11 C ·Traduzir

কৈ মাচ

image
3 C ·Traduzir

সুপারম্যান দিয়ে DC কামব্যাক করে ফেলেছে! ⚡🔥

বক্স অফিসে ধুম মাচাচ্ছে সুপারম্যান-এর এই নতুন এই সিনেমা। প্রিভিউ থেকে আয় করেছে ২২.৫ মিলিয়ন। এরই মধ্যে অনেক রেকর্ড করে যাচ্ছে এই ফিল্ম।

--------------------------------------------------------------------------
◾দ্যা ব্যাটম্যান এবং বার্বির প্রিভিউকে ছাড়িয়ে গিয়েছে সুপারম্যান।
◾প্রিভিউ থেকে DC অল-টাইম ৩য় হায়েস্ট গ্রোস কালেকশন আনা ফিল্ম।
◾জেমস গানের ক্যারিয়ার বিগেস্ট প্রিভিউ কালেকশন আনা সিনেমা।
◾অল-টাইম ২৫তম হায়েস্ট প্রিভিউ কালেকশন আনা সিনেমা
◾WB অল-টাইম ৫ম হায়েস্ট প্রিভিউ কালেকশন আনা সিনেমা।
----------------------------------------

ডমেস্টিক ১৩০-১৪০ মিলিয়ন ওপেনিং পাক্ষা!⚡👏

#ss49

4 C ·Traduzir

#সুখ

সুখ আসলে কী?

বিখ্যাত এক তুর্কি কবি তার বিখ্যাত চিত্রশিল্পী বন্ধুকে অনুরোধ করেন, সুখ কী তা যেন এঁকে দেখান। তিনি এই ছবিটা আঁকেন।

একটা ভাঙা খাটের ছোট বিছানায় শান্তিতে ঘুমাচ্ছে একটি বড়ো পরিবার। খাটের একটা পায়া নাই, সেখানে দুটি ইট রাখা। জরাজীর্ণ বাড়ির ছাদের ফুটো থেকে পানি পড়ছে, ওখানে তাই ছাতা রাখা। বাড়ির কুকুরটিও বিছানায় শান্তিতে ঘুমায়। কপাট বিহীন জানালায় পাখি বসেছে। মুরগি শেয়ালে নেবারও দুর্ভাবনা নেই।

ছবিটা দেখার পর মনে হলো, সুখ মানে সমস্যা না থাকা নয়, কষ্টের পরিস্থিতিকে স্বাচ্ছন্দ্যে মেনে নেওয়ার মধ্যেই সুখ। যা আছে তা নিয়েই খুশি থাকি, শান্তিতে ঘুমায়।

এই নাও।(জেনিয়া)
-কি এটা (তামীম)
-অামার বিয়ের কার্ড (জেনিয়া)
-ও,ভালো (স্বাভাবিক ভাবে) বললো তামীম।
-ভালো মানে, অামার বিয়ের কার্ড দেখে তোমার কষ্ট লাগছেনা? (জেনিয়া)
-না,তোমার বিয়ের খবরে অামি অারো খুশি হয়েছি। এখানে কষ্টেও পাওয়ার কি অাছে। (তামীম)
-সত্যিই তোমার কষ্ট হচ্ছেনা? (জেনিয়া)
-সত্যিই হচ্ছে না।অাবারো স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর দিলো তামীম।
তামীমের মুখে স্বাভাবিক ভাবে উত্তর শুনে মনটা খারাপ করে চলেগেলো জেনিয়া। তামীমের কাছ থেকে এমনটা অাশা করেনি জেনিয়া।। জেনিয়া ভেবে ছিলো জেনিয়ার হাতে বিয়ের কার্ড দেখে তামীম তাকে বিনয়ের সুরে বলবে। কি বলছো এইসব। অামাদের এতদিনের সম্পর্কের কি হবে। কিন্তু না তামীম এইসব কিছুই বললো না।।তাতে খুব কষ্ট পেয়েছে জেনিয়া।অন্যদিকে তামীমের কোন কাজে মন বসছে না কিছুদিন যাবৎ ।।ঠিকমত পড়তে পারেনা, ঠিকমত টিউশনিতেও যেতে পারেনা।অাজ এক ছাত্রীর মা ফোন করেরে বলেছে ঠিকমত না গেলে অন্য টিচার নিয়ে নিবে।।
কি করবে বুঝতে পারছিনা। হঠাৎ করে জেনিয়া এমন কথা বলবে এটা তামীম কখনোই কল্পনা করতে পারেনি।।তাদের এতদিনের সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবে।। বিয়েতে রাজি হওয়ার অাগে এতটুকুও ভাবলো না জেনিয়া।।
কেনো ভাবলোনা অামি তো অাগে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেইনি।। সেই তো দিয়েছে।। কি দরকার ছিলো এত অভিনয়ের।। ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চটাই বসতাম।। সবসময় উসকো খুসকো ভাবে থাকতাম।। কি দরকার ছিলো এত ভালোবাসার অামাকে।। তাহলে অাজ ভালোবেসে কেনো চলে যাচ্ছে।।
তাকে থামানোর মত ক্ষমতা অামার নেই।। গরীব কৃষক বাবার সন্তান অামি।।অার জেনিয়া বড় লোক বাবার একমাত্র মেয়ে।। এদিকে অামার দিকে চেয়ে অাছে অামার পুরো ফ্যামিলি।। না অামাকে অার এভাবে বসে থাকলে চলবেনা।।তাহলে অামার ফ্যামিলির কি হবে।। না অাজ থেকেই অাবার সবকাজে মন দিবো।। মন থেকে জেনিয়ার স্মৃতি সব বাদ দিবো।। এখন নিজের ফ্যামিলির চিন্তা ছাড়া অার কিছুই মাথায় রাখবোনা।।এই মামুন তামীমের কোন খুজ জানো। না তো জেনিয়া। তার সাথে অামার কোন যোগাযোগ নেই।। প্লিজ মামুন বলোনা তামীম কোথায় অাছে।। তার সাথে অামার প্রায় একমাস যাবৎ কোন যোগাযোগ নেই, প্লিজ বলো অামি তোমার পায়ে ধরছি।। তামীমের সাথে একটু কথা বলিয়ে দাও।।ওকে এই নাও এটা তামীমের নতুন নাম্বার 01756**** বাট অামার কথা বলিও না।।অাচ্ছা ঠিক অাছে বলবোনা। ধন্যবাদ তোমাকে।।ক্রিং ক্রিং
হ্যালো অাসসালামু অালাইকুম।
-ঐ পাশে নীরব।। হ্যালো কে বলছেন।। কি অাশ্চয্য কথা বলছেন না কেনো।।এই কুত্তা বান্দর বিলাই হনুমান কোথায় তুমি।। কত জায়গাতে তোমায় খুজেছি কোথাও পাইনি ।। ঐ দিনের পর থেকে প্রতিটা মুহূর্ত তোমাকে খুজে বেরিয়েছি।।
জেনিয়া তামীম কে কেঁদে কেঁদে বলছে।।
-এই
কাঁন্না থামিয়ে যা বলার বলেন,,, অামার হাতে সময় নেই।।
তোমার হাতে সময় হতে হবেনা।। লাস্ট একটু সময় দাও অাজ।।
অামি পারবোনা।। পারতে হবে।অামি পারবোনা।। তোমার জন্য অামি বিকেল তিনটাই পার্কে অপেক্ষা করবো।। তোমাকে অাসতে হবে, এখন বাই।।অামি জানি যতক্ষণ অামি না যাবো ততক্ষণ সে পার্কেই বসে থাকবে।। তাই অামাকে যেতে হবে।।বিকেল তিনটা পার্কের এক কোনে জেনিয়া বসে অাছে। কাছে গিয়ে জিঙ্গাসা করলাম,
কিসের জন্য অাসতে বলছেন এখানে।। কথাটা বলতেই ঠাস করে একটা শব্দ হলো।। হ্যা জেনিয়া একটা চড় মেরেছে গালে।।
চড়টা মেরে অামার বুকের মাঝে মুখ লুকিয়ে ফেললো।। তারপর অামাকে রিক্সায় নিয়ে সোজা কাজী অফিসের সামনে।।
সেখানে গিয়ে দেখি অামার বন্ধুরা সবাই।। সাথে জেনিয়ার বাবাও অাছে।। অামি কিছুই বুঝিবার অাগে সবকিছু ওরাই অামাকে বুঝিয়ে দিলো।। অামার অার জেনিয়ার বিয়ে দিয়ে।পাঁচ বছর পর এই কেরে সকাল বেলা অামার ঘুমের মধ্যে পানি ঢেলে দিলো।। কেরে, অামি অাপনার একমাত্র বউ জেনিয়া।। সকাল নয়টা বাজে তুমি এখনো ঘুমাচ্ছো,এদিকে তানজীমের স্কুলের সময় চলে যাচ্ছে।। অার তোমাকে অফিস যেতে হবেনা।।অাজ না তোমার অফিসের কাজে বাবা তোমাকে কোথায় পাঠাবে।।
-তানজীম রেডি হয়েছে।। হ্যা হয়েছে।।
অার শোন তুমি অামার একমাত্র বউ না দুই মাত্র বউ।।কারণ অাজকে অামি অামার অারেক বউকে স্বপ্ন দেখতে ছিলাম।। দিলাতো অামার স্বপ্নের বারোটা বাজিয়ে।।
কি অামাকে রেখে অন্য মেয়েকে স্বপ্ন দেখা।। যাও অাজ থেকে অার তোমার সাথে কোন কথা নেই।।
এই জানটুসি রাগ করো কেনো।। ঐটা কে শুনবেনা।। ঐটা হলো অামার তানজিমের অাম্মু।। তাকে সেই নতুন বিয়ের অবস্থায় দেখছিলাম।।।উফ ঐ কি সুন্দর লাগছিলো।।
ও বুঝছি অার বলতে হবেনা।।
ঐ জানটুসি একটা দাও না।।কি, ঐযে ঐটা।।
অামি পারবোনা।। অাগে অফিসের জন্য রেডি হও পরে।। ওকে ম্যাডাম তাই হবে।।
এটাই হলো অামি অার অামার পরিবার।। খুব সুখেই অাছি।।। # #

