ভালো থাকো—এই কথাটা শুনতে যত সহজ, বাস্তবে ততটাই কঠিন। অনেকে ভাবে, কষ্ট বলা সহজ… কিন্তু কাকে বলবো? কেউ তো শোনে না। একসময় খুব আপন যাদের ভাবতাম, তারাই আজ সবচেয়ে দূরের। যখন মনের ভিতর ভাঙনের শব্দ শুনি, তখন হাসতে হয় যেন কিছুই হয়নি। কারণ সবাই বলে, "তুমি তো শক্ত একজন মানুষ!" কিন্তু ভিতরে আমি ধ্বংস।
❞
আমি কখনোও বলবোনা তোমাকে ভালোবাসি হৃদয় ডাকছে তোমার কাছে আসি শুধু আমার চোখের দিকে একবার তাকিয়ে দেখ চোখ কি বলে?
তখনই বুঝবে তুমি কতটা ভালোবাসি তোমায় আমি।
আমি কখনোও বলবোনা তোমাকে ভালোবাসি কাছে এসো একবার তোমায় দেখি।
শুধু কান দিয়ে নিরবে আমার কথা শুনো শ্রুতি কেমন, কন্ঠ কি বলে? তখনই বুঝবে তুমি কতটা ভালোবাসি তোমায় আমি।
আমি কখনোও বলবোনা তোমাকে ভালোবাসি কাছে এসো মন খুলে হাসি।
শুধু আমার হাতে একবার স্পশ করে দেখ কাপছে তোমার হৃদয় খানি আর তখনই বুঝবে তুমি কতটা ভালোবাসি আমায় তুমি।
✨ পর্ব ৫: সাহসী স্বীকারোক্তি
কয়েকদিন ধরে রাহাতের ভেতর অদ্ভুত এক অস্থিরতা। মিমের সঙ্গে যতই সময় কাটছে, ততই তার বুকের ভেতর যেন ঝড় উঠছে। প্রতিদিন মিমের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মনে হয়, আর কত লুকিয়ে রাখা সম্ভব? আজ না হয় সব বলে দেয়া যাক।
সেদিন বিকেলটা ছিল রোদ ঝলমলে। কলেজ শেষে মিমকে মেসেজ পাঠিয়ে জানাল— “আজ তোমায় একটা কথা বলবো। কলেজের পেছনের গাছতলায় আসো।”
মিম জবাব দিল— “ঠিক আছে।”
গাছতলার ছায়ায় দাঁড়িয়ে রাহাত বারবার হাতের আঙুল কচলাচ্ছিল। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। মনে হাজার রকম ভাবনা— মিম কি রাগ করবে? না, মিমও কি একই অনুভব বয়ে নিয়ে চলছে?
অবশেষে মিম এল। নরম লাল কামিজ, খোলা চুল, চোখে সেই চেনা উজ্জ্বলতা।
— “কী ব্যাপার? এমন সিরিয়াস মুখে ডাকলে কেন?”
মিম বসতে যেতেই রাহাত হাত বাড়িয়ে তাকে থামিয়ে বলল—
— “না… আজ বসে নয়। দাঁড়িয়েই শোনো। আর… কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলবে না।”
মিম একটু অবাক হয়ে তাকাল। রাহাত একগাল নিঃশ্বাস নিয়ে শুরু করল—
— “তুমি আমার জীবনে আসার পর থেকে সব বদলে গেছে। তোমার হাসি দেখলে মন হালকা হয়ে যায়। তুমি কথা না বললে পুরোদিন কেমন ফাঁপা ফাঁপা লাগে। তোমার চোখে তাকালে নিজেকে খুঁজে পাই। আমি জানি না ভালোবাসা আসলে কীভাবে হয়… কিন্তু আমি জানি, আমি তোমায় ছাড়া কিছু ভাবতে পারি না।”
কথা শেষ করে সে মিমের দিকে তাকাল। গলার স্বর কেঁপে উঠল—
— “তোমায়… ভালোবাসি মিম। খুব ভালোবাসি।”
কয়েক সেকেন্ড যেন পুরো পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গেল। বাতাসও থমকে। মিম মুখ নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিল। রাহাত ভাবল হয়তো মিম কষ্ট পেয়েছে। হয়তো বন্ধুত্বটাও আজ ভেঙে যাবে।
কিন্তু হঠাৎ মিম তার চোখ তুলে তাকাল। চোখে জল। ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসি।
সে আস্তে করে বলল—
