AFace1 AFace1
    #face #bangladesh #aface1 #aface #quotes
    Pesquisa avançada
  • Login
  • Registrar

  • Modo noturno
  • © 2025 AFace1
    Sobre • Diretório • Contato • Privacidade • Termos de Uso • Reembolso • Work • Points and Payments • DMCA

    Selecionar Linguagem

  • Arabic
  • Bengali
  • Chinese
  • Croatian
  • Danish
  • Dutch
  • English
  • Filipino
  • French
  • German
  • Hebrew
  • Hindi
  • Indonesian
  • Italian
  • Japanese
  • Korean
  • Persian
  • Portuguese
  • Russian
  • Spanish
  • Swedish
  • Turkish
  • Urdu
  • Vietnamese

Assistir

Assistir Carretel Filmes

Eventos

Procurar Eventos Meus eventos

Blog

Procurar artigos

Mercado

Produtos Mais recentes

Páginas

Minhas Páginas Páginas curtidas

Mais

Fórum Explorar popularne posty Empregos Ofertas Financiamentos
Carretel Assistir Eventos Mercado Blog Minhas Páginas Ver todos

Descobrir Postagens

Posts

Usuúrios

Páginas

Grupa

Blog

Mercado

Eventos

Fórum

Filmes

Empregos

Financiamentos

hanif ahmed Romeo
hanif ahmed Romeo  
9 C ·Traduzir

হালকা ধাক্কা খেলাম, এই মেয়েকে নিয়ে হানিমুন? কিভাবে সম্ভব? মিথু চোখে মুখে কিছুটা হাসি দেখতে পেলাম। সবাই হয়ত ভেবেছে ও খুব খুশি, কিন্তু আমি জানি, এ হাসি খুব ভয়ংকর। রুমে ফিরে চিন্তায় পরে গেলাম, আব্বু যেহেতু বলেছে ফাঁকি দেওয়ার কোনো উপায় নেই। কিন্তু একে নিয়ে তো মহা মুশকিল। আমার জীবন এই রকম বিচ্ছু আর গুণ্ডি মেয়ে দেখি নি। রুমে এসেই শুরু করল,
-তোর সাথে আমি হানিমুন যাব না!
-কেন গো?
-কেন মানে?
-থাম তুই, তোর জন্য আমার এই অবস্থা।
-কিছু একটা কর না!
-আব্বু বলেছে। কিছু করার নেই। ব্যাগ গুছিয়ে নে।
-আম্মু আমাকে নিয়ে যাও।
বলতে না বলতে মামীর দুঃখিত এখন তো সে আমার শ্বাশুড়ি। দিলেন ফোন, যদিও ফোন মিথুর, ধরলাম আমি,
-হ্যালো মিথু!
-না, অভ্র বলছিলাম! মামী।
-কেমন আছিস বাবা?
-ভালো মামী। আপনার মেয়ে অনেক ভালো রেখেছে।
পাশ থেকে মিথিলা এমন ভাবে তাকাচ্ছে মনে হয় তার দৃষ্টিতে ভষ্মীভুত করে ফেলবে।
-তা বাবা, এখন তো একটু আম্মা ডাকতে পারিস
-হ্যাঁ অভ্যাস করে নিব।
-তোরা নাকি কালকে হানিমুনে যাচ্ছিস?
-আপনার মেয়ে যাবে না! নিন মিথুর সাথে কথা বলুন।
.
ওর হাতে ধরিয়ে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম। ছাদে চলে গেলাম। আকাশ টা খানিকটা মেঘলা, বৃষ্টি নামতে পারে। ভালোই হল, অনেক দিন বৃষ্টিতে ভেজা হয় না। দোলনায় বসতে না বসতেই বৃষ্টি নামতে শুরু করল, যাকে বলে কুকুর বিড়াল বৃষ্টি, গা ছেড়ে দিলাম। ভালোই লাগছিল, যতক্ষন না পর্যন্ত আমার গুণ্ডা বউ টা এসে হানা দিল।
