মোমিনের মোবাইল মজা
মোমিন ছিল গ্রামের এক ছেলে, যে মোবাইল নিয়ে ছিল খুবই উন্মুখ। সে মোবাইল পেতেই ঠিক করল, গ্রামের সবার সঙ্গে ছবি তুলে মজা করবে।
একদিন সে গ্রামে নতুন মোবাইল নিয়ে এল। গ্রামের সবাই আগ্রহ নিয়ে দেখে। মোমিন ছবি তুলতে লাগল, কিন্তু সে মোবাইল চালাতে পারত না পুরোপুরি।
সে ছবি তুলল, কিন্তু ভুলবশত মোবাইল ফ্ল্যাশ অন রেখে দিল, সবার চোখে আলো পড়ল। সবাই চমকে গেল।
মোমিন লজ্জায় হেসে বলল, “আরে ভাই, ছবি তুলছি, চোখে আলো পড়ে গিয়েছে।”
তারপর সে গ্রামের সবাইকে ছবি দেখাতে শুরু করল, কিন্তু ভুলবশত সে মোবাইল থেকে মেমোরি কার্ড বের করে ফেলল। মোবাইল ফাঁকা হয়ে গেল!
সবাই বলল, “মোমিন, তুমি কি করছ?”
মোমিন বলল, “মেমোরি কার্ডটা একটু পরিষ্কার করতে চেয়েছিলাম।”
শেষ পর্যন্ত, গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠরা এসে সাহায্য করল। মোমিন বুঝল, প্রযুক্তি নিয়ে যতই আগ্রহ থাক, শেখার দরকার।
সে প্রতিজ্ঞা করল, মোবাইল চালানো শিখে সবাইকে ভালো ছবি দেখাবে।
#sifat10
হান্নানের হাসির টোটকা
হান্নান ছিল গ্রামের এক কিশোর, যাকে সবাই হাসির রাজা বলত। সে সবসময় নতুন নতুন কৌতুক আর ঠাট্টা করে সবাইকে হাসাতো। কিন্তু একদিন হান্নানের মন খারাপ হয়ে গেলো। সে ভাবল, “আমি যদি হাসি হারিয়ে ফেলি? তাহলে কী হবে?”
সকালে সে মায়ের কাছে গিয়ে বলল, “মা, আমি আজ থেকে হাসবো না।” মা অবাক হয়ে বললেন, “কেন, বাচ্চা? হাসি না হলে জীবন কেমন হবে?”
হান্নান বলল, “আমি ভয় পাচ্ছি, যদি আমি হাসি হারিয়ে ফেলি, তখন সবাই আমার কাছ থেকে দূরে চলে যাবে।”
মা হেসে বললেন, “ভাই, হাসি তো আমাদের মনের এক দরজা, যা কখনো বন্ধ হয় না।”
হান্নান তখন সিদ্ধান্ত নিলো, সে নিজের হাসি বাঁচাতে একটা টোটকা খুঁজবে। সে গ্রামে ঘুরে ঘুরে বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে গেলো, টোটকা জানতে চাইল। কেউ বলল, “একটা ভাল গল্প শুনলে হাসি ফিরে আসবে,” কেউ বলল, “সত্যি কথা বললে হাসি ফিরে আসবে।”
হান্নান আবার ঘুরে ফিরে এল, অবশেষে সে বুঝল হাসি কোনো টোটকা দিয়ে আসে না, বরং মানুষের ভালবাসা আর আনন্দ থেকে আসে।
সে তার বন্ধুরা, পরিবার আর গ্রামের সবাইকে নিয়ে একটা বড় হাসির পার্টি করল। সবাই মিলে গল্প বলল, গান গাইল, নাচল আর অনেক হাসল।
হান্নানের হাসি ফিরে এলো, আর গ্রামের সবাই জানল—হাসি হলো জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার।
#sifat10
Siyam Hossain
Hapus Komentar
Apakah Anda yakin ingin menghapus komentar ini?