''সময় কাটে না,, গেলাম.. ``হতাশা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর``
``যেখানে প্রতিটি ফ্লোরে সাজানো,, ভিন্ন ভিন্ন দুঃখের বিভাগ``।
পুরো সেটিংটাই `নরকের,, বাণিজ্যিকীকরণে রমরমা,,
শুরুতে নিলাম,,
,,ভালোবাসার হালকা নাস্তা: শূন্যতার প্লেটে!"
...,গেলাম,, 'ফুর্তি ডিসকাউন্ট নিতে'! এখনই শেষ সময়!"
``আত্মার অধঃপতন শপিং স্টোরে,, পপকর্ন ফ্রি!
আরও নিলাম,,
''গুজব গপ্পো ভাজা! গরম গরম মিথ্যা,, মনের জিলাপি পেঁচানো সাপ,, শক্তিশালী 'টেনশন।
নিলাম,, ভ্রমের আইসক্রিম,, হাতে নিতে গলে যায়!
গেলাম গর্ব করে হাঁটা স্টোরে,,
``অহংকারের হাই-হিল: উঁচুতে তোলে, পড়তেও সাহায্য করে!
"পিউর টাকার কুমিরের,, চামড়া দিয়ে বানানো``
গেলাম অতীত ভেজাল স্টোরে,,
""স্মৃতির ডাস্টবিনে,, পুরোনো আবেগ পঁচে গলে পড়ে আছে,, আহাঃ কি দাম,,
নগদে চোখের জল ফেলে কিনে নিলাম, তবুও।,,
..বন্ধুরা এলো, বলে,, চল আরও তলিয়ে কাঁদি গলা মিলে``।
গেলাম হতাশা রিচার্জ স্টোরে,,
"দুঃখের রিফিল কার্টিজ! চিরস্থায়ী উৎকণ্ঠা!
ফুল লোড,,
"নিলাম- লোভের EMI স্কিম! প্রথম কিস্তি: সামান্য বিবেক পে!"
একটু হাঁটতেই দেখি,, "শয়তান দোকান খুলেছে 'নরকের 'রসগোল্লা' নামে,
বলে, আসুন,, 'একটা খেয়ে দেখুন, স্বাদ পাবেন অনুতাপের চিনি!'
জিজ্ঞেস করলাম, 'ক্যালোরি কত?'
উত্তরে হাসে, 'এক গ্লাস 'পাপের সমান!'"
..মুখে নিতেই,, কপালে পড়লো,, 'দুর্ভাগ্যের শুকনো পাঁউরুটি'..
অবশেষ,, 'শয়তান মুচকি হেসে বলে,,
নেন, আরও একটা হতাশার ডোজ, সারাক্ষন মিথ্যা কুয়াশার তৃপ্তি পাবেন !'
জিজ্ঞাস করলাম, 'মেয়াদ কতদিন?'
প্যাকেটের গায়ে লিখা আছে , 'সত্যের আলো উত্থান পর্যন্ত"!
———————
'হতাশা স্টোর।
সাজিদুল্লাহ ফরহাদ।
গল্প : একই স্বপ্ন
গত এক মাস ধরে রঞ্জন একই স্বপ্ন দেখছে। স্বপ্নে সে দেখে, সে একটা পুরনো, ভাঙা বাড়িতে দাঁড়িয়ে আছে। আর একটা বাচ্চা মেয়ে তাকে হাত ধরে একটা নির্দিষ্ট ঘরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মেয়েটা বারবার বলছে, "আমার পুতুলটা ওই ঘরে আছে, আমাকে এনে দেবে?" প্রতিদিন স্বপ্নটা ওই ঘরের দরজার সামনে এসেই ভেঙে যায়। রঞ্জন ব্যাপারটা নিয়ে খুব চিন্তিত ছিল। একদিন সে তার এক বন্ধুর সাথেドライブ-এ বেরিয়ে শহর থেকে একটু দূরে একটা জায়গা আবিষ্কার করল। সেখানে একটা পোড়ো বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে, ঠিক তার স্বপ্নের মতো। কৌতুহলবশত সে ভেতরে ঢুকল। একটা বাচ্চা মেয়ের হাসির শব্দ তাকে সেই নির্দিষ্ট ঘরটার দিকে নিয়ে গেল। সে দরজা খুলতেই দেখল, ঘরের মাঝখানে একটা দড়িতে একটা কঙ্কাল ঝুলছে, আর তার নিচে একটা পুরনো পুতুল পড়ে আছে।
#ভৌতিকস্বপ্ন #recurringnightmare #পোড়োবাড়ি #রহস্যময়স্বপ্ন #হরর
গল্প : হোটেল ব্লু-মুন, ঘর নম্বর ৩০২