— “তুমি জানো… সেই প্রথমদিন তোমার করিডোরে দাঁড়িয়ে থাকা দেখে আমারও মনে হয়েছিল, এই ছেলেটার সঙ্গে গল্পটা অন্যরকম হবে। আমি জানতাম না, কীভাবে বলবো… কিন্তু এখন যখন বললে… আমি আর লুকাবো না।”
এক ধাপ এগিয়ে এসে মিম আলতো করে রাহাতের হাতটা ধরে বলল—
— “তোমাকেও ভালোবাসি। অনেক।”
রাহাত অবাক হয়ে মিমের হাতের উষ্ণতা টের পেল। তার চোখ ভিজে উঠল। বুকের ভেতর যে ঝড় ছিল, তা যেন থেমে গিয়ে মধুর স্রোত হয়ে বয়ে গেল।
সেদিনের শেষ রোদে দাঁড়িয়ে দুজন একে অপরকে দেখছিল। চারপাশের পৃথিবী মুছে গিয়ে যেন শুধু দুজনেই ছিল।
এক সাহসী স্বীকারোক্তি তাদের বন্ধুত্বের বাঁধন ছিঁড়ে এক অটুট ভালোবাসায় গেঁথে দিল।
✍️ পর্ব ১: প্রথম দেখা
কলেজ ক্যাম্পাসের আকাশটা সেদিন নীল ছিল বটে, তবে মেঘেরও লুকোচুরি চলছিল। বসন্তের বিকেল। রাহাত ঠিক বুঝতে পারছিল না— কেন যেন আজকের অনুষ্ঠান তাকে এত টানছে। শার্টের বোতাম ঠিক করে আয়নায় একবার তাকিয়ে আবার বেরিয়ে পড়ল সে।
কলেজে আজ বসন্ত উৎসব। মাঠের মাঝখানে মঞ্চ, চারপাশে রঙিন বেলুন আর ফুলে সাজানো। বিভিন্ন বিভাগ থেকে ছেলেমেয়েরা নানা ধরনের গান, কবিতা, নাচ পরিবেশন করছে। দর্শকসারিতে বসে রাহাত মুগ্ধ হয়ে দেখছিল একের পর এক অনুষ্ঠান। হঠাৎ সঞ্চালক ঘোষণা করল— “এবার মঞ্চে আসছেন ইংরেজি বিভাগের মিম আক্তার, একটি রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করবেন।”
মিম মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে যেন হাওয়া বদলে গেল। মিমের পরনে হলুদ-সাদা শাড়ি, কপালে টিপ, চোখে লাজুক কিন্তু দৃঢ় চাহনি। মাইক হাতে নিয়ে যখন সে গান শুরু করল— “আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে…” তখন রাহাত যেন স্থির হয়ে গেল। এত সুমধুর কণ্ঠ সে আগে শোনেনি। গান শেষ হলে চারদিক থেকে করতালি উঠল। মিম মুচকি হেসে সবাইকে অভিবাদন জানাল।
রাহাতও হাততালি দিতে দিতে লক্ষ্য করল মিমের দিকেই তার চোখ আটকে গেছে। মিম মঞ্চ থেকে নামার সময় রাহাত আরেকবার দেখল— মিমের সেই হাসি যেন তার বুকের ভেতর এক অদ্ভুত কাঁপন তুলে দিল।
সেদিন অনুষ্ঠান শেষে বন্ধুদের সাথে গল্প করতে করতে মিমের আরেক ঝলক পাওয়ার আশায় রাহাত মাঠের চারপাশে ঘুরছিল। হঠাৎ করিডোরের কোণে মিমকেও দেখল সে। মিম বন্ধুর সাথে হাসতে হাসতে যাচ্ছিল। রাহাত চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। মিম হঠাৎ তার দিকে তাকিয়ে এক মুহূর্তের জন্য থেমে গেল। চোখাচোখি হলো। মিম লাজুকভাবে আবার মুখ ফিরিয়ে নিল।
রাহাতের মুখে অজান্তেই হাসি ফুটল। ভেতরে ভেতরে সে বুঝে গেল— আজ কিছু একটা শুরু হলো। হয়তো এটাই সেই শুরু, যার জন্য এতদিন অপেক্ষা করছিল।
সেদিন রাতে ঘুমাতে গিয়ে রাহাত অনেকক্ষণ ছটফট করল। মিমের হাসি, চোখ, কণ্ঠস্বর বারবার তার মনে ভেসে উঠল। একবার মনে হলো— “কীভাবে কথা বলবো? ও কি কথা বলবে?” আবার মনে হলো— “না, এমনিই থাকুক। ধীরে ধীরে।”
সেই রাতেই সে স্থির করল— মিমকে আর এভাবে দূর থেকে দেখে যাওয়া নয়। তাকে জানতেই হবে।