-জানিস, অনেক দিন পর আজকে বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে হল, [মিথু]
-কেন?
-ইচ্ছে ছিল, বর কে নিয়ে কাঁক ভেজা ভিজব। তবে তোর মত ক্যাবলাকান্ত দিয়ে হবে না।
-তোর মত পিচ্চির সাথে ভেজার কোনো ইচ্ছে নেই
বলে নিচে চলে আসলাম। যাকে নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছে না, তার সাথে হানিমুনে যেতে হচ্ছে।
হে উপরওয়ালা, এই ছিল তোমার মনে..???
~~~~~~চলবে~~~~~~

Curtir
Comentario
Compartilhar
Sifat 10
Sifat 10
9 C ·Traduzir

শেষ আলো

রোজার মাস। শহরের গলি-নালা, ব্যস্ত রাস্তা, হাটবাজার সবাই আলোকিত। কিন্তু শহরের এক কোণে, ছোট্ট একটা ঘরে বসে আছে মাহি। তার বয়স মাত্র আট বছর, কিন্তু চোখে ঝলসে ওঠে অসাধারণ সাহস।

মাহির বাবা অনেকদিন ধরেই অসুস্থ, আর মা দুবেলা দুমুঠো রোজগার করে সংসার চালায়। বিদ্যুৎ চলে যায় প্রায়ই, তাই মাহি মোমবাতি জ্বালিয়ে পড়ে বসে স্কুলের পড়াশোনা করে।

একদিন রাতে বিদ্যুৎ গ্যাস নষ্ট হয়ে যায়। মাহি ঘরের অন্ধকারে একা বসে থাকে। হঠাৎ বাইরে থেকে দূরে দূরে বাজতে শুরু করে মসজিদের আজানের সুর। মাহির মনে হয়, যেন সেই সুরই তার ভিতর অন্ধকার দূর করছে।

পরদিন সকালে মাহি বিদ্যুৎ ফিরে না আসার কথা জানিয়ে স্কুলে যায়। ক্লাসরুমে শিক্ষকদের কেউ কেউ হতাশা নিয়ে কথা বলেন। কেউ বলেন, “আজ তো বিদ্যুৎ নেই, পড়া হবে না।” কিন্তু মাহি উঠে দাঁড়িয়ে বলে, “আলো না থাকলেও আমাদের মন আলোকিত রাখতে হবে। বিদ্যুৎ শুধু বাতি, আসল আলো হলো আশা।”

সেই কথাটা পুরো স্কুলে ছড়িয়ে পড়ে। সবাই মাহির সাহস দেখে অনুপ্রাণিত হয়। সেইদিন থেকে স্কুলে একটা নতুন নিয়ম হয়—বিদ্যুৎ না থাকলেও পড়াশোনা চলবে।

মাহি বুঝতে পারে, জীবনের সবচেয়ে বড় আলো আসে মন থেকে। বিদ্যুৎ হারালে হারায় না আশার আলো।

#sifat10

Curtir
Comentario
Compartilhar
Sifat 10
Sifat 10
9 C ·Traduzir

অজানা সঙ্গী

সুমন ছিলেন শহরের ব্যস্ত কর্মজীবী। অফিসের চাপ, ট্রাফিক, জনসমুদ্রের ভিড়—সবকিছু তার জীবনকে ক্লান্ত করে তুলতো। একদিন রাতে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাসে উঠে দাঁড়িয়ে ছিল। চারপাশে হাজারো মানুষের গর্জন, কেউ কথা বলতে চায় না।

তখনই হঠাৎ তার পাশে একজন বৃদ্ধ বসেন। মাথায় সাদা টুপি, চোখে ভেসে ওঠা অন্ধকার। সুমনকে দেখেই বৃদ্ধ হাসেন, “ছেলে, তুমি কি কখনো ভেবেছো, এই জীবনটা শুধু আমাদের জন্য নয়?”

সুমন চুপ করে থাকে। বৃদ্ধের চোখে যেন হাজারো গল্প জমে আছে।
“আমি বহু বছর ধরে এই বাসে যাই। দেখেছি অনেক মানুষ আসে, অনেক যায়। কেউ কখনো কারো সঙ্গী হয় না। কিন্তু মাঝে মাঝে, তুমি যদি মন দিয়ে দেখো, জীবন তোমাকে অন্যরকম সঙ্গী দেবে—যিনি তোমাকে বুঝবে, যিনি তোমার অজানা দুঃখ শোনাবে।”

