তাহারা অন্যান্য মানুষদিগের উপকার সাধন করিতে সক্ষম হইয়াছেন এবং দোয়া, কালাম ও তাবিজের মাধ্যমে অশেষ উপকার করিতেছেন। অনেক সময় দেখা গিয়াছে যে, বহু লোকে কঠিন বিমারে আক্রান্ত হইয়া ডাক্তারী মতে অনেক টাকা পয়সা খরচ করিয়া আরগ্য না হইয়া হতাশাগ্রস্ত হইয়া শেষ পর্যন্ত একজন বুজুর্গ আলেমের একটু পানি ও তৈল পড়া বা তাবিজ ব্যবহার করিয়া তাহারা আরগ্য লাভ করিয়াছেন। এইরূপ উদাহরণ হাজার হাজার পাওয়া যায়। যেমন জ্বিন-পরীর আছর বা যাদুটোনা ও বাণের আছর ডাক্তার দ্বারা কখনো ফল পাওয়া যায় না ইহা শুধু আল্লাহর কালামের দ্বারা বুজুর্গ লোকের মাধ্যমে ঝাড়-ফুক ও তাবিজের দ্বারা আরগ্য লাভহইয়া থাকে।
আল্লাহ তাআলার অসীম রহমতে যে কোন আমলের ফল অবশ্যম্ভাবী। চেষ্টা সাধনা কখনো বিফল হয় না, যদি উহার ফলাফল সম্পর্কে দিলের
নক্শে সোলেমানী তাবিজের কিতাব
ভিতর পূর্ণ বিশ্বাস থাকে। পূর্ণ বিশ্বাস না থাকিলে আমলের মাধ্যমে কোন ফল লাভ হয় না। আমল কারীকে কতকগুলি শর্তাবলী পালিত করিতে হয়, উহা নিম্নে উল্লেখ করা হইলঃ-
১। আমলকারী সর্বদা সত্য কথা বলিবে, মিথ্যা বলিবে না, শয়তানী ধারণা হইতে অন্তরকে পাক রাখিতে হইবে, সর্বদা হালাল খানা খাইতে হইবে। আমল করিবার সময় উদ্দেশ্যের নিয়ত করিয়া অন্তরে উহার খেয়াল রাখিয়া মনোযোগী হইতে হইবে। নতুবা উহার দ্বারা কোন উপকার হইবে না।
২। আমলকারী যে উদ্দেশ্যে যতদিন আমল করিবে, তখন কোন জীব-জন্তুর গোস্ত খাইবে না। এবং মাছ, ডিমও ভক্ষণ করিবেনা, পিয়াজ ও রশুন না খাওয়া উত্তম। এই বস্তুগুলি হইতে আমলকারী বিরত থাকিলে তাহার আমলে উপকার আশা-করা যায়।
.. ৩। আমালিয়াতের জন্য সময় নির্দ্ধারণ করা একান্ত জরুরী। যেমন যে কোন আমল প্রথম দিন জালালী বা জামালী সময়ের ভিতরে আরম্ভকরিতে দৈনিক ঐ সময়ের ভিতরেই সেই আমল করিবে। সময়ের হেরফের করিলে ক্ষতির সম্ভাবণা থাকে।
৪। আমলের জন্য স্থান নির্দিষ্ট করিয়া লইতে হইবে। জরুরী কারণ
৮। যখন কোন আলেম আমলের যাকাত আদায় করিয়া থাকে, তখন তাহার জন্য কর্তব্য হইবে যে প্রতিদিন সাত বার অথবা ১২বার কিংবা তাহার চেয়ে আরো বেশী পরিমাণে উহা পাঠ করা। খেয়াল রাখিতে হইবে উহা যেন কোন দিন বাদ না যায়। যাকাতের নিয়মাবলী সম্মুখে বর্ণনা করা হইবে।
৯। আমল করিবার জন্য বুজুর্গ আলেম বা পীর মাশায়েখের এজাজত একান্ত জরুরী। এজাজত ছাড়া আমল করিলে ক্ষতি হইবে। অতএব আমল কারীকে অবশ্যই এজাজত লইতে হইবে।