বিকেলের বসন্ত হাওয়ায় জন্ম নিল এক নতুন প্রেমের গল্প। মিম হয়তো জানত না, সে আজ কারো হৃদয়ে বসন্ত এনে দিয়েছে।
কি? পর্ব ২ (বন্ধুত্বের শুরু) লিখে দেব? বলো! 🌸
Fariya:হ্যা🙂 আর সেই গল্প কারো নাহ শুনাই ভালো.. শুনলে কেউ হয়ত মজা নিব নয়ত কোনে একদিন সে গল্প থেকে আপনাকে বড় বড় কথা বলবো
Sajib BARMON:তোমাকে ভুলে যেতে পারলে আর কাউকে কখনো ভালোবাসি বলবো না😅❤️🩹
@🦋⁂༄𝓢ǻ𝑘ℹ𝑏༄⁂🦋:সাল'টা হবে (২০৬৫) বারান্দায় চেয়ারে চা খেতে খেতে হটাৎ তার কথা মনে পড়ে যাবে|
যৌবন কালের একটা'ই বড় আপসোস বৃদ্ধকালে ও কাটেনি| হাতটা বুকের ডান দিকে রেখে কাঁদতে কাঁদতে বলবো| ছিলো এক রূপবতী গুনবতী মায়াবতী| সে (২০২১)সালের আমার চোখে দেখা জেনারেশনের শ্রেষ্ঠ নারী| যাকে আমি নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ছিলাম| কিন্তু আপসোস সেই নারী আর আমার হয়'নি.!❤️🩹
এই নাও।(জেনিয়া)
-কি এটা (তামীম)
-অামার বিয়ের কার্ড (জেনিয়া)
-ও,ভালো (স্বাভাবিক ভাবে) বললো তামীম।
-ভালো মানে, অামার বিয়ের কার্ড দেখে তোমার কষ্ট লাগছেনা? (জেনিয়া)
-না,তোমার বিয়ের খবরে অামি অারো খুশি হয়েছি। এখানে কষ্টেও পাওয়ার কি অাছে। (তামীম)
-সত্যিই তোমার কষ্ট হচ্ছেনা? (জেনিয়া)
-সত্যিই হচ্ছে না।অাবারো স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর দিলো তামীম।
তামীমের মুখে স্বাভাবিক ভাবে উত্তর শুনে মনটা খারাপ করে চলেগেলো জেনিয়া। তামীমের কাছ থেকে এমনটা অাশা করেনি জেনিয়া।। জেনিয়া ভেবে ছিলো জেনিয়ার হাতে বিয়ের কার্ড দেখে তামীম তাকে বিনয়ের সুরে বলবে। কি বলছো এইসব। অামাদের এতদিনের সম্পর্কের কি হবে। কিন্তু না তামীম এইসব কিছুই বললো না।।তাতে খুব কষ্ট পেয়েছে জেনিয়া।অন্যদিকে তামীমের কোন কাজে মন বসছে না কিছুদিন যাবৎ ।।ঠিকমত পড়তে পারেনা, ঠিকমত টিউশনিতেও যেতে পারেনা।অাজ এক ছাত্রীর মা ফোন করেরে বলেছে ঠিকমত না গেলে অন্য টিচার নিয়ে নিবে।।
কি করবে বুঝতে পারছিনা। হঠাৎ করে জেনিয়া এমন কথা বলবে এটা তামীম কখনোই কল্পনা করতে পারেনি।।তাদের এতদিনের সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবে।। বিয়েতে রাজি হওয়ার অাগে এতটুকুও ভাবলো না জেনিয়া।।
কেনো ভাবলোনা অামি তো অাগে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেইনি।। সেই তো দিয়েছে।। কি দরকার ছিলো এত অভিনয়ের।। ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চটাই বসতাম।। সবসময় উসকো খুসকো ভাবে থাকতাম।। কি দরকার ছিলো এত ভালোবাসার অামাকে।। তাহলে অাজ ভালোবেসে কেনো চলে যাচ্ছে।।
