রুবেলের রান্নার বিপত্তি
রুবেল ছিল গ্রামের এক দুরন্ত ছেলে, যার হাতের রান্না ছিল একদম খারাপ! সে একবার ঠিক করল, নিজের জন্য মজা করে একটা ডাল রান্না করবে।
রুবেল বাজারে গিয়ে বিভিন্ন জিনিস কিনল—ডাল, লবণ, মরিচ, আর অজানা কিছু মশলা। বাসায় এসে রান্না শুরু করল, কিন্তু কিছু বুঝে উঠতে পারছিল না কতটা পানি দিতে হবে। সে পানি বেশি দিল আর ডালটা একদম কচকচে হয়ে গেল।
রান্না শেষে সে খেতে বসল, কিন্তু খেতে পারল না। গলা থেকে লালা ঝরে, মুখই ঝলসে যাচ্ছে। সে ভাবল, “কেন আমার ডাল খাওয়া যায় না?”
পরের দিন রুবেল আবার রান্না করতে বসল। এবার সে বাবার কাছে সাহায্য চাইল। বাবা এসে বুঝিয়ে দিল, “ডাল রান্নায় একটু ধৈর্য ধরতে হয়, বেশি পানি দিলে ডাল খারাপ হয়।”
বাবার সাহায্যে রান্না শেষ হলো, এবার ডালটা মজাদার হয়ে উঠল। রুবেল খুশি হয়ে সবাইকে বলল, “দেখলে, শেখার কোনো শেষ নাই!”
#sifat10
হাসানের হিরোডায়েক্ট
হাসান ছিল গ্রামের ছেলে, ছোটবেলা থেকেই অভিনয় করা খুব ভালোবাসত। স্কুলে নাটকে সে সবসময় প্রধান চরিত্রে থাকত। একদিন গ্রামের মেলার প্রস্তুতি চলছিল, আর হাসান তার স্বপ্ন পূরণ করতে চাইছিল — বড় মঞ্চে হিরোডায়েক্টার মতো অভিনয় করবে।
মেলার দিন, হাসান বড় এক নাটকে হিরোডায়েক্টার চরিত্র পেয়েছে। সে খুব উৎসাহী হয়ে নাচ, গিটার বাজানো আর গান শিখল। মঞ্চে আসার আগে সে নিজের প্রফেশনাল স্টাইলে চলতে শুরু করল, যেন কোনো সিনেমার হিরোডায়েক্টার।
কিন্তু মঞ্চে এসে নাটকের প্রথম দৃশ্যে তার পা পিছলে গেলো, সে মাটি থেকে লাফ মেরে উঠে বলল, “আমি আপনার হিরো!” কিন্তু সেই লাফে সে গাছের ডালে মাথা ঠেকিয়ে দিলো। দর্শকরা হেসে উঠল। হাসান লজ্জায় মুখ লুকালো।
তারপর সে দৃঢ় হয়ে বলল, “আমি তো হিরো, হার মানি না।” আর নাটক শেষ পর্যন্ত অভিনয় করল দুর্দান্ত।
গ্রামের লোকজন তার সাহস আর মজার অভিনয় দেখে তাকে ‘হিরো হাসান’ বলে ডাকতে লাগল। হাসান বুঝল, ভুল করে দুঃখ পেলে চলবে না, সাহস আর হাসি থাকা জরুরি।
#sifat10
সেলিম আর তার ছাতার বাঘ
সেলিম ছিল গ্রামের একজন দুষ্টু ছেলেই। একদিন হঠাৎ বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখায় সে বাজার থেকে একটা বড় ছাতা কিনে আনলো। ছাতাটা দেখতে ছিল একদম বাঘের মতো, লাল, সাদা দাগের মিশেলে খুব ভয়ঙ্কর লাগতো।
সেলিম ভাবলো, “এই ছাতাটা নিয়ে সবাইকে ভয় দেখাব।”
সে বৃষ্টি শুরু হবার আগেই বাজারে গিয়ে ছাতাটা খুলে ধরল।
লোকজন দেখে বিস্মিত হয়ে বলল, “ওই ছাতাটা না, যেন বাঘ!”
সেলিম চলতে চলতে গ্রামের ছেলেদের পাশ দিয়ে গেলো আর ভয় দেখাতে লাগল, “আরে দূরে থাকো, বাঘ আসছে!”
সবাই থেমে গেল।
কিন্তু গ্রামের বৃদ্ধ আলহাজ্জাজ বলল, “ছেলে, বাঘ তো ছাতা, ভয় কেন?”
সেলিম হেসে বলল, “বাঘ না হলেও, ছাতাটা তো সবাইকে ভয় দেখায়!”
একদিন সেলিম খেলা করছিল, হঠাৎ বৃষ্টি আসলো। ছাতাটা ধরেই ছুটতে লাগল। বৃষ্টি রুখে দিতে গিয়ে ছাতাটা এক সময় হঠাৎ ছিঁড়ে গেলো, আর ভেতর থেকে একটা ছোট্ট পাখি বেরিয়ে এল।
সেলিম হাসতে হাসতে বলল, “দেখলে, বাঘ ছাতা আর পাখি!”
গ্রামের সবাই হেসে উঠল। সেলিম শিখল, ভয় দেখানো মজা, কিন্তু প্রকৃত বাঘ হলে চলবে না!
