ধৈর্যের ফুল
এক সুন্দর গ্রামে থাকত সুরভী নামের এক তরুণী। সে ছিল খুব ধৈর্যশীল, কাজের প্রতি নিয়মিত আর সদয় মনের মালিক। সুরভী তার ছোট্ট বাগানে প্রতিদিন নানা ধরনের ফুল লাগাত, আর তার বাগান গ্রামবাসীর প্রিয় আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিল।
গ্রামের অন্য অনেক লোক দ্রুত ফল পেতে চেয়েছিল, তাই তারা দ্রুত বাগান সাজাতো, কিন্তু সুরভী জানত প্রকৃত সৌন্দর্য আসে ধৈর্যের সাথে। সে প্রতিদিন ফুলগুলোকে যত্ন করত, তাদের পানি দিত, মাটি নরম করত, আর ভালোবাসা দিত।
একদিন গ্রামের সবাই একসঙ্গে একটি ফুলমেলার আয়োজন করল। তারা দেখতে পেল সুরভীর বাগানে ফুলগুলো অন্যদের তুলনায় বেশি সুন্দর ও দীর্ঘস্থায়ী। ফুলগুলো ছিল রঙিন, সুগন্ধি আর চোখে পরম আনন্দ।
গ্রামের লোকেরা বলল, “সুরভী, তোমার ধৈর্য আর যত্নের কারণেই তোমার বাগান এত সুন্দর।”
সুরভী হাসতে হাসতে বলল, “ধৈর্যই হলো প্রকৃতির মন্ত্র। সময় দিলেই প্রকৃতি আমাদের সেরা ফল দেয়।”
এভাবে সুরভী শেখাল, জীবনে ধৈর্য আর নিয়মিত পরিশ্রমের চেয়ে বড় কিছু নেই। যা আজ পেতে চাও না, কাল তা তোমার ধৈর্যের পুরস্কার হবে।
#sifat10
বাঘের গর্জন আর ছোট পেঁচা
এক গভীর জঙ্গলে থাকত এক বাঘ। বাঘটি ছিল জঙ্গলের রাজা, তার গর্জন শুনে সারা জঙ্গল কাঁপত। বাঘ গর্ব করত তার শক্তি আর ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে। সব প্রাণী তার কাছে ভয়ে কাঁপত।
একদিন রাতের বেলা, জঙ্গলের এক ছোট্ট পেঁচা তার গাছে বসে গাইছিল। পেঁচাটি ছিল ছোট কিন্তু খুব বুদ্ধিমান। পেঁচার কণ্ঠ ছিল সুমিষ্ট আর সবাই তার গান শুনতে পছন্দ করত।
বাঘ গর্জন করে পেঁচার গান বন্ধ করল, বলল, “তুমি ছোট, তোমার কণ্ঠ কেন এত গরজাবে?”
পেঁচা বিনয়ের সাথে বলল, “আমার কণ্ঠ ছোট হলেও আমি আমার জায়গায় গাইতে পারি, আর আমার গান সবাইকে শান্তি দেয়।”
বাঘ একটু বিব্রত হল, কিন্তু ভাবল, হয়তো ছোট কণ্ঠেও বড় প্রভাব থাকতে পারে।
তারপর পেঁচা আর বাঘ একসঙ্গে বসে রাতের গান শুনল। বাঘ শিখল যে শক্তি সবসময় গর্জনে নয়, মাঝে মাঝে মধুর কণ্ঠে শিখর স্পর্শ করা যায়।
#sifat10
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এসেছে সামিয়ার নতুন শহরে। এখনো ফেরে নি রাহুল। তাদের নতুন পরিচয় নিয়ে। একজন মহিলা এসেছে। একটা গাড়ি নিয়ে। সামিয়ার রুমে ঢুকে মহিলাটা সামিয়াকে বলল-"চল।"
সামিয়া বুঝতে পারছে না মহিলাটা তাকে কোথায় যাওয়ার কথা বলছে। সামিয়া জিজ্ঞেস করছে কোথায় যাব। আপনি কে?"
মহিলাটা খুবই কর্কশ গলায় বলল- 'আমার সঙ্গে যাবি। আমি কে তা জেনে তোর কী কাজ?”