সুমন অবাক হয়ে বৃদ্ধকে দেখে। বাস থামে, বৃদ্ধ নেমে যায়। তার পেছনে তাকিয়ে সুমনের মনটা কেমন যেন প্রশান্ত হয়। সে বুঝতে পারে, জীবনের একাকিত্ব যতই বড় হোক না কেন, কেউ একা নয়। কেবল চোখ খুলে দেখতে হবে জীবনের অন্যরকম সঙ্গীকে।

#sifat10

Curtir
Comentario
Compartilhar
Sifat 10
Sifat 10
9 C ·Traduzir

পুরোনো ক্যামেরা

রাফি ছিল এক সময়ের দারুণ আলোকচিত্রী। হাতে ছিল একখানা পুরোনো ক্যামেরা—মিরর ভাঙা, লেন্সে আঁচড়, কিন্তু তবুও ছবিতে যাদু। শহরের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে সে ছবি তুলতো—অচেনা মানুষ, চায়ের দোকান, রোদে ঘুমানো ভিখারি, বৃষ্টিভেজা কাঁচ।

লোকজন বলত, “এ ক্যামেরায় ছবি না, গল্প ধরে রাখো তুমি!”
কিন্তু জীবন তো গল্পের মতো চলে না। একদিন রাফির মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতাল, ওষুধ, রিপোর্ট—সব কিছু সামলে ক্যামেরাটা তাকে বিক্রি করে দিতে হয়। সেই পুরোনো সঙ্গীটাকে হাতছাড়া করার সময় সে চোখ লুকিয়ে কাঁদে।

এরপর রাফি আর ছবি তোলে না। একটা ছোট ডেলিভারির চাকরি নেয়—বাইকে করে প্যাকেট পৌঁছায়, মাথায় হেলমেট, মুখে স্তব্ধতা।

একদিন সন্ধ্যায় একটা অর্ডার যায় গুলশানের এক ফ্ল্যাটে। দরজাটা খোলে এক বৃদ্ধ। চোখে মোটা চশমা, গলায় ক্যামেরা ঝুলছে। রাফির হাতে প্যাকেট তুলে দিতে গিয়ে চোখ পড়ে ক্যামেরার ওপর।

চমকে উঠে বলে, “এই ক্যামেরাটা তো...!”
বৃদ্ধ হেসে বলেন, “হ্যাঁ, এটা এক লোকের কাছ থেকে কিনেছিলাম কয়েক বছর আগে। দারুণ ছবি তুলতো ছেলেটা। ক্যামেরার ভেতর এখনো তার তোলা কিছু ছবি ছিল, আমি রেখে দিয়েছি।”

রাফি থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে। “আপনি কি তার নাম জানেন?”
“না, তবে ক্যামেরার ভেতর একটাই চিঠি ছিল—‘আমার চোখ দিয়ে যদি কেউ কখনো জীবন দেখে, বুঝবে—দুঃখও সুন্দর হয়।’”

রাফির চোখে জল এসে যায়। সে কাঁপা কণ্ঠে বলে, “চাচা, সেই ছেলেটা আমি। আমি এই ক্যামেরাটার সঙ্গেই বাঁচতাম একসময়।”
বৃদ্ধ চুপ করে থাকে। তারপর ধীরে ধীরে ক্যামেরাটা গলা থেকে খুলে রাফির হাতে দিয়ে বলেন, “জীবনের গল্প থামিয়ে রাখা ঠিক না বাবা। আবার শুরু করো।”

সেই রাতেই রাফি তার ছাদের ওপর বসে, পুরোনো ক্যামেরায় আকাশের ছবি তোলে। প্রথমবার দীর্ঘদিন পর তার মনে হয়—সে আবার বাঁচছে।

#sifat10

Curtir
Comentario
Compartilhar
Ariful Hasanrakib
Ariful Hasanrakib    Criou um novo artigo
9 C ·Traduzir

আমার জীবনের গল্প পর্ব ৬২ | #কৃষি

আমার জীবনের গল্প পর্ব ৬২
Educação

আমার জীবনের গল্প পর্ব ৬২

অনলাইনের কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে নেওয়া না সম্পূর্ণ আমার জীবনের গল্প তুলে ধরছি
Curtir
Comentario
Compartilhar
avatar

MD Nafis islan

Ygfff
Curtir
· Resposta · 1748241769

Deletar comentário

Deletar comentário ?

Sifat 10
Sifat 10
9 C ·Traduzir

শেষ ভাড়া

