকে অনেক অজানা গল্প। রাহাত ছিল সেই শহরের এক তরুণ ফটোগ্রাফার, যে রাতের আলোকে ছবি তোলার বড়ই শখ রাখত।
একদিন রাতের ভিড়ে সে একটি পুরনো গলিতে গিয়ে ছবি তুলতে গেল। গলিটা ছিল ধূসর আর নিঃসঙ্গ। হঠাৎ সে দেখতে পেল এক বাচ্চা মেয়ের মুখে হাসি, যে বাতি হাতে পথ দেখাচ্ছে পথচারীদের।
মেয়েটির নাম ছিল নুসরাত। সে বলল, “আমি রাতের শহরের আলো। আমি শহরের কাঁধে বসে মানুষের স্বপ্ন দেখি আর তাদের পথ দেখাই।”
রাহাত মুগ্ধ হয়ে গেল। সে নুসরাতের সঙ্গে রাতভর ঘুরে বেড়াল, শহরের লুকানো সৌন্দর্য তুলে ধরল তার ক্যামেরায়। রাতের অন্ধকারের মাঝে তারা খুঁজে পেল আলো আর আশা।
সেই রাত থেকে রাহাত বুঝল, শহরের আলো শুধু বাতি নয়, মানুষের ভালোবাসা আর স্বপ্নের প্রতীক। জীবনেও আলোর সন্ধান করতে হয়, অন্ধকারে হারিয়ে না গিয়ে।
#sifat10
হারানো দিনের পায়রা
শহরের মাঝখানে ছিল ছোট্ট একটা পার্ক। পার্কের এক কোণে পায়রা ছিল, নাম ছিল মিঠু। মিঠু ছিল অনেকদিন ধরে ওই পার্কে বসবাসকারী পায়রা, যাকে সবাই ভালোবাসত। ছোট বড় সবাই তাকে দেখলে খুশি হতো।
একদিন হঠাৎ পার্কে নতুন নির্মাণ কাজ শুরু হলো। মিঠুর বসবাসের জায়গাটা ধ্বংস হওয়ার শঙ্কা হলো। পায়রাটি ঘরছাড়া হয়ে পড়ল। সবাই চিন্তিত হয়ে পড়ল, কিন্তু মিঠু তার আশা হারায়নি।
একদিন বাচ্চারা পার্কে জড়ো হলো, মিঠুকে নতুন ঘর দিতে। তারা কাঠ, পাতা দিয়ে ছোট্ট একটা আস্তানা বানালো। মিঠু আবার ফিরে এলো পার্কে, উড়ে বেড়াতে লাগলো।
শহরের ছোট্ট এই গল্পটা সবার মনে ভালোবাসার জায়গা তৈরি করল। হারানো কিছু ফিরে পাওয়ার আনন্দটাই আসল জীবনের সুর।
#sifat10
মেঘের আড়ালে সপ্ন
তানজিলা ছিল এক তরুণী লেখিকা। ছোটবেলায় তার স্বপ্ন ছিল আকাশ ছুঁয়ে যাওয়ার। প্রতিদিন সে বসত তার ছাদের ধারে, মেঘের গা ঢাকা দিয়ে রূপকথার গল্প শুনত। কিন্তু জীবনের বাস্তবতা তাকে অন্য পথে নিয়ে গিয়েছিল।
কয়েক বছর পর, যখন সে শহরের একাকিত্বে হারাতে বসেছিল, একদিন সে পুরোনো এক ক্যাফেতে গিয়ে বসল। সেখানে তার চোখে পড়ল এক ছোট্ট কাগজের টুকরো, যেখানে লেখা ছিল, “মেঘের আড়ালে সপ্ন লুকিয়ে থাকে, শুধু খোঁজার সাহস দরকার।”
তানজিলা মনে মনে ভাবল, সত্যিই কি এমন? সে ফেরাতে শুরু করল তার হারানো সপ্নের খোঁজ। সে লেখার নতুন অধ্যায় শুরু করল, যেখানে সে মেঘের আড়ালে লুকানো গল্পগুলো বর্ণনা করল।
তার লেখাগুলো ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠল, মানুষ মুগ্ধ হল তার ভাবনায়। তানজিলা বুঝতে পারল, জীবনে যত বাধাই আসুক, মেঘের আড়ালে সপ্নের আলো কখনো নিভে না।
#sifat10