সত্যের দাম
এক ছোট্ট গ্রামে ছিল একজন দরিদ্র কাঠুরে, নাম তার রফিক। রফিক দিনমজুরির কাজ করত, কিন্তু সবসময় সৎ ও পরিশ্রমী ছিল। তার একটাই স্বপ্ন—নিজের একটা ছোট্ট ঘর করা, যেখানে সে আর তার স্ত্রী শান্তিতে থাকতে পারবে।
একদিন রফিক কাজ করতে গিয়ে পথের ধারে একটা সোনার আংটি পেল। আংটিটা দেখে তার চোখ চকচক করল, মনে হলো যেন ভাগ্য তার দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে। সে ভাবলো, "এ আংটি বিক্রি করলে আমি ঘর বানাতে পারব, আর জীবন বদলে যাবে।"
কিন্তু একদম প্রথমে সে ভাবলো, "আমি যদি এটাকে থানায় জমা করি? কে জানে কেউ হয়তো হারিয়েছে। সত্যি মালিক খুঁজে পেলে সে খুশি হবে।"
রফিক নির্ধারিত দিনেই থানায় গেল এবং আংটিটা জমা দিল। পুলিশের কর্মকর্তা অবাক হয়ে বললেন, "তুমি সত্যি খুব সাহসী এবং সৎ। আমাদের গ্রামে এমন কেউ কমই থাকে।"
দিন কেটে গেল। একদিন থানায় এক ধনী লোক এল এবং ঘোষণা করল, "আমি আমার হারানো সোনার আংটিটা খুঁজছি। আমি যে কারও যে সৎ মানুষের কাছে এটা থাকলে, আমি তাকে পুরস্কৃত করবো।"
থানা অফিসাররা রফিকের কথা বলল। ধনী লোক এসে রফিককে দেখে বলল, "তুমি আমার আংটি ফিরিয়ে দিয়েছো? সত্যিই তুমি মহান মানুষ!"
তিনি রফিককে বড় পুরস্কার দিলেন এবং তার স্বপ্নের মতো ছোট্ট ঘর বানিয়ে দিলেন।
রফিক কিন্তু বলল, "সত্য বলেই আমাকে এই সম্মান এনে দিয়েছে। এখন আমি বিশ্বাস করি, সত্যিই সৎ কাজের কোনো মূল্য আছে।"
গ্রামের সবাই রফিককে দেখল আর শিখল যে সত্য এবং সৎতা কখনো হারায় না, বরং মানুষের জীবনে মূল্যবোধ এনে দেয়।
এই কিস্সা শেখায়—সত্য ও সৎতা জীবনের সবচেয়ে বড় ধন, যার মূল্য কখনো কমে না। আর এই মূল্য কখনোই টাকা-পয়সায় মাপা যায় না।
#sifat10