আমল বা তাবিজ লিখিবার দিন-ক্ষণ
প্রতি মাসকে দশ দিন করিয়া তিন ভাগে ভাগ করা হইয়াছে। প্রথম দশ দিন-রুজী রোজগার, ধনদৌলত বৃদ্ধি, উদ্দেশ্য সফল এবং বিজয় লাভের জন্য। দ্বিতীয় দশদিন-প্রেম, ভালবাসা, মহরৎ ও অবাধ্যকে বাধ্য করিবার জন্য। তৃতীয় দশদিন-শত্রুর শত্রুতার জন্য। সকল আমলকারীকে আমল করিবার সময় উপরোক্ত দিনক্ষণের প্রতি লক্ষ রাখিতে হইবে।
রোগমুক্তি, রুজী বৃদ্ধি এবং অপরকে বাধ্য করা বা বশীভূত করার
লাভের জন্য। দ্বিতীয় দশদিন-প্রেম, ভালবাসা, মহরৎ ও অবাধ্যকে বাধ্য করিবার জন্য। তৃতীয় দশদিন-শত্রুর শত্রুতার জন্য। সকল আমলকারীকে আমল করিবার সময় উপরোক্ত দিনক্ষণের প্রতি লক্ষ রাখিতে হইবে।
রোগমুক্তি, রুজী বৃদ্ধি এবং অপরকে বাধ্য করা বা বশীভূত করার জন্য সোমবারে আমল বা তাবিজ লিখিবে। ধন-দৌলত বৃদ্ধির বা উন্নতির জন্য বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ছাড় শনিবার, রবিবার ও শঙ্গলবার আমল করিবে। আর জবান বন্ধ করিবার জন্য রবিবার ও বুধবার আমল করিবে।
তাবিজের প্রকারভেদ
তাবিজ বিশারদগণ সমস্ত তাবিজকে চার ভাগে ভাগ করিয়াছেন যথা-
১। আতশী, ২। আবী, ৩। বাদী ও৪। খাকী।
প্রথম প্রকার আতশী তাবিজ ঐসকল তাবিজকে বলা হয় যাহা আগুণের মধ্যে ফেলিয়া দেওয়া হয় কিংবা চুলার মধ্যে বা পার্শ্বে গাড়িয়া 2025/05/25 রায় দেয়। 07শুকল এই সুকল তাবিজ বিজয়, জবান বন্ধ কিংবা নিদ্রা বন্ধের জন্য
হইয়া থাকে।
কোন আমল প্রথম দিন জালালী বা জামালী সময়ের ভিতরে আরম্ভকরিতে দৈনিক ঐ সময়ের ভিতরেই সেই আমল করিবে। সময়ের হেরফের করিলে ক্ষতির সম্ভাবণা থাকে।
৪। আমলের জন্য স্থান নির্দিষ্ট করিয়া লইতে হইবে। জরুরী কারণ ব্যতীত স্থান পরিবর্তন করা উচিৎ হইবে না। প্রথম হইতে শেষ পর্যন্ত একই বিছানার উপর আজিফা পড়িতে হইবে, স্থান পরিবর্তন করিবে না।
৫। যখন যেই আমল শুরু করিবে উহা চন্দ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের পূর্বে অর্থাৎ চৌদ্দ তারিখের পূর্বে শুরু করিবে।
৬। যে সময় আমল করিতে মনস্থ করিবে, তখন সর্বাগ্রে তিনবার অথবা সাতবার ছার ফুঁক দিবে। তারপর শাহাদত অঙ্গুলী দ্বারা বসার স্থানের চতুর্দিকে রেখা টানিয়া বন্ধকী দিয়া লইবে। তারপর যথা নিয়মে আমল করিবে।
৭। যখন যেই এছেম বা দোয়া পাঠ করিবার এরাদা করিবে যদি উহার প্রথম অক্ষর এবং পাঠকারীর নামের প্রথম অক্ষর জালালী অথবা জামালী হয় তবে তাহার ফলাফল শিঘ্রই ফলিবে।
2025/05/25 073
Enter text