রাজ্যের চিন্তা মাথায় নিয়ে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটছি। আগামীকাল আমার ভালবাসার স্বপ্নকণ্যা অবণির জন্মদিন। অবণির জন্মদিনে কি গিফট দেয়া যায় সেটাই চিন্তা করছি। সেই সাথে নানা হিসাব-নিকাশও করছি।পকেটে আছে মাত্র এক হাজার টাকা। মাস শেষ হতে আরও ১০ দিন বাকী। একহাজার টাকার মধ্যে অবণিকে একটা ভালো উপহার দিয়ে কিভাবে বাকী দিনগুলো চলবে সেই চিন্তায় মগ্ন আমি।
কিছুদূর যাওয়ার পর কিছু লোকের ভীড় দেখতে পেলাম। কাছে গিয়ে দেখলাম ৮-১০ বছরের একটা ছেলে মাটিতে পড়ে আছে। দেখে মনে হচ্ছে কোন গরীব ঘরের সন্তান বা পথশিশু। ছেলেটা মাথা ফেটে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।এতগুলো মানুষ আছে সেখানে কিন্তু কেউই ছেলেটাকে হাসপাতালে বা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাই করছে না!! গরীব বলেই হয়তো এমন অবহেলা!! আমার কেমন যেন মায়া লাগল।আর কোন উপায় না দেখে নিজেই একটা সিএনজি ডাকলাম। কয়েকটা লোকের সহায়তায় ছেলেটাকে সিএনজিতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে এলামতাকে। চিকিৎসা শেষে ছেলেটার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ কিনে নিলাম। ছেলটার কাছ থেকে বাসার ঠিকানা নিয়ে তাদের বাসায় এলামবাসা বললে ভুল হবে, একটা বস্তি এলাকায় ঝুপড়ির মত বাসা তাদের।ছেলেটার নাম সবুজ।
আমাদেরকে দেখে তার মা বের হয়ে এল। সবকিছু খুলে বললাম সবুজের মাকে।সবশুনে তার মায়ের চোখের জলই আমার প্রতি নিরব কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছিলো। তাদের পারিবারিক অবস্থা দেখে আমি চিকিৎসার খরচের ব্যাপারটা নিয়ে কোন কথা না বলেই বিদায় নিয়ে চলে এলাম।রাতে মেসে এসে মানিব্যাগে দেখি আর মাত্র বিশ টাকা অবশিষ্ট আছে। অবণির জন্য কিছু কেনাও হলো না।
পরদিন সকালে ফোনের শব্দে ঘুম ভাঙ্গল। অবণি ফোন করেছে।অভি, এখনো ঘুমাচ্ছো তুমি?—
---- না, এইতো উঠলাম ঘুম থেকে।: তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে রমনা পার্কের সামনে চলে আসো।
-----হুম আসছি। একঘন্টা পর……।
…পার্কের একটা বেঞ্চিতে অবণির পাশে বসে আছি। অবণি বলে উঠল-আজ কয় তারিখ? কেন? ৫ ই জানুয়ারি
---তুমি ভুলে গেছো তাই না?-কিসের কথা বলছ?
অবণি আর কিছু না বলে মাথাটা নিচু করে রাখল। ওর চোখ থেকে পানি পড়ছে।আসার সময় কিনে আনা গোলাপটা পকেট থেকে বের করে হাঁটুগেড়ে ওরসামনে বসলাম। গোলাপটি বাড়িয়ে দিয়ে বললাম, ” শুভ জন্মদিন। এর বেশি কিছু আর দিতে পারলাম না। আমার হাতটা কি ধরবে সারা জীবনের জন্য? কোন কথা না বলে ও শুধু গোলাপটা নিল আর মাথাটা উপর নিচে ঝাঁকাল। ঠোঁটে হাসি, চোখের পানি গাল বেয়ে পড়ছে। কিযে সুন্দর লাগছে ওকে দেখতে। আমি ওর পাশে বসে ওকে কালকের ঘটনাটা খুলে বললাম। তোমার এসব কাজের জন্যই তোমাকে আমার এত ভালোলাগে।
এভাবেই সবসময় মানুষের উপকার করে যাবে, তাতেই আমি খুশি। এরপর আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, ” তুমি সারাজীবন আমার পাশে থেকে আমাকে এভাবেই ভালোবাসলে হবে।
# #

