সুমনের সাইকেল অ্যাডভেঞ্চার
সুমন ছিল গ্রামের একটা সাধারণ ছেলে, যাকে সাইকেল চালানো খুবই পছন্দ ছিল। তার সাইকেল ছিল পুরোনো, কিন্তু সে সেটা খুব ভালোবাসত। একদিন সে ঠিক করল, গ্রাম থেকে দূরে এক ছোট ঝরনার কাছে যাব।
সাইকেল নিয়ে সুমন রওনা দিল। পথ অনেক খারাপ, মাটির ধুলো আর পাথর সবকিছুতে কাটা দিচ্ছিল। হঠাৎ তার সাইকেলের চাকা একটা বড় পাথরের সঙ্গে লেগে গিয়ে ভেঙে গেল।
সুমন হতাশ হলো, কিন্তু হার মানল না। সে সাইকেল ধরে ধীরে ধীরে হেঁটে যেতে লাগল ঝরনার দিকে।
ঝরনায় গিয়ে সুমন দেখল, পানি স্বচ্ছ আর ঠান্ডা। সে সেখানে বসে বিশ্রাম নিল আর গ্রামের লোকদের জন্য পানি নিয়ে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিল।
ফিরে আসার পথে, তার বন্ধুদের দেখা হলো। তারা তার সাইকেলের কথা শুনে সাহায্য করতে চাইল।
সবাই মিলে সাইকেল ঠিক করল, আর সুমনের সাহসের গল্প গ্রামের সবাইকে প্রেরণা দিল।
সুমন বুঝল, যাত্রার পথে বাধা আসলেও, ধৈর্য্য আর সাহস থাকলেই সফলতা আসে।
#sifat10
জামালের জাদুকরী স্যান্ডেল
জামাল ছিল গ্রামের সবচেয়ে দুষ্টু ছেলে। একদিন সে বাজারে ঘুরতে ঘুরতে এক জাদুকরী দোকানে গেল। দোকানের এক বৃদ্ধ তাকে একটা স্যান্ডেল দেখালেন, বললেন, “এই স্যান্ডেল পরে তুমি যেখানেই যাবে, সেখানে মজা আর হাসি ছড়িয়ে দেবে।”
জামাল তখন ভাবলো, “আহা, এতো মজার জিনিস! আমাকে এটা নিতে হবে।”
সে সেই স্যান্ডেল কিনে নিলো।
পরের দিন জামাল স্যান্ডেল পরে গ্রামের বাজারে গেল। পায়ের নিচ থেকে হঠাৎ হঠাৎ ফুঁ বের হলো আর সবাই দেখল, জামালের পায়ের নীচ থেকে রং-বেরঙের বুদবুদ উঠছে।
সবাই মুগ্ধ হয়ে বলল, “দেখো জামাল, সে যেন সত্যিই একজন জাদুকর!”
জামাল সেই বুদবুদ নিয়ে খেলতে লাগল, আর বুদবুদ ফেটে হাসির আওয়াজ বের হচ্ছিল।
গ্রামের সবাই মিলে বুদবুদ ধরে রাখার চেষ্টা করল, কিন্তু বুদবুদগুলো এত নরম আর মিষ্টি ছিল যে কেউ ধরে রাখতে পারল না।
শেষে জামাল বুঝল, মজা আর হাসি ছড়ানোর জন্য কারো কাছে কোনো জাদু স্যান্ডেল লাগবে না, বরং ভালো মন আর বন্ধুত্ব লাগবে।
#sifat10
রাকিবের রহস্যময় চশমা
রাকিব ছিল গ্রামের সবচেয়ে কৌতূহলপূর্ণ ছেলে। একদিন সে পুরানো বাজার থেকে একটা রহস্যময় চশমা কিনল। চশমাটা দেখতে অদ্ভুত—গভীর নীল রঙের লেন্স আর সোনালী ফ্রেম ছিল।
রাকিব চশমা পরতেই আশ্চর্য হলো, সে দেখতে পেলো সব কিছু স্বাভাবিকের চেয়ে আলাদা। পাখির ডানায় ছোট ছোট নক্ষত্র জ্বলজ্বল করছিল, গাছের পাতা যেন কথা বলছিল।
সে তার বন্ধুদের দেখালো, কিন্তু তারা বিশ্বাস করল না। রাকিব ভাবল, এটা তার এক বিশেষ ক্ষমতা।
গ্রামে একটি বয়স্ক বৃদ্ধের বাড়ি ছিল, যেখানে সবাই ভয় পেতো। রাকিব চশমা নিয়ে সেই বাড়ির কাছে গেলো। চশমা দিয়ে দেখে বুঝতে পারল, বাড়ির ভেতর আসলে এক পুরনো ধন লুকানো আছে।
রাকিব তার বন্ধুদের নিয়ে সেই ধন খুঁজতে গেলো। সবাই মিলে ধানক্ষেতের পাশে সেই পুরনো বাক্স খুঁজে পেলো, যাতে সোনার কয়েন আর মূল্যবান জিনিস ছিল।
গ্রামের সবাইকে সে ধনের খবর দিলো, সবাই মিলে ঠিক করলো ধনটি গ্রামের উন্নয়নে ব্যয় করবে।
রাকিব বুঝলো, আসল যাদু কোনো জাদু চশমায় নয়, তার নিজের সাহস আর বন্ধুত্বে।
#sifat10
রাফির রঙিন ছাতা
রাফি ছিল গ্রামের এক চঞ্চল ছেলে। বর্ষার মরসুম শুরু হলো আর রাফি খুব excited। সে ভাবলো এবার একটা রঙিন ছাতা কিনবে, যেটা দেখলে সবাই তাকিয়ে থাকবে।
বাজার থেকে সে একটা বড় আর রঙিন ছাতা কিনলো, যার ওপর ফুল আর পাখির ছবি ছিল। ছাতা হাতে নিয়ে সে গ্রামের রাস্তায় বের হলো। গ্রামের সবাই তার ছাতা দেখে হেসে উঠলো, কেউ কেউ বললো, “দেখো রাফি নতুন ছাতা নিয়েছে, যেন কোন কার্টুন চরিত্র!”
একদিন রাফি ছাতা নিয়ে স্কুল গেল। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো। ছাতা খুলতেই একদম বড় একটা বৃষ্টি নামলো। রাফি ছাতাটা ধরে দাঁড়িয়ে ছিল কিন্তু হাওয়া এমনভাবে বয়ে গেলো যে ছাতাটা উল্টো হয়ে গেলো!
সবাই দেখলো রাফির ছাতা উল্টো, আর সে হাসতে হাসতে বলল, “আমার ছাতাও আজকের বৃষ্টির সাথে খেলছে!”
তার বন্ধুদের সবাই হেসে উঠল। রাফি বুঝল, জীবনে সবসময় সবকিছু ঠিকঠাক থাকে না, হাসিমুখে সব কিছু মোকাবেলা করতে হয়।
বৃষ্টি শেষে রাফি ছাতাটা ঠিক করে বাড়ি ফিরল, কিন্তু তার রঙিন ছাতার গল্প আজও গ্রামে সবাই মনে রাখে।
#sifat10
Siyam Hossain
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
Tajrin Nesa
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?