সেলিম ভাই পেশায় একজন রিকশাচালক। বুড়িগঙ্গার পাড়ে ছোট্ট একটা টিনের ঘরে থাকেন স্ত্রী আর ছোট মেয়েকে নিয়ে। সারা দিন শহরের গলি-গলি ঘুরে রিকশা চালান, রাতে ফিরে ক্লান্ত শরীরটা মাটিতে বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

দিন শেষে আয়টা কখনো হয় ৩০০ টাকা, কখনো ১৫০। তার মধ্যেও মেয়ের জন্য দু’টা বিস্কুট আর স্ত্রীর জন্য একটা ছেঁড়া শাড়ির স্বপ্ন বুকে লালন করেন।

একদিন বিকেলে বসুন্ধরার সামনে এক তরুণী দাঁড়িয়ে। চোখে জল, হাতে ব্যাগ। সেলিম ভাই কাছে গিয়ে বলেন, “আপা, কোথায় যাবেন?”
মেয়েটি বলে, “আপনি কি আজ আমাকে কোথাও না নিয়েই একটু ঘুরিয়ে আনবেন?”
সেলিম ভাই অবাক। “মানে?”

মেয়েটি কাঁপা গলায় বলে, “আজ আমার জন্মদিন। কাউকে বলতে পারিনি। কাউকে চাইও না। শুধু চেয়েছি কেউ একটু সময় দিক। আমি শুধু বসে থাকতে চাই—নীরবে।”

সেলিম ভাই কিছু না বলে মাথা নাড়েন। মেয়েটা রিকশায় বসে, আর তারা ঘুরে বেড়ায়। ধানমণ্ডি লেক, নীলক্ষেত, রমনা—সন্ধ্যার বাতিতে আলোকিত শহরের বুক চিরে চলে রিকশাটা। কেউ কিছু বলে না। কেবল মেয়েটার চোখে-মুখে বিষাদের এক প্রশান্তি।

রাত ৯টা বাজে। মেয়েটি নামতে চায়। পকেট থেকে ২০০ টাকা বের করে দেয়।
সেলিম ভাই হাত তোলেন, “না আপা, আজ এই ভাড়াটা আমি দিচ্ছি। আপনাদের মতো মানুষই তো আমাদের মতো গরিবদের মনটা মানুষ করে তোলে। আপনার জন্মদিনটা অন্তত একটা উপহারের মতো থাকুক।”

মেয়েটি কিছু বলে না। কেবল দীর্ঘসময় সেলিম ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। তারপর খুব আস্তে বলে, “আপনি জানেন না, আমি আজ নিজের প্রাণটা নিতে চেয়েছিলাম। আপনি যদি না আসতেন... তাহলে আমি থাকতাম না।”

রিকশা ধীরে ধীরে চলে যায় অন্ধকার রাস্তায়। সেলিম ভাই পিছনে তাকিয়ে দেখেন—মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে। মাথা নিচু, চোখে জল।
তিনি রিকশার ঘন্টা বাজান—টিং টিং। যেন বলছেন—“তুমি একা নও।”


#sifat10

Curtir
Comentario
Compartilhar
Sifat 10
Sifat 10
9 C ·Traduzir

খেলার পুতুল

নিশা ছোটবেলা থেকেই পুতুল খেলতে ভালোবাসতো। তবে তার পুতুলগুলো সবই ছেঁড়া-ফাটা, রাস্তার ধারে পাওয়া কিংবা পুরনো দোকান থেকে কেনা। মা কাজের বুয়া, বাবা কখনো ছিলই না। গরিব ঘরের মেয়ের পুতুল কেনার স্বপ্ন ছিল বিলাসিতা।

একদিন স্কুলের এক বন্ধুর জন্মদিনে নিশা যায়। উপহার কিনে দেয়ার সামর্থ্য ছিল না, তাই সে একটা পুরনো পুতুল পরিষ্কার করে কাগজে মুড়ে নিয়ে যায়। ওখানে গিয়ে দেখে—জাঁকজমক পার্টি, খেলনা-গিফট, কেক, বেলুনে ভরা রাজকীয় আয়োজন। কিন্তু হঠাৎ তার সেই পুতুল দেখে সবাই হাসতে শুরু করে—“এইটা কী? ভিখারির উপহার?”
নিশা অপমান সয়ে মুখ নিচু করে বেরিয়ে আসে। পুতুলটা ছুঁড়ে ফেলে দেয় ডাস্টবিনে।

এরপর থেকে নিশা আর পুতুলে হাত দেয়নি। এমনকি নিজের স্বপ্ন, ভালোবাসাও একে একে ভেঙে ফেলতে শুরু করে।