বন্ধুদের সাথে ট্যুরে গিয়ে কম টাকায় একটা হোটেলের ঘর পেয়েছিল প্রীতম। ঘর নম্বর ৩০২। ঘরটা বেশ ভালো হলেও কেমন যেন একটা স্যাঁতসেঁতে ভাব ছিল। রাতে ঘুমানোর সময় প্রীতমের ঘুম ভেঙে গেল। তার মনে হলো, কেউ যেন তার বুকের ওপর চেপে বসেছে। সে চোখ খুলতে পারছিল না, কথাও বলতে পারছিল না। শুধু অনুভব করছিল, একটা ভারী শরীর তাকে চেপে ধরেছে আর কানের কাছে কেউ ফিসফিস করছে, "এটা আমার ঘর। তুই কেন এসেছিস?" অনেক কষ্টে গোঙানোর পর তার বন্ধুরা ছুটে এসে লাইট জ্বালায়। প্রীতম দেখে, ঘরে কেউ নেই। পরদিন ম্যানেজারকে চেপে ধরতেই সে স্বীকার করে, ওই ঘরে একজন গেস্ট গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। তারপর থেকে ওই ঘরটা আর কাউকে দেওয়া হতো না।
#ভৌতিকহোটেল #hauntedroom #প্যারানরমালঅ্যাক্টিভিটি #ভয়ঙ্কররাত #ভ্রমণেরভূত
গল্প : হোটেল ব্লু-মুন, ঘর নম্বর ৩০২
বন্ধুদের সাথে ট্যুরে গিয়ে কম টাকায় একটা হোটেলের ঘর পেয়েছিল প্রীতম। ঘর নম্বর ৩০২। ঘরটা বেশ ভালো হলেও কেমন যেন একটা স্যাঁতসেঁতে ভাব ছিল। রাতে ঘুমানোর সময় প্রীতমের ঘুম ভেঙে গেল। তার মনে হলো, কেউ যেন তার বুকের ওপর চেপে বসেছে। সে চোখ খুলতে পারছিল না, কথাও বলতে পারছিল না। শুধু অনুভব করছিল, একটা ভারী শরীর তাকে চেপে ধরেছে আর কানের কাছে কেউ ফিসফিস করছে, "এটা আমার ঘর। তুই কেন এসেছিস?" অনেক কষ্টে গোঙানোর পর তার বন্ধুরা ছুটে এসে লাইট জ্বালায়। প্রীতম দেখে, ঘরে কেউ নেই। পরদিন ম্যানেজারকে চেপে ধরতেই সে স্বীকার করে, ওই ঘরে একজন গেস্ট গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। তারপর থেকে ওই ঘরটা আর কাউকে দেওয়া হতো না।
#ভৌতিকহোটেল #hauntedroom #প্যারানরমালঅ্যাক্টিভিটি #ভয়ঙ্কররাত #ভ্রমণেরভূত
গল্প : পাতকুয়োর ডাক
গ্রামের শেষ প্রান্তের পাতকুয়োটা বহুদিন অব্যবহৃত। জল শুকিয়ে গেলেও কুয়োর গভীরতা ছিল অসীম। লোকে বলত, ওটার ভেতরে শয়তানের বাস। কিশোর রিভু বন্ধুদের সাথে বাজি ধরেছিল, সে কুয়োর ভেতরে ঢিল ফেলবে। সে কুয়োর কাছে গিয়ে একটা বড় পাথর কুয়োর অন্ধকারে ফেলল। কিন্তু কোনো শব্দ হলো না। বন্ধুরা হাসাহাসি শুরু করল। রিভু রেগে গিয়ে ঝুঁকে কান পাতল। হঠাৎ কুয়োর গভীর থেকে একটা ফিসফিসানি ভেসে এলো, "কী খুঁজছিস?" রিভু চমকে পিছিয়ে গেল। এরপর কুয়োর ভেতর থেকে একটা ঠান্ডা, ভেজা হাত বেরিয়ে এসে পাড়ের মাটি আঁকড়ে ধরল। তারপর আরেকটা। একটা শ্যাওলা-মাখা শরীর ধীরে ধীরে উঠে আসতে লাগল। রিভুরা ভয়ে যে যেদিকে পারল দৌড় দিল। সেই থেকে গ্রামের কেউ আর ওই কুয়োর দিকে যায় না।
#পাতকুয়ো #ভৌতিকঅভিজ্ঞতা #গ্রামেরভয় #হররগল্প #folklorehorror
গল্প : পাতকুয়োর ডাক
গ্রামের শেষ প্রান্তের পাতকুয়োটা বহুদিন অব্যবহৃত। জল শুকিয়ে গেলেও কুয়োর গভীরতা ছিল অসীম। লোকে বলত, ওটার ভেতরে শয়তানের বাস। কিশোর রিভু বন্ধুদের সাথে বাজি ধরেছিল, সে কুয়োর ভেতরে ঢিল ফেলবে। সে কুয়োর কাছে গিয়ে একটা বড় পাথর কুয়োর অন্ধকারে ফেলল। কিন্তু কোনো শব্দ হলো না। বন্ধুরা হাসাহাসি শুরু করল। রিভু রেগে গিয়ে ঝুঁকে কান পাতল। হঠাৎ কুয়োর গভীর থেকে একটা ফিসফিসানি ভেসে এলো, "কী খুঁজছিস?" রিভু চমকে পিছিয়ে গেল। এরপর কুয়োর ভেতর থেকে একটা ঠান্ডা, ভেজা হাত বেরিয়ে এসে পাড়ের মাটি আঁকড়ে ধরল। তারপর আরেকটা। একটা শ্যাওলা-মাখা শরীর ধীরে ধীরে উঠে আসতে লাগল। রিভুরা ভয়ে যে যেদিকে পারল দৌড় দিল। সেই থেকে গ্রামের কেউ আর ওই কুয়োর দিকে যায় না।
#পাতকুয়ো #ভৌতিকঅভিজ্ঞতা #গ্রামেরভয় #হররগল্প #folklorehorror