6 C ·Traduzir

লোমহর্ষক ভৌতিক ছোট গল্প ----

নতুন ফ্ল্যাটে উঠার পর থেকেই, প্রতি রাতে দিয়া ঘুমের মধ্যে প্রায় অনুভব করে কেউ যেনো থাকে কানে ফিস ফিস করে বলে " দিয়া উঠে এসো, বাগানে ঐ জিনিসটা নিবে না "। এমন কথা শুনে দিয়া ভয়ে আর ঘুমাতে পারে না। ব্যাপারটা তার মাকে জানায়। পরের দিন রাতে দিয়ার মা দিয়ার সঙ্গে থাকবে ব্যাপারটা আসলেই সত্যি নাকি মিথ্যে এই সত্যতা জানার জন্য। রাত যতো গভীর হয় ততোই দিয়ার রুমে অদ্ভুত রকমের বাচ্চাদের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে দিয়ার মা। এটা দেখে ভয়ে শিউরে ওঠেন। মেয়ে কে হাতে দিয়ে বার বার ধাক্কাধাক্কি করছে কিন্তু দিয়া তার কোনো সাড়াশব্দ নেই! যেনো বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। হঠাৎই ডিম লাইটের আলোতে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন দিয়ার মা, একজন বুড়ো লোক দেওয়াল ভেদ করে তাদের দিকে এগিয়ে আসছে একদম দিয়ার মার পাশে এসে দাঁড়ায়। এটা দেখে প্রচণ্ড ভয় পেয়ে ধড়ফড়িয়ে উঠেন বসেন দিয়ার মা আর তখনেই দিয়ার মায়ের মাথাটা ঘুরিয়ে দেন ঐ বুড়ো লোকটা। দিয়ার মা কোনো শব্দ কিংবা চিৎকার দিবেন তার কোনোটার সময়ে হয়ে উঠেনি বরং তার আগেই ঘারটা মটকে ঘুড়িয়ে দিলো ঐ বুড়ো লোকটা।
এদিকে দিয়া ঘুমে সেই এখই কথোপকথন শুনতে পেয়ে প্রচণ্ড ভয়ে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে। আর তখনেই দিয়ার নজরে পরে তার মায়ের দিকে, দেখে মায়ের মাথাটা উল্টোদিকে ঘুরিয়ে আছে। ভয়ে জোরে চিৎকার দিয়ে উঠে দিয়া। ঠিক তখনেই কালো একটা ছায়া দিয়ার সামনেই দৃশ্যমান ঘটে, আর মুহূর্তের মধ্যে কালো ছায়াটা ধোঁয়াশার মতো হয়ে দিয়ার মুখে ঢুকে পড়ে। দিয়া নিজের মধ্যে থাকে না। চোখ জোড়া তার রক্তজবার মতো হয়ে ওঠে। ফর্সা শরীরটা মুহূর্তের মধ্যে কালো কুচকুচে, ভয়ংকর বীভৎস চেহারা রূপ ধারন করে। দু'হাতে দিয়া মায়ের দেহটা উঠিয়ে নিয়ে দেয়াল ভেদ করে ঢুকে পরে। পরের দিন দিয়ার রুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকাতে দিয়ার বাবা সিকিউরিটি কে দিয়ে দরজাটা ভেঙে রুমে প্রবেশ করতেই তিনি ভয়ে আৎকে উঠেন। দেখেন পুরো রুমটা রক্তে মাখামাখি অবস্থা। স্ত্রী সন্তান কাউকে তিনি রুমে পাননি বরং দেয়ালে শুধু চার-পাঁচটে ছোট ছোট বাচ্চাদের রক্তাক্ত হাতের স্পর্শ দেখতে পান।

ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করার ঠিক তিন মিনিটের মাথায় আমি মালিহা নামের মেয়েটাকে মেসেজ দিলাম।হাই, তোমার হানিমুনে কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা? সুইজারল্যান্ড, না ব্যাংকক।n-হোয়াট! এইসব কি বলতেছেন!n-আচ্ছা বাদ দাও। এটা বলো, তুমি ফার্স্ট বেবি ছেলে চাও, না মেয়ে।n-এক্সকিউজ মিইই! কে আপনি? হু আরয়ু? আর আমার কাছে কি চান বলুনতো?n-খুব সিম্পিল। আই লাভ ইউ। ডু ইউ লাভ মি?n-হাহ! হাসাইলেন। পাগল নাকি? আমি আপনাকে চিনি না পর্যন্ত। ইভেন ফেবুতে ফ্রেন্ডই হইলাম মাত্র। আর সাথে সাথেই প্রপোজ!n-তো কি ভাবছিলা? অন্য ছেলেদের মতো প্রথমে ফ্রেন্ড হবো, কয়দিন চ্যাটিং এর পর নাম্বার চাইবো, তারআরো কয়েকদিন পর দেখা করতেচাইবো, তোমাকে হাসাবো, সারপ্রাইজ দিবো, নানান পদ্ধতিতে তোমাকে ইমপ্রেস করার ট্রাই করবো। আমাদের সারাদিন, সারারাত কথা হতে থাকবে। তারপর গিয়ে আমি তোমাকে প্রপোজ করবো। তাইতো?n-ও হ্যালো…n-নো নো নো। তুমি আগে আমার কথা শুনো। এসব দীর্ঘমেয়াদি কার্য পরিক্রমায় কি হবে ভেবে দেখছো? প্রচুর মেগাবাইট নষ্ট হবে, ফোনের অসংখ্য ব্যালেন্স জলে যাবে, ধারণার বাইরে টাইম ওয়েস্ট হবে, আমি ঠিকমতো লিখাপড়া করতে পারবো না, বাড়ির কাজ করতে পারবো না। সব মিলিয়ে আমি তোমাকে পটানোর চক্করে কয়েকটা বছর পিছিয়ে যাবো। তাই বলতেছি রাজি যখন হবাই তখন শুধু শুধু এতোঝামেলা করে কি লাভ? ব্যাপারটা জাস্ট কয়দিন আগে আর পরে ছাড়া তো কিছুই না। সো এখনই তুমি হ্যা বলে দিলে আমাদের দুজনেরই মঙ্গল। রাইট?n-উহু, একদম রং। আপনি নিজেরে কি ভাবেন বলুনতো! ফিল্মের হিরো? মেয়েদের পটানো এতোই সোজা? আই থিংক আপনার একজন সাইকিয়াট্রিস্ট এর সাথে কনসাল্ট করা উচিত।n-হাহাহাহা!n-কি হলো!!n-তোমার কথা শুনে হাসি পেলো। কি ভাবছো আমারে? এতোক্ষন যা যা বললাম এইভাবেই চিন্তাভাবনা
করা একজন ট্রিপিক্যাল ছেলে? আরে ইয়ার, আম যাস্ট কিডিং। একচুয়ালি আমি তো ফেসবুক রিলেশনেই বিশ্বাস করি না।n-সিরিয়াসলি!n-তাছাড়া আবার কি? আচ্ছা চলো তোমারে বোঝাই। দেখ, ফেসবুকে ছেলে মেয়েদের ভেতর যেটা হয়
সেটাকে লাভ বলে না। সেটা যাস্ট ক্রাশ, সাময়িক এট্রাকশন ইউ নো। কয়েকদিন সারা দিনরাত পাগলেরমতো চ্যাটিং করার পর যেকোনো একজন আরেকজনের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়বে। আর ঠিক তখনই যে উইক হবে তার উপর থেকে তার বিপরীত জনের এট্রাকশন চলে যাবে। সেটা হতে পারে ছেলেটা বা মেয়েটা, কিন্তু সুত্র একই। তার তখন ফ্রেন্ডলিস্টের অন্য একজনের সাথে চ্যাট করতে বেশি ইন্টারেস্টিং লাগবে। ফলাফল ঝগড়া এবং ব্লক। তারপর পুনরায় অন্য কারো ওপর ক্রাশ। ঘটনা সমাপ্ত। বিলিভ মি, নিউটনের সুত্র ভুল হলেও ফেসবুকের এই রিলেশনশিপ সুত্র কখনোই ভুল হবে না।n-ওয়াও, ভালো বলছেন তো! আপনার লজিক অনেক ক্লিয়ার।n-বিকজ আই এম আ ক্লিয়ার বয়। আই মিন নিয়মিত ক্লিয়ার শ্যাম্পু ইউজ করি। নাথিং টু হাইড।n-হেহেহে। আপনার সেন্স অফ হিউমার টু গুড।n-আমার সেন্স অফ ফ্রেন্ডশিপও কিন্তু আরো বেশি গুড! ফ্রেন্ড..?n-হুম…ওকে.(কয়েকমাস পর)এই মালিহা, তুমি জানো তোমার ভাগ্য কত্তো খারাপ? আজ থেকে অনেক অন্নেক বছর আগে তোমার জন্ম হলে কি হতো জানো? তোমার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে একটা উপন্যাস লিখে ফেলতো উইলিয়াম শেক্সপিয়ার।লিওনার্দো ভিঞ্চি তোমাকে মডেল করে আকতো তার জগতবিখ্যাত পোট্রেট, নাম দিত মালিহাসা। এই রাতেই রবিন্দ্রনাথ আর রবার্ট ফ্রস্ট লিখতো তাদের সেরা পংক্তি গুলো, শুধুমাত্র তোমায় বার্থডে উইশ করার জন্য। সম্রাট আকবর তোমাকে গিফট করতো তার স্বপ্নের মহামূল্যবান কহিনুর। আইনস্টাইন থিওরি অফ রিলেটিভিটি ভুলে গেলেও ভুলতো না তোমার জন্মদিনের কথা। কিন্তুদ্যাখো এসব কিছুই হলো না। দুর্ভাগ্যবশতঃ তুমি জন্ম নিলে আমার সময়ে। তাই তোমার ভাগ্যে জুটলো
খুব সাধারন একটা বার্থডে উইশ- শুভ জন্মদিন মালিহা, আজকে এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির সবটুকু শুভকামনা শুধুমাত্র তোমার জন্য।
-ওয়াও, আমার এই একুশ বছরের লাইফে কেউ এত্তো সুন্দর করে বার্থডে উইশ করেনি। থ্যাংক্যু সোওওও মাচ।n-ইউ আর স্ট্রংলি ওয়েলকাম।n(আরো কিছুদিন পর)-এই জানো আমি একটা বই লিখতেছি।n-ওয়াও, সত্যি?n-হুম, বইটার নাম কি শুনবা? টেলিফোন ডিরেক্টরি। এইজন্যই তোমার নাম্বারটা লাগবে। দিবা?n-হাহাহা, আচ্ছা..ওকে!n(এক বছর পর)এই মালিহা তুমি কি জানো পৃথিবীর সবকিছুই আগে থেকে ঠিক করে রাখা আছে।n-হুম জানি তো।n-আচ্ছা সৃষ্টিকর্তার প্রি- প্লান কি চাইলেই তুমি বা আমি ভেস্তে দিতে পারি? এটার চেষ্টা করাটাওকি ঠিক?n-অবশ্যই না।n-তাইলে ভেবে দেখো আজকে বিকাল ঠিক সাড়ে পাঁচটায় রুসান ক্যাফের তিন নাম্বার টেবিলে দুইটাচেয়ার আমাদের জন্মের আগে থেকে তোমার আর আমার নামে বুক করে রাখা হয়েছে, সাথে কোল্ড কফিরঅর্ডারও দিয়ে রাখা। এখন কি করবো বুঝতে পারতেছি না। সাজেশান দাও তো কি করা উচিত?n-হুম.. খুবই কঠিন প্রবলেম। তো তুমি কি ড্রেস পরে আসবা সেটাও কি জন্মের আগে থেকেই ঠিক করা, নাকি আজকে চ্যুজ করবা?n-হাহাহা! সাদা টিশার্ট আর নীল জিন্স, তুমি?n-গোলাপি থ্রি-পিচ।n-ওক্কে!n(কয়েকমাস পর)আজকের স্পেশাল দিনে বাইশটা বাইশ রঙের গোলাপ তোমায় উপহার দিলাম বাইশটা অক্ষরের জন্য।n-বাইশটা অক্ষর? মানে?n-Happy birth day to u maliha.n-আরেহ, বাইশটা অক্ষরই তো হয়! ওয়াও! থ্যাংকু সো মাচ।n-ইউ নো, যে এই বাক্যটা আবিস্কার করেছিলো সে তোমার বাইশতম বার্থডের কথা ভেবেই অক্ষরগুলোগুনে গুনে সেট করেছিলো।n-হাহাহা! তাইলে তো এখানে you হবে, u না।n-এক্সাক্টলি। ঐ লোকের এইটুকুই ভুল ছিলো। কিন্তু সেই ভুলটা শোধরানোর জন্য উইলিয়াম শেক্সপিয়ার প্রথম you এর পরিবর্তে u লেখার প্রচলন করেন, সেটাও শুধুমাত্র তোমার বাইশতম বার্থডের কথা ভেবেই।n-সত্যি?n-হুম একদম। আর এজন্যই এই পৃথিবীতে মোট বাইশ রঙের গোলাপ আছে।n-রিয়ালি!! ধুরর! যাই হোক আমার গোলাপগুলা কিন্তু ভীষণ পছন্দ হইছে।n-যাক, স্বার্থকতা। আসলে প্রথমে ভেবেছিলাম তোমার এই জন্মদিনে আইফোন সেভেন গিফট করবো। বাট ইউ নো, অর্থনৈতিক মন্দার পর কিডনির দাম পড়ে গেছে। তাই আর বিক্রি করলাম না।n-হাহাহা! তুমি না পারোও। ধ্যাত!n(দুই বছর পর)একদিন গভীর রাত্রে মালিহা আমাকে মেসেজ দিলো।-এই শুনো, তোমাকে আমার একটাকথা বলার আছে #