তাকে থামানোর মত ক্ষমতা অামার নেই।। গরীব কৃষক বাবার সন্তান অামি।।অার জেনিয়া বড় লোক বাবার একমাত্র মেয়ে।। এদিকে অামার দিকে চেয়ে অাছে অামার পুরো ফ্যামিলি।। না অামাকে অার এভাবে বসে থাকলে চলবেনা।।তাহলে অামার ফ্যামিলির কি হবে।। না অাজ থেকেই অাবার সবকাজে মন দিবো।। মন থেকে জেনিয়ার স্মৃতি সব বাদ দিবো।। এখন নিজের ফ্যামিলির চিন্তা ছাড়া অার কিছুই মাথায় রাখবোনা।।এই মামুন তামীমের কোন খুজ জানো। না তো জেনিয়া। তার সাথে অামার কোন যোগাযোগ নেই।। প্লিজ মামুন বলোনা তামীম কোথায় অাছে।। তার সাথে অামার প্রায় একমাস যাবৎ কোন যোগাযোগ নেই, প্লিজ বলো অামি তোমার পায়ে ধরছি।। তামীমের সাথে একটু কথা বলিয়ে দাও।।ওকে এই নাও এটা তামীমের নতুন নাম্বার 01756**** বাট অামার কথা বলিও না।।অাচ্ছা ঠিক অাছে বলবোনা। ধন্যবাদ তোমাকে।।ক্রিং ক্রিং
হ্যালো অাসসালামু অালাইকুম।
-ঐ পাশে নীরব।। হ্যালো কে বলছেন।। কি অাশ্চয্য কথা বলছেন না কেনো।।এই কুত্তা বান্দর বিলাই হনুমান কোথায় তুমি।। কত জায়গাতে তোমায় খুজেছি কোথাও পাইনি ।। ঐ দিনের পর থেকে প্রতিটা মুহূর্ত তোমাকে খুজে বেরিয়েছি।।
জেনিয়া তামীম কে কেঁদে কেঁদে বলছে।।
-এই
কাঁন্না থামিয়ে যা বলার বলেন,,, অামার হাতে সময় নেই।।
তোমার হাতে সময় হতে হবেনা।। লাস্ট একটু সময় দাও অাজ।।
অামি পারবোনা।। পারতে হবে।অামি পারবোনা।। তোমার জন্য অামি বিকেল তিনটাই পার্কে অপেক্ষা করবো।। তোমাকে অাসতে হবে, এখন বাই।।অামি জানি যতক্ষণ অামি না যাবো ততক্ষণ সে পার্কেই বসে থাকবে।। তাই অামাকে যেতে হবে।।বিকেল তিনটা পার্কের এক কোনে জেনিয়া বসে অাছে। কাছে গিয়ে জিঙ্গাসা করলাম,
কিসের জন্য অাসতে বলছেন এখানে।। কথাটা বলতেই ঠাস করে একটা শব্দ হলো।। হ্যা জেনিয়া একটা চড় মেরেছে গালে।।
চড়টা মেরে অামার বুকের মাঝে মুখ লুকিয়ে ফেললো।। তারপর অামাকে রিক্সায় নিয়ে সোজা কাজী অফিসের সামনে।।
সেখানে গিয়ে দেখি অামার বন্ধুরা সবাই।। সাথে জেনিয়ার বাবাও অাছে।। অামি কিছুই বুঝিবার অাগে সবকিছু ওরাই অামাকে বুঝিয়ে দিলো।। অামার অার জেনিয়ার বিয়ে দিয়ে।পাঁচ বছর পর এই কেরে সকাল বেলা অামার ঘুমের মধ্যে পানি ঢেলে দিলো।। কেরে, অামি অাপনার একমাত্র বউ জেনিয়া।। সকাল নয়টা বাজে তুমি এখনো ঘুমাচ্ছো,এদিকে তানজীমের স্কুলের সময় চলে যাচ্ছে।। অার তোমাকে অফিস যেতে হবেনা।।অাজ না তোমার অফিসের কাজে বাবা তোমাকে কোথায় পাঠাবে।।
-তানজীম রেডি হয়েছে।। হ্যা হয়েছে।।
অার শোন তুমি অামার একমাত্র বউ না দুই মাত্র বউ।।কারণ অাজকে অামি অামার অারেক বউকে স্বপ্ন দেখতে ছিলাম।। দিলাতো অামার স্বপ্নের বারোটা বাজিয়ে।।
কি অামাকে রেখে অন্য মেয়েকে স্বপ্ন দেখা।। যাও অাজ থেকে অার তোমার সাথে কোন কথা নেই।।
এই জানটুসি রাগ করো কেনো।। ঐটা কে শুনবেনা।। ঐটা হলো অামার তানজিমের অাম্মু।। তাকে সেই নতুন বিয়ের অবস্থায় দেখছিলাম।।।উফ ঐ কি সুন্দর লাগছিলো।।
ও বুঝছি অার বলতে হবেনা।।
ঐ জানটুসি একটা দাও না।।কি, ঐযে ঐটা।।
অামি পারবোনা।। অাগে অফিসের জন্য রেডি হও পরে।। ওকে ম্যাডাম তাই হবে।।
এটাই হলো অামি অার অামার পরিবার।। খুব সুখেই অাছি।।। # #
গল্পঃ #নারীর_সতিত্ব
দ্বিতীয় বা শেষ পর্ব।
রিয়া সামনে তাকাতেই অবাক হয়ে গেল।কারণ তাদের তিন জনের মধ্যে একজন ছিল রিয়াদ।
রিয়াদও রিয়াকে ডাক্তারে
।।..তুমি এখানে?