বছর দশেক পর—নিশা এখন সফল এক খেলনা ডিজাইনার। নিজেই বানায় পুতুল, খেলনা, ছোটদের ঘরের সাজ। তার কোম্পানির নাম—“নিশার পুতুল”। এখনো দেশের নানা জায়গা থেকে চিঠি আসে—“আপনার বানানো খেলনা আমার মেয়েকে হাসিয়েছে”, “বছরের পর বছর পর একটা পুতুল তাকে কথা বলা শিখিয়েছে।”

একদিন তার কোম্পানিতে এক মহিলা চাকরির আবেদন নিয়ে আসে—চোখে চশমা, মুখে চিন্তার রেখা। নিশা ফাইল দেখে চিনতে পারে—এই সেই মেয়েটি, যার জন্মদিনে অপমান সয়ে পুতুলটা ফেলে দিয়েছিল সে।

মেয়েটি কাঁপা গলায় বলে, “আপনার বানানো খেলনাগুলো আমার মেয়ের খুব প্রিয়। আমি এখানে একটা ছোট কাজ চাই...”

নিশা একটু হেসে বলে, “আপনার মেয়ে নিশ্চয় অনেক পুতুল পায়?”
“হ্যাঁ,” মহিলা বলে, “কিন্তু ও বলে—এই পুতুলগুলোতে প্রাণ আছে। আগেরগুলো শুধু খেলনা ছিল।”

নিশা চুপ করে যায়। তারপর নিজের ডেস্ক থেকে একটা সুন্দর পুতুল তুলে বলে, “এটা ওর জন্য। বলবেন—এই পুতুল কিন্তু কারো ফেলে দেওয়া নয়। এটা জীবনের গল্প থেকে বানানো।”


#sifat10

Curtir
Comentario
Compartilhar
Sifat 10
Sifat 10
9 C ·Traduzir

চিঠি

রুহুল হোসেন একসময় ছিলেন ডাকপিয়ন। তিন দশক ধরে গ্রামে গ্রামে হেঁটে চিঠি বিলি করেছেন। এখন বয়স হয়েছে, হাঁটতে কষ্ট হয়, চোখও ঝাপসা। চাকরি নেই, কিন্তু অভ্যাস যায় না—প্রতিদিন সকালে তিনি উঠে পুরনো ব্যাগটা ঘাড়ে নিয়ে দরজার পাশে বসেন, যেন আজও কেউ ডাকবে—"চাচা, আমার চিঠি আইছে?"

একদিন দুপুরে গ্রামের এক ছেলে, নাম রাকিব, শহর থেকে বেড়াতে এসেছে। সে মোবাইল, ই-মেইল, চ্যাটেই অভ্যস্ত। ডাকঘর তার কাছে একরকম জাদুঘরের মতো। রাকিব যখন দেখে রুহুল চাচা চিঠির ব্যাগ নিয়ে বসে আছেন, সে মজা করে বলে, “চাচা, এখন তো কেউ চিঠি লেখে না। এই ব্যাগটা নিয়ে কী করেন?”
রুহুল চাচা হাসেন, “এই ব্যাগে সময় থাকে বাবা। অনেক কান্না, ভালোবাসা, আশার গল্প... সব জমা থাকে এইখানে।”

রাকিব অবাক হয়ে চুপ করে যায়। বিকেলে তার মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে যায়। সে রাতে একটা চিঠি লেখে—
“প্রিয় রুহুল চাচা,
আপনার গল্প শুনে মনে হলো, চিঠি লেখা আসলে হারিয়ে যাওয়া এক রকম মায়া। আমি আবার সেই মায়ার ছোঁয়া পেতে চাই।
ভালোবাসা নিও। — রাকিব।”

পরদিন সকালে রাকিব চিঠিটা লাল খামে ভরে, চুপিচুপি রুহুল চাচার দরজার নিচ দিয়ে ঢুকিয়ে দেয়।
রুহুল চাচা চিঠিটা দেখে কাঁপা হাতে খামটা ছিঁড়ে পড়েন। চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ঝরে। বহু বছর পর কেউ তাকে চিঠি পাঠালো।

তিনি সেই চিঠি বুকের কাছে চেপে ধরেন। পরদিন সকালে, গ্রামের একমাত্র চায়ের দোকানে গিয়ে গর্ব করে বলেন, “কাল আবার চিঠি আইছিল আমার নামে! এখনো মানুষ মনে রাখে আমায়!”

চায়ের দোকানের লোকজন অবাক হয়ে চুপ করে যায়। কেউ কিছু বলে না, কিন্তু তাদের চোখে একটা হাসি খেলে যায়—একজন বৃদ্ধ ডাকপিয়নের খুশির দাম হয় না।