নীল বাড়ি যাবে ।। দুই দিন পর তার বোনের বিয়ে কিন্তু কাজের চাপ থাকার জন্য দুই দিন আগে যেতে হচ্ছে ।। তারাতারি করে রেডি হয়ে ৯ টার মধ্যে বাস স্টান্ডে গেলো ।। আর কিছু সময় পর বাস ছেড়ে দিবে তাই নীল বাসে উঠে নিজের সিটে বসতে যাবে এখন দেখে তার সিটে অচেনা একটা মেয়ে বসে আছে,হ্যালো সিট টা আমার ।জ্বী আমি জানি ।ওও জানেন তো বসছেন কেন ?না আমার একটু সমস্যা আছে তো তাই আপনার সিটে বসছি । সমস্যা তো আমারও আপনার একার না । ( মুখ বাকা করে)এমন করে বলছেন কেন ?? আপনার সিট তো কি হয়ছে ?? আমি উঠতে পারব না । (রেগে)আমার সিটে বসে আমার আমাকে বড় বড় কথা শুনাচ্ছেন ।দেখুন আমার সমস্যা তাই আপনার সিটে বসছি ।।
আমার সিটে আমি বসবো ।। মেয়েটা মন খারাপ করে বলল ,, ঠিক আছে বসেন ।।
- নীলের তখন খারাপ লাগলো তাই নীল বলল না আপনি আমার সিটেই বসুন ।। আমি এখানে বসবো ।।
- ধন্যবাদ ।।
নীল ব্যাগ রেখে বসলো ।। বাস ছেড়ে দিলো ।। নীলের গরম লাগছে তাই বলল,,
- আমার গরম লাগছে জানালাটা খুলে দেন।।
- পারবো না ।। রোদ লাগে ।।
- নীল কিছু বলে না ।। কারন মেয়েটা খুব সুন্দর আর মায়াবী চেহারা ।। নীল মনে মনে বলছে বালিকা তোমার ১২ টা আজ আমি বাজাবো ।।
- দয়া করে সিটে বসতে দিলাম তার আবার এত গরম ।। নিজের সিট হলে না জানি কি হতো ।। (আস্তে আস্তে)
- এই কি বললেন ।। আপনি দয়া করছেন ??
- হুম ।। দয়া করছি বলেই তো আপনি জানালার পাসে বসতে পেরেছেন ।।
- আপনি দয়া করার কে ??? সিটে বসতে দিয়ে কি ভাব ।।
- হুম তাই তো ।।
মেয়েটা আর কিছু বলে না চুপ থাকে ।। আর নীল ভাবছে না মেয়েটার সাথে বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে তাই সরি বলার দরকার ,, কিন্তু মেয়েটার নাম জানা হলো না,,
- আপনার নাম টা জানতে পারি ??
- আমার নাম জানি না ।। (রেগে)
- বাহ খুব সুন্দর নাম তো আপনার ।। তো জানি না আপনি জাবেন কোথায় ???
- জাহান্নামে ।।
- আরে আমিও তো যাবো চলেন এক সাথে যাই ।।
- ওই আপনিনিনিনি ....।।।
- জানি জানি কি বলবেন ।। তবে আপনার নাম এন্গী বার্ড হলে ভাল হতো ।।
- আমার ভাল খারাপ আপনে দেখার কে ??
- না ।। এত ভাল একটা নাম দিলাম আপনাকে একটা ধন্যবাদ দেওয়া উচিৎ ছিলো ।।
- আমার ধন্যবাদের দাম আছে ।। আপনাকে দিয়ে সেই দামটা কমাতে চাই না ।।
- ও আচ্ছা ।। তা কত দাম আপনার ধন্যবাদের ?? আমি একটা ধন্যবাদ কিনে নিতাম ।।।
- এই আপনি চুপ করবেন ??? ওকে চুপ ।।তারপর নীল আর কথা বল না ।। মনে মনে হাসতে থাকে ।। এই রকম একটা এন্গী বার্ড পেলে তো ভালই হয় ।। যদি একে পাই তাহলে আরো ভাল হয় ।। নীল হাসে আর চিন্তা করে ।।
তবে নীলের মেয়েটাকে রাগাতে ভালই লাগছে ।।।
এই সব ভাবতে ভাবতে নীল যে কখন ঘুমিয়ে গেছে বুঝতেই পারে নাই ।। তারপর হটাৎ করে ঘুম ভেঙে যায় নীলের ।। তাকিয়ে দেখে মেয়েটা নীলের কাদে ঘুমাচ্ছে ।। ঘুমন্ত অবস্থায় মেয়েটাকে অসাধারন লাগেছে ।। জানালা দিয়ে আলো পরছে মুখে মনে হচ্ছে কোনো এক মায়াবী রাজকন্য এসে তার কাধে ঘুমাচ্ছে ।। নীল আর মেয়েটাকে জাগালো না কারন নীলের খুব ভাল লাগছে ।। নীল মনে মনে ভাবছে যদি সারা জীবন এই ভাবে কাধে ঘুমাতে তাহলে খুব ভাল হতো ।। হটাৎ করে আমার ফোন চলে আসে সাথে সাথে মেয়েটার ঘুম ভেঙে যায় ।। মেয়েটা সব কিছু বুঝতে পারে তাই একটু চুপ হয়ে যায় ।।
নীল ফোনটা বের করে দেখে তার বোন রিছিভ করে,,
- এই তুই ফোন দেওয়ার সময় পেলি না ??
- কেন ?? তুই কোথায় আগে তাই বল ??
- আমি চলে আসছি প্রায় ।। তুই এখন রাখ ।।
- ওকে তারাতারি আয়।।
ফোন কেটে দেয় নীল ।।
মেয়েটা কি বলবে বুঝতে পারছে না ।।
- দেখুন আমি বুঝতে পারি নাই।। সরি !!
- ওকে ।। ঘুমানোর সময় মনে থাকে না ??
- আরে ভুল করে হয়ে হয়ে গেছ ।। সরি বললাম তো ।।
- হয়েছে ।। সিট টা তো প্রথমেই নিয়েছেন ।। সাথে কাধটা এখন নিলেন ( দুষ্টুমির ছলে)
- এই যে মিঃ এত লাফান কেন ?? আপনি মানুষ নাকি ??
- আমি না আপনি লাফাচ্ছেন ।ডং দেখে বাচি না । এন্গী বার্ড । আল্লাহ কেন যে আপনার সাথে দেখা করায়ে দিলো । ওরি বাবা । দয়া করে চুপ করুন ।সারা রাস্তা প্রায় এই ভাবে রাগাতে রাগাতে আসলো নীল ।। মেয়েটা রেগে লাল হয়ে আছে ।। কিছু সময় পর নীল নেমে গেলো আর বলল বাই এন্গী বার্ড ।। মেয়েটা চোখ বড় বড় করে তাকালো ।। নীল আর কিছু বল নাহ ।। মেয়েটা চলে যায় ।। আর নীল কিছু কেনাকাটার জন্য বাজারে যায় ।। নীল সব কাজ শেষ করতে করতে সন্ধার আগে বাড়ি পৌছালো ।। বাড়িতে অনেক মানুষ।। নীলের সব রিলেটিভ চলে এসেছে ।নীল ব্যাগ রেখে ফ্রেস হয় বসে আছে আর মেয়েটার কথা চিন্তা করছে ।। মেয়েটাকে ভালবেসে ফেলে নীল । কিন্তু কি ভাবে খুজে বের করবে । না আছে তার ঠিকানা না আছে ফোন নাম্বার ।। এই সব ভাবতে ভাবতে নীলের ছোট বোন খাবার জন্য ডাকলো।। নীল খাবার টেবিলে বসবে তখন নীল সামনে তাকিয়ে অবাক,আরে আপনি এখনে আমারও তো একই প্রশ্ন ?নীলের বোন বলছে,, কিরে নীল ভাই তুই ওকে চিনিস ??মেয়েটা তখন বলল, কি এই লোক তোর ভাই ।হুম ।। আজকে যা করেছে তা আমি জীবনেও ভুলব না ।নীল বলছে,, এই তোর কি হয় ?? ভাইয়া বসো, আমি সব বলছি ,, ও আমার বন্ধু নীলা ।।ওওও।। কিন্তু তোরা একে অপরকে চিনিস কি ভাবে ??? আজ ওর সাথে আমি বাসে আসলাম ।। বাকিটা পরে বলবো ।রাতের খাওয়া শেষ করে নীল ছাদে যায় গিটার নিয়ে আর গান গাচ্ছে ।। তার কিছুক্ষন পর রিমি আসলো ।। রিমি আমার ছোট বোন দুই দিন পর ওরই বিয়ে ।কিরে এসেই গিটার নিয়ে বসে গিছিস ??
- হুম ।। কি করব ভাল লাগছে না তো ।আচ্ছা তুই নীলাকে কি ভাবে চিনিস ?তারপর নীল সব বলল ।। আর রিমি শুনে হাসতে লাগলো ।। পিছন থেকে নীলা মুখ চেপে ধরে ।।নীল আরো বলে জানিস আমি নীলা কে ভালবেসে ফেলছি ।নীলা বলে মরে গেলেও রাজি হব না ।তারপর সবাই ছাদ থেকে নেমে আসে ।দেখতে দেখতে দুই দিন পার হয়ে গেলো।। আজ বিয়ে বর পক্ষ চলে এসেছে ।। আর কিছু সময় পর রিমিকে নিয়ে যাবে ।। নীলের ভাল লাগছে না ।। বোনটা আজ চলে যাচ্ছে ।। কিন্তু এটাই নিময়, নিজেকে শক্ত করে রিমিকে গাড়িতে তুলে দিলো নীল ।। তার দুই দিন পর নীলা চলে যায় ।। নীলের খুব খারাপ লাগেছে ।। নীল আর থাকতে পারছি না ।। অবশেষে রিমি # #