।।.. হ্যাঁ।তবে পার্সোনাল ব্যাপারগুলা ছাড়া অন্য কোনো কাজে আসলে বসতে পারেন।অন্যথায় চলে যান।
রিয়াদ চেয়ারে বসে ইশারা দেখিয়ে বললো..
।।..এটা আমার বোন আর এটা আমার দুলাভাই। কালকেই তাদের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু..
।।.. কিন্তু কি বলুন?
।।..বাসর রাতে সহবাসের পর রক্তপাত না হওয়ায় এখন দুলাভাই আমার বোনের সতীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বাসায় এখনো কেউ এ ব্যাপারে কিছুই জানে না।এখন আমার বোনের মান সম্মান আপনার হাতে।আপনিই বলুন সত্যটা কি?
রিয়া রিয়াদের মুখের দিকে চেয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে তার দুলাভাই কে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো:
।।..আমাদের দেশের মানুষের একটা ভুল ধারণা আছে।শুধু আমাদের দেশের বললে ভুল হবে আশেপাশের আরো অনেক দেশের মানুষের মাঝে এই কুসংস্কার প্রচলিত আছে যে মেয়েদের সতী পর্দা(hymen) থেকে আর যা প্রথম সহবাসের সময় ছিঁড়ে বা ফেটে গিয়ে রক্ত পাত হয়।যা সম্পূর্ণই একটা ভুল ধারণা।
অনেকের মনে এই বদ্ধমূল ধারণা আছে যে নারী যদি কুমারী হয় তবে বাসর রাতে সহবাসে সময় চাদরে রক্তের দাগ অবশ্যই লাগবেই লাগবে।
এ বিষয়ে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলে এটাই বলবে যে সহবাসের সময় সতীচ্ছদ পর্দা ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়।
কিন্তু আপনি কি আসলেই জানেন সতীচ্ছদ পর্দা আসলে কি?
বিখ্যাত গাইনোকলিজ থাইলেস এর মতে,
সতীচ্ছদ ছিঁড়ে না কারণ এটা কোন পর্দা নয় যেটা যোনিকে ঢেকে রাখে।
এটা যদি সম্পূর্ণ বদ্ধই হতো তবে কিভাবে মেয়েদের মাসিক হত?তবে হ্যাঁ কিছু কিছু মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা বদ্ধ থাকে, সেক্ষেত্রে তাদের সামান্য একটা অপারেশন করিয়ে নিতে হয়।
প্রথম বার সহবাসের ক্ষেত্রে সতীচ্ছদ পর্দা ছিঁড়ে যাওয়া অসম্ভব,ভুলে যাও যা শুনেছো।
হাইমেনের কারণে কেউ তোমার কুমারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না।
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে অধিকাংশ নারীর প্রথম সহবাসের পর রক্তপাত কোনো হয়?
বাস্তবে রক্তপাত তখনই ঘটে যখন যৌনমিলন সঠিকভাবে না হয়। অর্থাৎ আপনি আপনার স্ত্রীকে আঘাতের ফলে এমনটা হয়।
আমাদের পার্শ্বব্তী দেশ ভারতে রীতিমত বিয়ের আগে গোপনে হাইমেন রিকগনেশন সার্জারী শুরু হয়েছে। বেশির ভাগ মুসলিম রক্ষণশীল পরিবারের নারীরা এমনটা করিয়ে থাকেন।বাস্তবে যেখানে এটা ছিঁড়েই না তাহলে পর্দা শিলায় বা করে কিভাবে?