#sifat10

Curtir
Comentario
Compartilhar
Sifat 10
Sifat 10
9 C ·Traduzir

ভাঙা ঘড়ি

মফস্বল শহরের একটা নির্জন রাস্তার পাশে একটা ছোট দোকান। সেখানে পুরনো ঘড়ি বিক্রি হয়, আর তাদের মেরামতও করা হয়। দোকানের মালিক মিঞা সাহেব, বয়স সত্তরের কাছাকাছি। ছোট্ট এই ঘড়ির দোকানটাই তার জীবন।

প্রতিদিন বিকেলে তিনি নিজের কাঠের চেয়ারে বসেন, আর পুরনো ঘড়িগুলোর মধ্যে চোখ বুলিয়ে যান। কোনটা চলেনা, কোনটার কাঁটা থেমে আছে বহু বছর ধরে, কিন্তু তবুও তিনি সেগুলো সাজিয়ে রাখেন যেন এরা তার আপনজন।

একদিন দুপুরবেলা এক যুবক দোকানে ঢোকে। চোখে সানগ্লাস, কানে হেডফোন, হাতে স্মার্টফোন। চারপাশে তাকিয়ে বলে, “এইসব ঘড়ি বিক্রি করেন? এগুলো তো এখন কেউ নেয় না!”
মিঞা সাহেব হেসে বলেন, “এই ঘড়িগুলো সময়ের চেয়ে বড় কিছু মনে রাখে।”

ছেলেটি হেসে উঠে, “সময় মানেই তো এগিয়ে চলা! আপনার ঘড়িগুলো তো থেমে আছে।”
মিঞা সাহেব আলনা থেকে একটা ছোট্ট গোল ঘড়ি নামান। কাঁচে ধুলো জমা, কাঁটা নড়ছে না। তিনি বলেন, “এই ঘড়িটা আমার স্ত্রীর দেওয়া। বিয়ের দিন উপহার পেয়েছিলাম। ওর মৃত্যুর দিনও এটা হাতে ছিল আমার। সময় থেমে গেলেও স্মৃতি থামে না বাবা।”

ছেলেটি একটু থেমে যায়। এমন গভীর কথা তার কানে খুব একটা পড়ে না। তবু সে মৃদু কৌতূহলে জিজ্ঞেস করে, “আপনি কি এখনো সময় দেখেন এটা দেখে?”
“না, সময় তো এখন ফোনেই দেখা যায়। কিন্তু এই ঘড়িটা আমাকে বলে—ও আমাকে কখন ভালোবেসেছিল, কখন প্রথম চুমু খেয়েছিল, কখন একসাথে হাত ধরে হাঁটতাম। এই থেমে যাওয়া কাঁটা আমার কাছে জীবনের সবচেয়ে চলমান সময়।”

বলে ঘড়িটা বুকের কাছে চেপে ধরেন তিনি। চোখের কোণে একটু জল ঝলমল করে।

ছেলেটি আর কিছু না বলে দোকান থেকে বেরিয়ে যায়। কিছুদূর গিয়ে হেডফোনটা খুলে, ফোনটা পকেটে ঢুকিয়ে দেয়। তার মনেও কেমন যেন একটা নীরব বাজনা বেজে ওঠে—ভাঙা ঘড়ির শব্দে।


#sifat10

Curtir
Comentario
Compartilhar
MR Limon Ahmed
MR Limon Ahmed
9 C ·Traduzir

-সব হাসিতে খুশি থাকে না, কিছু হাসি দিয়ে মানুষ দুঃখ লুকায়..!!🥲💔🦋

image
Curtir
Comentario
Compartilhar
Showing 3745 out of 10773
  • 3741
  • 3742
  • 3743
  • 3744
  • 3745
  • 3746
  • 3747
  • 3748
  • 3749
  • 3750
  • 3751
  • 3752
  • 3753
  • 3754
  • 3755
  • 3756
  • 3757
  • 3758
  • 3759
  • 3760

Editar oferta

Adicionar camada








Selecione uma imagem
Exclua sua camada
Tem certeza de que deseja excluir esta camada?

Rever

Para vender seu conteúdo e postagens, comece criando alguns pacotes. Monetização

Pague pela Wallet.

Alerta de pagamento

Você está prestes a comprar os itens, deseja prosseguir?

Peça um reembolso