রানবীর : আচ্ছা, দাদা-দাদুকে আমাদের হার মানাতে হবে, বুঝেছ?মীম : কিভাবে হার মানাতে হবে? আর হার মানাতে হবে কেন?রানবীর : আমাদের দুজনের মধ্যে যে ভালোবাসা, সেটা যে দাদা-দাদুর চেয়ে অনেক গুণ বেশি, সেটা বোঝাতে হবে।
মীম : কিভাবে বোঝাব?রানবীর : দাদা-দাদুর ছেলে-মেয়ে কয়জন?মীম : ১০ জন।রানবীর : আমাদের বাবু হবে ২০টা। তাহলে আমাদের মাঝের ভালোবাসা যে দাদা-দাদুর চেয়ে বেশি, সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে।মীম : আমাকে মেরে তোমার ভালোবাসা প্রমাণ করার বুদ্ধি, তাই না?রানবীর : কী বলো, তোমাকে মারার বুদ্ধি মানে?মীম : ২০টা বাচ্চা কি তোমার পেটে হবে নাকি আমার? আমি বাবা দুইটার বেশি বাবু নিতে পারব না।রানবীর : মাত্র দুইটা?মীম : হ্যাঁ গো, হ্যাঁ। ২০টা বাচ্চা দিয়ে তুমি কী করবা, যদি আমি বেঁচে না থাকি?রানবীর : তুমি বাঁচবে না কেন?মীম : ২০টা বাচ্চা হতে তো তোমার কিছু করা লাগবে না। তোমার দরকার খালি ২০টা রাত, ওদিকে আমার তো ২০টা বছর। বাব্বা, আমার চিন্তা করতেও ভয় লাগছে।রানবীর : দাদু পারলে তুমি পারবা না কেন?মীম : দাদু পারছে, কারণ দাদুদের সময় জন্ম নিয়ন্ত্রণের কিছু ছিল না। দাদার সঙ্গে মজার খেলা খেলতে খেলতে ১০ বার মা হয়েছে।সে আজকের দিন জন্মালে দুইটার বেশি বাবু নিতই না।রানবীর : আচ্ছা, আমরা জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য কী ব্যবহার করব?মীম : ছিঃ। এসব কথা বিয়ের পর বলবা, এখন এসব বললে একদম নাক ভেঙে দিব।রানবীর : তাই, আমার নাক ভেঙে দিলে আমি তোমার শরীরের ঘ্রাণ নিব কী করে?মীম : হয়েছে হয়েছে, আর ঢং করতে হবে না। সারা দিন বলে আমি ঢং করি, অথচ নিজে ঢং করার বেলায় কম যায় না। আমি এখন ঘুমাব।রানবীর : একা একা ঘুমাতে ইচ্ছা করে না আর।মীম : আবার শুরু করছ? চুপচাপ ঘুমাও। আমি রাখলাম।ফোনটা সত্যি সত্যি রেখে দিল মীম। কিন্তু মীম জানে, রানবীরের ঘুম আসবে না। প্রতি রাতে মোবাইলে চুমু না দিলে এই বদ ছেলেটার ঘুম আসে না। তাই কিছুক্ষণ পর আবার কল দিল মীম। রিংটা না হতেই ওপাশ থেকে—রানবীর : হ্যালো মীম, বেবি, আই মিস ইউ।মীম : শুনো, আমি পুয়ারা করতে ফোন দেই নাই। তোমার ঘুমের ওষুধটা নাও, আর ঘুমাও। মুউউউয়া। বাই, গুড নাইট।ফোন কেটে দিল মীম। এবার পাগলটা ঘুমাবে। সকালে দিব্যি বিছানায় পড়ে থাকবে, যতক্ষণ না মীম কল করে জাগাবে। সকালে ক্লাস আছে, এই ভাবতেই ঘুমে চোখ ছোট হয়ে এলো।ওয়াশরুম থেকে এসেই লাইফ করে ঘুমিয়ে পড়ল। মোবাইলের লাইটটা জ্বলে উঠল। মীম বুঝতে পারছে পাগলটা গুড নাইট আর আই লাভ ইউ লিখে টেক্সট করেছে। এটা পাগলটার অভ্যাস। রিপ্লাই না দিয়েই ঘুমিয়ে পড়ল মীম।মীম আর রানবীর একে অন্যের কাজিন। তাদের বাবারা দুজন আপন ভাই। কিন্তু ভাই হলেও দুজনের মধ্যে সম্পর্ক খুবই খারাপ। অথচ মীম আর রানবীর কাউকে ছাড়া কেউ বাঁচতে পারবে না হয়তো। তাদের প্রেমটা শুরু হয় দুজনের বন্ধুত্ব থেকেই। পরিবারের দূরত্বটা কমাতেই মূলত তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করা শুরু হয়। একপর্যায়ে নিজেদের মধ্যে অনেক বোঝাপড়া হয়ে যায় এবং মনের অনেক মিল থেকেই তারা নিজেদের প্রতি দুর্বলতা অনুভব করে। একদিন মীমকে ফেসবুকেই অফার করে রানবীর। মীম প্রথমে রাজি হয়নি। কিন্তু রানবীরের রিজেক্ট হওয়া চেহারা মীম মানতে পারেনি। শেভ না করে করে মুখভর্তি দাড়ি, চুল না কেটে কেমন জানি এবড়োখেবড়ো চেহারা বানিয়ে ফেলেছে। ভার্সিটি পর্যন্ত মিস করা শুরু করে দিয়েছে। যেখানে দুই পরিবারের সম্পর্ক ভালো করার মিশনে নামছে মীম, সেখানে তাদের দুজনের সম্পর্কই খারাপ হয়ে যাচ্ছে দেখে মীম সাড়া দিল। এক দিনে অমানুষ থেকে মানুষ বানিয়ে, কাজিন থেকে বয়ফ্রেন্ড বানিয়ে রানবীরকে নিজের করে নিল মীম।কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে, মীমের মনে ততই ভয় জন্মাচ্ছে; কেননা তার বিয়ের জন্য বাসায় কথাবার্তা চলছে। অন্যদিকে মীম আর রানবীর এখনো চুটিয়ে প্রেম করে যাচ্ছে, যেখানে বিয়ে নিয়ে তাদের কোনো প্ল্যান নেই। কিন্তু মীম আজকাল রানবীরকে বিয়ের ব্যাপারে দুই পরিবারকে রাজি করানোর জন্য খুব প্রেসার দিচ্ছে। রানবীর যেহেতু এখনো ছাত্র, তাই বিয়ে করার মতো সামর্থ্য তার নেই বলে সে কোনো উত্তর দিতে পারছে না।
এ কারণে মীম অনেক রাগ হয়ে থাকে রানবীরের ওপর। কিন্তু রানবীর মীমকে সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না।অতঃপর একদিন মীমকে দেখার জন্য বাসায় ছেলেপক্ষের লোক এলো। রানবীর মীমের হবু বরের সামনে সোফায় বসে বারবার ছেলেটার দিকে তাকিয়ে দেখছে আর মীম আসার জন্য অপেক্ষা করছে। বাসার যেহেতু কেউই রানবীর-মীমের সম্পর্ক নিয়ে কিছু জানে না, তাই মীমকে দেখতে আসার অনুষ্ঠানে রানবীরের উপস্থিতি কারো চোখে কোনো সমস্যা না।
কিন্তু রানবীর কেবল মীমকে একনজর দেখার জন্যই বেহায়ার মতো চলে আসছে। তা ছাড়া গত এক সপ্তাহে মীমকে দেখতে আসবে বলে মীম রাগ করে রানবীরের সামনে আসেনি।
রানবীরও ‘কাপুরুষ’ শব্দটা মীমের কাছ থেকে ভালোভাবে নিতে পারেনি, তাই রানবীরও রাগ করে দেখা করেনি। কিন্তু আজ আর মন মানছে না।লাল শাড়ির পরিবর্তে হলুদ একটা শাড়ি পরে মীম সবার সামনে এসেছে। মীমকে বসতে দিয়ে নিজের আসন ছেড়ে হবু বরের পেছনে দেয়ালের পাশে গিয়ে দাঁড়াল। মীম এতক্ষণে বুঝতে পারছে, রানবীর তাকে দেখতে আসছে। মীমকে যতবারই মাথা তুলে মুখটা দেখাতে বলছে তার হবু শাশুড়ি, মীম ততবারই রানবীরকে দেখতে পাচ্ছে। আর বুঝতে পারছে রানবীরের চোখে জল জমে আছে, শুধু চোখের পাতাটা নামালেই জল নেমে আসবে গালে।মীমের গাল বেয়ে এবার চোখের পানি পড়ছে, এটা দেখে অনেকেই অবাক হলো। মীমের হবু শ্বশুর তো বলেই ফেলল— ‘মা, আজ তো আমরা কেবল দেখতে আসলাম, তুমি কাঁদছ কেন?’উত্তর না দিয়েই সবাইকে অবাক করে দিয়ে মীম বসা থেকে উঠে দাঁড়াল এবং হবু বরের পেছনে দেয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়ানো রানবীরের মুখোমুখি হয়ে দাঁড়াল। মীমের এমন কাণ্ড দেখে রানবীর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সবার দিকে একবার তাকিয়ে মীমের দিকে তাকাল। সবাই হিন্দি সিরিয়ালের মতো এক এক করে ঘাড় ঘুরিয়ে তাদের দুজনের দিকে তাকাল। মীমও মনে হয় সবাই তাকানোর জন্য অপেক্ষা করছিল। সবাই যখন এক দৃষ্টিতে তাদের # #