সামিয়া ক্রন্ত গলায় বলে- 'রাহুলকে ছাড়া আমি কোথাও যাব না। রাহুল কোথায়?'
মহিলাটা খুবই বিচ্ছিরি ভাষায় গালাগাল শুরু করে সামিয়াকে। 'যাবি নাতারা। এটা রাহুলের বন্দুর বাসা। ভাড়া থাকে নাকি নিজস্ত, তা লামিয়ার জন্য নেই। ভাড়াই হবে হয়তো। সে যাই হোক, প্রাধ্যম দেখায় সোকাটাকে খুব চতুর মনে হয়েছে সামিয়ার। খোঁচা খোঁচা দাড়ি। উদ্কমুক্ত চুল। সামির বিছানায় বসে থাকতে পারছে না। রুমের ভেতর পায়চারি করছে। যদিও বুমটা খুব বড়ো নয়। রাহুলের জন্য মন কেমন করছে তার। রাহুল সকাল সকাল বেরিয়ে গেছে। তাদের নতুন পরিচয়ের কাগজপত্র ঠিক করতে। কাগজপত্র তাড়া নাকি চলাফেরা করা ঝামেলা। সেই যে কখন বের হয়েছে। দুপুর গড়িয়ে গেছে অথচ রাহুলের ফেরার নাম নেই। সামিয়ার চিন্তা হচ্ছে)
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা
বাহুল চলে যাওয়ার পর যে মহিলা তাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে, মহিলাটার ব্যবহার কোনো শয়তানের চেয়ে কম নয়। এখানে এসে সামিয়া বুঝতে পেরেছে, সে আর কোথাও নয়, এই অচেনা শহরের কোনো এক নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রী হয়েছে। এ যেন আরেক জাহান্নাম। প্রতিটা রাত, প্রতিটা দিন সে যেন জাহান্নামের আগুনে পুড়েছে। এই নিষ্ঠুর জগতে যেন তার আর্তনাদ শোনার কেউ নেই। তার কপোল বেয়ে গড়িয়ে পড়া অশ্রু দেখার কেউ নেই। যখনই সে নিষিদ্ধ কাজে অস্বীকৃতি জানায়, মহিলাটা তাকে প্রচুর মারধর করে। মারধরের সময়টায় লাউড স্পিকারে বাজতে থাকে কোনো বীভৎষ গান। নাপাক বীভৎষ গানের সুরে মিলিয়ে যায় সামিয়ার করুণ আহাজারি। কেউ শোনে না। কেউ শুনতে পায় না সামিয়ার গলা ফাটানো চিৎকার।...
তারা। এটা রাহুলের বন্দুর বাসা। ভাড়া থাকে নাকি নিজস্ত, তা লামিয়ার জন্য নেই। ভাড়াই হবে হয়তো। সে যাই হোক, প্রাধ্যম দেখায় সোকাটাকে খুব চতুর মনে হয়েছে সামিয়ার। খোঁচা খোঁচা দাড়ি। উদ্কমুক্ত চুল। সামির বিছানায় বসে থাকতে পারছে না। রুমের ভেতর পায়চারি করছে। যদিও বুমটা খুব বড়ো নয়। রাহুলের জন্য মন কেমন করছে তার। রাহুল সকাল সকাল বেরিয়ে গেছে। তাদের নতুন পরিচয়ের কাগজপত্র ঠিক করতে। কাগজপত্র তাড়া নাকি চলাফেরা করা ঝামেলা। সেই যে কখন বের হয়েছে। দুপুর গড়িয়ে গেছে অথচ রাহুলের ফেরার নাম নেই। সামিয়ার চিন্তা হচ্ছে)
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা
কোথায়?'
মহিলাটা খুবই বিচ্ছিরি ভাষায় গালাগাল শুরু করে সামিয়াকে। 'যাবি না মানে? তোকে টাকা দিয়ে কিনেছি, মাগি। রোগড়া বুঝিস, রোগড়া?"