দেশের হাজার হাজার মেয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা এই সার্জারীর পিছনে খরচ করতেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রীতিমত এটা মানবাধিকার লংঘন বলে দাবিও উঠেছে।
একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন।এটা কখনো নারীর সতীত্ব প্রমাণের মাধ্যম হতে পারে না,এটা নির্যাতনের মাধ্যম, জুলুমের মাধ্যম।
কথাগুলো শুনে রিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে সবাই খুশি মনে বেরিয়ে গেল। হঠাৎ রিয়াদ ফিরে এসে বলে..
।।.. আমাকে মাফ করে দিও।আমি সত্যটা না জেনেই তোমার সাথে অন্যায় করেছিলাম।আজ চাইলেও আর তোমায় ফিরিয়ে নিতে পারবো না।কারণ তোমাকে ডিভোর্স দেয়ার কিছুদিন পরই আরেকটা বিয়ে করেছি।এখন আমার দুইটা সন্তানও আছে।
রিয়া রিয়াদের কথা শুনে হাসতে হাসতে বলে..
।।..তোমার সাথে যদি সংসারটা টিকিয়েই রাখতেই চাইতাম তাহলে সেদিনই এ কথা গুলো বলতাম।সত্য বলতে আমি কখনোই চাইনি এমন নিচ মানসিকতার মানুষের সাথে সংসার করতে।
কথাটা শুনে রিয়াদ মাথা নিচু করে বেরিয়ে যায়।আর রিয়া অবিরাম হাসতেই থাকে।
আরও কয়েক দিন কেটে যায়।একদিন সকালে রিয়া কফি খেতে খেতে খবরের কাগজ পড়ছিল। হঠাৎ একটা পাতায় চোখ আটকে যায়। কাগজে রিয়াদের ছবি।হেড লাইনে বড় বড় অক্ষরে লেখা..
“দুই সন্তানের বাবা হওয়া সত্বেও পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা পড়লো এই শহরের অন্যতম বিজনেসম্যান রিয়াদ চৌধুরী”
রিয়া কাগজটা ছুঁড়ে ফেলে মনে মনে ভাবতে লাগলো..
আসলেই যে অন্যর সাথে যেমনটা করে তার সাথেও ঠিক তেমনটিই হয়, যে বাস্তবে যেমন সে অন্যকে তেমনই ভাবে......
সমাপ্ত।
নতুন নতুন লাভ রোমান্টিক ফানি গল্প পেতে নীলেখায় চাপ দিয়ে ফলো করুন 👇👉 Ã Ź À Đ
বর্তমান আধুনিক যুগে এসেও এই একটা কুসংসার এর কারণে আজও হাজার হাজার নারীর সতীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।গল্পটার মাধ্যমে চেষ্টা করেছি সত্যটা সবার সামনে তুলে ধরার।কতটা পেরেছি জানি না।তবে সবশেষে একটা কথায় বলবো যে,আসুন মেয়েদের সতীত্ব প্রমাণ নিয়ে এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসি এবং অন্যকেও সাহায্য করি।
ধন্যবাদ..❣️---- মেয়ে আমার পছন্দ হয়েছে "
কন্ঠ টা খুব চেনা লাগছে, মাথা তুলে তাকিয়ে মেঘ অবাক হয়ে যায়। কাব্য! যাকে ৩বছর আগে ছেড়ে এসেছে। যে তাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসেছিল কিন্তু এই সম্পর্কের কোনো ভবিষ্যৎ নেই বলে কাব্য কে ছেড়ে আসে মেঘ! আজ কাব্য তার সামনে বিয়ের পাত্র হয়ে বসে আছে। কাব্য এক ভাবে তাকিয়ে আছে, কিন্তু কাব্য এই অবস্থানে এলো কিভাবে? খুব দরিদ্র পরিবার থেকে এই অবস্থায়....
মেঘ এক ভাবে তাকিয়ে আছে কাব্য
samiha38
supprimer les commentaires
Etes-vous sûr que vous voulez supprimer ce commentaire ?
Md osman
supprimer les commentaires
Etes-vous sûr que vous voulez supprimer ce commentaire ?