7 C ·Traduzir

করলা চাষের জন্য প্রথমে উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে, যেখানে পর্যাপ্ত সূর্যালোক ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে। এরপর, দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি নির্বাচন করে ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে জমি প্রস্তুত করতে হবে। বীজ বপনের আগে ১৫-২০ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে নিলে ভালো হয়। বীজ ২-৩ সেমি গভীরে রোপণ করতে হবে এবং প্রতি মাদায় ২টি করে বীজ লাগাতে হবে। চারা গজানোর পর সুস্থ সবল চারা রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে। সার ব্যবস্থাপনার জন্য জৈব সার ব্যবহার করা উত্তম, সেই সাথে UREA, TSP, MP সারও ব্যবহার করা যায়। সময়মতো সেচ ও প্রয়োজনীয় বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
জমি নির্বাচন ও তৈরি:
করলা চাষের জন্য এমন স্থান নির্বাচন করুন যেখানে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পায় এবং বৃষ্টির পানি জমে না।
দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি করলার জন্য উপযোগী।
জমিতে ভালভাবে চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে।
বসতবাড়িতে চাষের জন্য বেড়া বা মাচা তৈরি করে নিতে পারেন।
বীজ বপন:
বীজ বপনের আগে ১৫-২০ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে নিলে অঙ্কুরোদগম ভালো হয়।
২-৩ সেমি গভীরে প্রতি মাদায় ২টি করে বীজ বপন করুন।
চারা গজানোর ৭ দিন পর একটি সুস্থ চারা রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলুন।
সার ব্যবস্থাপনা:
জমি তৈরির সময় জৈব সার (যেমন গোবর সার) ব্যবহার করুন।
চারা রোপণের ১০-১৫ দিন পর ১ম বার ইউরিয়া ও পটাশ সার প্রয়োগ করুন।
পরবর্তীতে সার প্রয়োগের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুসরণ করুন।
ফসলের চাহিদা অনুযায়ী অন্যান্য সারও প্রয়োগ করতে পারেন।
সেচ ও পরিচর্যা:
মাটি ও আবহাওয়া অনুযায়ী সেচ দিন।
জমিতে আগাছা পরিষ্কার করুন।
রোগ ও পোকা দমনের জন্য প্রয়োজনীয় বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
ফল ধরা শুরু হলে নিয়মিত সংগ্রহ করুন।
অন্যান্য বিষয়:
উচ্চ ফলনশীল জাতের (যেমন বারি করলা-১, হাইব্রিড করলা) বীজ ব্যবহার করুন।
পরাগায়নের জন্য মাঝে মাঝে কিছু ফুল তুলে দিতে পারেন।
বৃষ্টির সময় অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন।