#sifat10
✅রেজিস্ট্রেশন লিঙ্ক ⬇️
https://mynetworkjob.com/register?by=01305044701
মামু মুন্সির বুদ্ধির খেলা
মামু মুন্সি ছিল গ্রামের এক চালাক মানুষ। ছোটবেলা থেকেই সে সবসময় নিজের বুদ্ধি আর চতুরতায় সবার থেকে একটু এগিয়ে থাকত। গ্রামের লোকজন তাকে খুবই সম্মান করত, কারণ মামু মুন্সি শুধু বুদ্ধি দেখাতেই নয়, প্রয়োজন পড়লে কাজও করত।
একদিন গ্রামে নতুন একজন বড় ধনী লোক এলেন, নাম তার বদর মিয়া। সে ভাবল, “এই গ্রামের বুদ্ধিমান মানুষটা দেখতে হবে।” বদর মিয়া মামু মুন্সির কাছে গেলেন, বললেন, “তুমি কি সত্যিই বুদ্ধিমান? তাহলে আমাকে একটা কাজ করো, যার জন্য আমি তোমাকে ভালোই ইনাম দেব।”
মামু মুন্সি হাসল, “কী কাজ, বদর মিয়া? বলুন তো।”
বদর মিয়া বলল, “আমার বাগানে অনেক বুদ্ধিমান পাখি এসেছে। তারা আমার ফল-ফসল খেয়ে ফেলছে। তুমি যদি তাদের থেকে বাগানকে রক্ষা করতে পারো, তবে আমি তোমাকে অনেক টাকা দেব।”
মামু মুন্সি ভাবল একটু... বুদ্ধির খেলা করতে হবে।
সে বলল, “ভাই, পাখিদের ঠেকানো খুব কঠিন কাজ। তবে আমি একটা বুদ্ধি নিয়ে আসছি।”
পরদিন মামু মুন্সি একটি বড় পুতুল বানালো। পুতুলের মাথায় একটা পুরনো টুপি, হাতে একটা লাঠি, আর গলায় একটা লাল মুড়ি ঝোলানো ছিল। পুতুলটা রেখে দিল বাগানের মধ্যে।
পাখিরা যখন বাগানে আসল, তারা প্রথমে পুতুল দেখে খুব ভয় পেলো। তারপর আস্তে আস্তে তারা বুঝল, এটা মানুষ না। কিন্তু তখন পর্যন্ত পাখিরা বাগানে ঢুকতে সাহস পেল না।
বদর মিয়া খুব খুশি হয়ে মামু মুন্সিকে পুরস্কার দিলেন।
কিন্তু মামু মুন্সি বুঝতে পারল, পাখিরা আবার ফিরে আসবে। তাই সে পুতুলটাকে ঘোরাতে লাগল, যাতে পুতুল যেন হাঁটছে। গ্রামের ছেলেরা এসে পুতুলটার সঙ্গে খেলত। একদিন পুতুল পড়ে গেল আর ভেঙে গেল।
তখন পাখিরা বুঝল, বাগানটা এখন নিরাপদ। তারা আবার জমে উঠল ফল খেতে।
মামু মুন্সি তখন একটি নতুন পরিকল্পনা করল। এবার সে পুতুলের জায়গায় বড় একটা কাঁটাতার দিয়ে বাগানের চারপাশ ঘিরে দিলো। এবার পাখিরা আসলেও আর ঢুকতে পারল না।
বদর মিয়া খুবই খুশি হয়ে আবার এক বড় ইনাম দিলেন মামু মুন্সিকে।
এই কিস্সা থেকে সবাই শিখল, শুধু বুদ্ধি নয়, কখনো কখনো কাজের সাথে কঠোর পরিশ্রম ও প্রয়োজন।
#sifat10
হারানো চশমার খোঁজ
রইস আলী ছিলেন গ্রামের এক পণ্ডিত মানসিক লোক, কিন্তু তার এক বয়স হলে চশমা হারানো তার বড় সমস্যা। একদিন সকালে চশমা খুঁজে পেল না, তাই পুরো দিন জুড়ে ছুটতে লাগল বাড়ি আর উঠান, বাজার ও রাস্তার ধারে।
তাকে সবাই খুঁজতে লাগল।
প্রথমে ভাবলো, হয়তো ঘরের বাথরুমে গড়িয়ে গেছে। বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে বলল, “না, ওইখানে নাই।”
তারপর উঠানে খুঁজতে লাগল। লোকজন হাসতে হাসতে বলল, “ভাই, তোমার চশমাটা কোথায় যে এত খুঁজছ?”
রইস বলল, “চশমা হারালে তো দুনিয়া অন্ধ হয়ে যায়।”
একজন প্রতিবেশী বলল, “তোমার চশমা কি হয়তো তোর মাথায়ই থাকে?”
রইস মুচকি হেসে বলল, “নিশ্চয়ই! আর কোথায়?”
দিন শেষে গিয়ে রইস দেখতে পেল, তার মাথায় চশমা ছিল! সে ভুলে গিয়েছিল মাথায় পরা ছিল। তখন সে বলল, “এই যে, আগেই চশমা ছিল, আর আমি সারাদিন খুঁজে বেড়াচ্ছি।”
সবাই হেসে উঠল।
রইস বুঝলো, মাঝে মাঝে জিনিস চোখের সামনেই থাকা সত্ত্বেও আমরা হারিয়ে ফেলি।
#sifat10
Siyam Hossain
删除评论
您确定要删除此评论吗?