বুড়ো ঘড়ির রহস্য
নতুন ফ্ল্যাটে উঠেছে রাফি। শহরের প্রান্তে একটা পুরনো দালান, তেমন কেউ বাস করে না। ফ্ল্যাটে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই তার চোখে পড়ে দেয়ালে ঝোলানো একটা বিশাল, কাঠের ঘড়ি। মালিক বলেছিল,
“ঘড়িটা খুব পুরনো, কিন্তু বন্ধ করবেন না। ঠিক সময় মতো ওটা নিজেই চলে।”
রাফি হাসতে হাসতে বলেছিল, “ঘড়ি আবার নিজে চলে?”
কিন্তু পরদিনই সে অনুভব করল, ঘড়ির কাঁটা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছে, অথচ সে কোনোদিন ঘড়িটাকে হাত দেয়নি।
রাত ১২টা বাজলেই ঘড়ির ঘণ্টা বেজে ওঠে, আর সেই সঙ্গে দেয়ালে ছায়া নড়ে ওঠে—একজন বৃদ্ধের ছায়া।
রাফি প্রথমে ভেবেছিল চোখের ভুল। কিন্তু তারপর সে লক্ষ্য করল, প্রতি রাতে সেই ছায়া আরও স্পষ্ট হচ্ছে। এক রাতে সে সাহস করে জিজ্ঞেস করল,
“কে তুমি?”
ঘড়ির দিক থেকে আসা গলায় উত্তর এল—
“আমি যার সময় ফুরিয়ে গিয়েছিল, এখন তোমার সময় চলছে…”
রাফি আতঙ্কে ঘুমাতে পারল না। পরদিন সে ঘড়িটা নামাতে গেল, কিন্তু আশ্চর্য! ঘড়ির কাঁটা থেমে গেছে ঠিক ১২:০০-তে, আর দেয়ালে লাল কালিতে লেখা—
“এবার আমি, তোমার সময় গুনব।”
#sifat10
ছায়া যাকে ডাকে
রাত তখন প্রায় তিনটা। শহরের সবকিছু নিস্তব্ধ। বিদিশা লেখালেখির কাজে ব্যস্ত, পুরোনো এক বাংলোতে একা থাকে সে। সেদিন হঠাৎ করেই জানালার পর্দা নড়ে উঠল, অথচ বাতাস নেই।
"কে?" বিদিশা ধীরে জানালার দিকে এগিয়ে গেল। বাইরে কেউ নেই।
কিছুক্ষণ পর আবার শব্দ—এইবার দরজার ঠিক পেছন থেকে। ধপ ধপ… যেন কেউ হেঁটে বেড়াচ্ছে ঘরের ভেতরে।
বিদিশা সাহস করে ঘরের সব বাতি জ্বালিয়ে দিল। কেউ নেই। তারপর সে খেয়াল করল—তার লেখার টেবিলের ওপর পাতার ফাঁকে একটি বাক্য, যেটা সে লেখেনি—
"আমি এসেছি, যেমন তুমি চেয়েছিলে!"
বিদিশা স্তম্ভিত। কেউ কি তার লেখায় ঢুকে পড়েছে?
আগামী দিনগুলোতে সে লক্ষ্য করল, প্রতিটি রাতে কেউ একজন তার অসমাপ্ত গল্পের চরিত্র হয়ে উঠছে জীবন্ত। যারা এক এক করে তার সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে, চুপচাপ তাকিয়ে থাকে, আবার মিলিয়ে যায়।
শেষ রাতে সে লেখে—
"আমি তোমাকে ছুঁতে চাই।"
সেই রাতে প্রথমবারের মতো সে অনুভব করল, কারও ঠান্ডা হাত তার হাতে এসে লেগেছে।
ঘুম ভেঙে দেখল, ঘর খালি। কিন্তু তার ডায়েরির শেষ পাতায় লেখা—
"তুমি ছুঁয়েছো, এবার আমিই লিখব গল্পটা।"
#sifat10
Nihamzggxg Fhgf
حذف التعليق
هل أنت متاكد من حذف هذا التعليق ؟
Aysha570
حذف التعليق
هل أنت متاكد من حذف هذا التعليق ؟