হালকা ধাক্কা খেলাম, এই মেয়েকে নিয়ে হানিমুন? কিভাবে সম্ভব? মিথু চোখে মুখে কিছুটা হাসি দেখতে পেলাম। সবাই হয়ত ভেবেছে ও খুব খুশি, কিন্তু আমি জানি, এ হাসি খুব ভয়ংকর। রুমে ফিরে চিন্তায় পরে গেলাম, আব্বু যেহেতু বলেছে ফাঁকি দেওয়ার কোনো উপায় নেই। কিন্তু একে নিয়ে তো মহা মুশকিল। আমার জীবন এই রকম বিচ্ছু আর গুণ্ডি মেয়ে দেখি নি। রুমে এসেই শুরু করল,
-তোর সাথে আমি হানিমুন যাব না!
-কেন গো?
-কেন মানে?
-থাম তুই, তোর জন্য আমার এই অবস্থা।
-কিছু একটা কর না!
-আব্বু বলেছে। কিছু করার নেই। ব্যাগ গুছিয়ে নে।
-আম্মু আমাকে নিয়ে যাও।
বলতে না বলতে মামীর দুঃখিত এখন তো সে আমার শ্বাশুড়ি। দিলেন ফোন, যদিও ফোন মিথুর, ধরলাম আমি,
-হ্যালো মিথু!
-না, অভ্র বলছিলাম! মামী।
-কেমন আছিস বাবা?
-ভালো মামী। আপনার মেয়ে অনেক ভালো রেখেছে।
পাশ থেকে মিথিলা এমন ভাবে তাকাচ্ছে মনে হয় তার দৃষ্টিতে ভষ্মীভুত করে ফেলবে।
-তা বাবা, এখন তো একটু আম্মা ডাকতে পারিস
-হ্যাঁ অভ্যাস করে নিব।
-তোরা নাকি কালকে হানিমুনে যাচ্ছিস?
-আপনার মেয়ে যাবে না! নিন মিথুর সাথে কথা বলুন।
.
ওর হাতে ধরিয়ে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম। ছাদে চলে গেলাম। আকাশ টা খানিকটা মেঘলা, বৃষ্টি নামতে পারে। ভালোই হল, অনেক দিন বৃষ্টিতে ভেজা হয় না। দোলনায় বসতে না বসতেই বৃষ্টি নামতে শুরু করল, যাকে বলে কুকুর বিড়াল বৃষ্টি, গা ছেড়ে দিলাম। ভালোই লাগছিল, যতক্ষন না পর্যন্ত আমার গুণ্ডা বউ টা এসে হানা দিল।
-জানিস, অনেক দিন পর আজকে বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে হল, [মিথু]
-কেন?
-ইচ্ছে ছিল, বর কে নিয়ে কাঁক ভেজা ভিজব। তবে তোর মত ক্যাবলাকান্ত দিয়ে হবে না।
-তোর মত পিচ্চির সাথে ভেজার কোনো ইচ্ছে নেই
বলে নিচে চলে আসলাম। যাকে নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছে না, তার সাথে হানিমুনে যেতে হচ্ছে।
হে উপরওয়ালা, এই ছিল তোমার মনে..???
~~~~~~চলবে~~~~~~