রোগড়া শব্দটা সরাসরি বুঝতে না পারলেও মহিলাটার আচরণ ও ইশারা দেখে সামিয়া যেন আকাশ থেকে পড়ল। এতক্ষণে সে বুঝতে পেরেছে, সে বিক্রি হয়ে গেছে। ঠকে গেছে। এত গভীর ভালোবাসা তার, অন্ধ ভালোবাসা! রাহুল কি সত্যিই তাকে বিক্রি করে দিয়েছে? বিশ্বাস করতে পারছে না যেন। যার হাত ধরে বাবা-মার কথা চিন্তা না করে, তাদের না জানিয়ে নিজের জন্মভূমি, আপন দেশ ছেড়ে এক কথায় এখানে এসেছে। সে তাকে বিক্রি করে দিয়েছে। কীভাবে পারল রাহুল তার এমন অগাধ বিশ্বাস, ভালোবাসাকে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে? কান্নায় বুক ভেঙে আসছে তার। কপোল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে দুঃখাশ্রু।
বাহুল চলে যাওয়ার পর যে মহিলা তাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে, মহিলাটার ব্যবহার কোনো শয়তানের চেয়ে কম নয়। এখানে এসে সামিয়া বুঝতে পেরেছে, সে আর কোথাও নয়, এই অচেনা শহরের কোনো এক নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রী হয়েছে। এ যেন আরেক জাহান্নাম। প্রতিটা রাত, প্রতিটা দিন সে যেন জাহান্নামের আগুনে পুড়েছে। এই নিষ্ঠুর জগতে যেন তার আর্তনাদ শোনার কেউ নেই। তার কপোল বেয়ে গড়িয়ে পড়া অশ্রু দেখার কেউ নেই। যখনই সে নিষিদ্ধ কাজে অস্বীকৃতি জানায়, মহিলাটা তাকে প্রচুর মারধর করে। মারধরের সময়টায় লাউড স্পিকারে বাজতে থাকে কোনো বীভৎষ গান। নাপাক বীভৎষ গানের সুরে মিলিয়ে যায় সামিয়ার করুণ আহাজারি। কেউ শোনে না। কেউ শুনতে পায় না সামিয়ার গলা ফাটানো চিৎকার।...
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এসেছে সামিয়ার নতুন শহরে। এখনো ফেরে নি রাহুল। তাদের নতুন পরিচয় নিয়ে। একজন মহিলা এসেছে। একটা গাড়ি নিয়ে। সামিয়ার রুমে ঢুকে মহিলাটা সামিয়াকে বলল-"চল।"
সামিয়া বুঝতে পারছে না মহিলাটা তাকে কোথায় যাওয়ার কথা বলছে। সামিয়া জিজ্ঞেস করছে কোথায় যাব। আপনি কে?"
মহিলাটা খুবই কর্কশ গলায় বলল- 'আমার সঙ্গে যাবি। আমি কে তা জেনে তোর কী কাজ?”
সামিয়া ক্রন্ত গলায় বলে- 'রাহুলকে ছাড়া আমি কোথাও যাব না। রাহুল কোথায়?'
মহিলাটা খুবই বিচ্ছিরি ভাষায় গালাগাল শুরু করে সামিয়াকে। 'যাবি না
কোথায়?'
মহিলাটা খুবই বিচ্ছিরি ভাষায় গালাগাল শুরু করে সামিয়াকে। 'যাবি না মানে? তোকে টাকা দিয়ে কিনেছি, মাগি। রোগড়া বুঝিস, রোগড়া?"
রোগড়া শব্দটা সরাসরি বুঝতে না পারলেও মহিলাটার আচরণ ও ইশারা দেখে সামিয়া যেন আকাশ থেকে পড়ল। এতক্ষণে সে বুঝতে পেরেছে, সে বিক্রি হয়ে গেছে। ঠকে গেছে। এত গভীর ভালোবাসা তার, অন্ধ ভালোবাসা! রাহুল কি সত্যিই তাকে বিক্রি করে দিয়েছে? বিশ্বাস করতে পারছে না যেন। যার হাত ধরে বাবা-মার কথা চিন্তা না করে, তাদের না জানিয়ে নিজের জন্মভূমি, আপন দেশ ছেড়ে এক কথায় এখানে এসেছে। সে তাকে বিক্রি করে দিয়েছে। কীভাবে পারল রাহুল তার এমন অগাধ বিশ্বাস, ভালোবাসাকে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে? কান্নায় বুক ভেঙে আসছে তার। কপোল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে দুঃখাশ্রু।
Mdshadin21
Deletar comentário
Deletar comentário ?