image
7 C ·Traduzir

আনারকলি বা প্যাশন ফল বাংলাদেশে এটি একটি অপ্রচলিত বা স্বল্প পরিচিত ফল। প্যাশন ফল বহুবর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। অনেকের কাছে এটি ট্যাং ফল নামে পরিচিত। এটি Passifloraceae গোত্রের ফল যার ইংরেজি নাম Passion fruit এবং বৈজ্ঞানিক নাম Passiflora edulis।

প্যাশন ফল দুই ধরনের। পার্পল প্যাশন ফল (Passiflora edulis) ও হলুদ প্যাশন ফল (Passiflora edulis var flavicarpa) পার্পল প্যাশন ফল থেকে প্রাকৃতিক মিউটেশনের মাধ্যমে হলুদ প্যাশন ফল উৎপত্তি হয়েছে, যা আকারে ও গুণাগুণে মাতৃ পার্পল প্যাশন ফল থেকে উন্নত।

পাঁচ পাপড়িসমৃদ্ধ প্যাশন ফলের ফুল অত্যন্ত আকর্ষণীয়, মনোমুগ্ধকর, দৃষ্টিনন্দন ও সুগন্ধিযুক্ত। দেখতে অনেকটা ঝুমকোলতার ফুলের মতো। ফুলপ্রেমী একজন মানুষ এ ফুলকে দেখে হাত দিয়ে স্পর্শ না করে বা তার গন্ধ না নিলে যেন তার তৃপ্তিই মেটে না।

প্যাশন ফলের বীজকে আবৃত করে থাকা হলুদ, জিলাটিনাস, সুগন্ধিযুক্ত পাল্পকে পানিতে দ্রবীভূত করে খুবই উপাদেয় শরবত প্রস্তুত করা যায়। এটিকে অন্যান্য জুসের সঙ্গেও মিশ্রিত করে খাওয়া যায়। পাল্পকে প্রক্রিয়াজাতকরণ করে আইসক্রিম, জুস, স্কোয়াশ, জ্যাম ও জেলি তৈরি করা যায়। ফ্রেশ ফল হিসেবেও খাওয়া যায়।

বীজ ও খোসা থেকে পেকটিন ও উচ্চমাত্রায় লিনোলিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ তেল আহরণ করা সম্ভব। ফলের আকার দৈর্ঘ্যে ৪ থেকে ৭ সেন্টিমিটার ও প্রস্থে ৪ থেকে ৬ সেন্টিমিটার। পাল্প ও জুসের রং হলুদ এবং টিএসএস ১০-১৪%।

ট্যাং চাষে কোনো সার, সেচ, কীটনাশক এমনকি পরিচর্যারও প্রয়োজন হয় না। শুধু শিম বা লাউ-কুমড়া গাছের মতো মাটিতে চারা লাগানোর পর তা বড় হলে বাঁশের মাচায় অথবা বড় গাছে উঠিয়ে দিলেই হয়।

তিনি বলেন, বাজারে প্রচলিত কেমিক্যালমিশ্রিত শরবতের চেয়ে প্যাশন বা ট্যাং ফল দিয়ে তৈরি শরবত অনেক বেশি সুস্বাদু ও প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন।

7 C ·Traduzir

আমি পদ্মজা - ১


টিন দেয়ালের কাঠের ঘড়ির কাঁটায় সকাল দশটা বাজল মাত্র। এখনো পদ্মজা উঠল না। হেমলতা মেয়েদের রুমে ঢুকেন। পদ্মজা দু'হাত ভাঁজ করে ঘুমাচ্ছে। জানালার পর্দা ভেদ করে আসা আলতো পেলব রোদ্দুরের স্পর্শে পদ্মজার মসৃণ, পাতলা ঠোঁট, ফর্সা ত্বক চিকচিক করছে। হেমলতা বিসমিল্লাহ বলে,তিনবার ফুঁ দেন মেয়ের শরীরে। গুরুজনরা বলেন, মায়ের নজর লাগে বেশি। নজর কাটাতে বিসমিল্লাহ বলে ফুঁ দিতে হয়। হেমলতার মায়া লাগছে পদ্মজার ঘুম ভাঙ্গাতে। তবুও আদুরে গলায় ডাকলেন, 'পদ্ম। এই পদ্ম...'

পদ্মজা চোখ খুলে মাকে দেখে দ্রুত উঠে বসে। যেদিন ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয় সেদিনই হেমলতা ডেকে তুলেন। পদ্মজা অপরাধী কণ্ঠে প্রশ্ন করল, 'বেশি দেরি হয়ে গেছে আম্মা?'
'সমস্যা নেই। মুখ ধুয়ে খেতে আয়।'

8 C ·Traduzir

Sir: Hridoy, কালকের পরীক্ষার জন্য কি পড়াশোনা শেষ করেছ?

Hridoy: স্যার, পড়াশোনা করব তো, কিন্তু রাত তো অনেক ছোট!

Sir: রাত ছোট হলে কি হবে? সময়টা কাজে লাগাতে হবে!

Hridoy: স্যার, রাত ছোট মানে ঘুম কম, আর ঘুম কম মানে মাথা কাজ কম!

Sir: (চোখ কপালে) ঘুম কম হলেও পড়াশোনা করতে হবে!

Hridoy: স্যার, পড়াশোনা করলেও তো মন মনেই ঘুমাচ্ছে!

Sir: মন ঘুমালে বই খুললে ঘুম ভাঙে!

Hridoy: স্যার, বই খুললেই চোখ শুকিয়ে যায়, সেটা ভালো না!

Sir: ভালো না হলে কী করবি?

Hridoy: স্যার, আমি তো ভেবেছিলাম কাল সকালে পড়ব!

Sir: সকালে পড়লে সময় কম, আর পরীক্ষা হয় আগে!

Hridoy: স্যার, তাহলে কি আমি বইয়ে চোখ বুলিয়ে ঘুমাবো?

Sir: (হাসি ধরে) ঘুমিয়ে পড়লে কি পরীক্ষায় পাশ করবে?

Hridoy: স্যার, পাশ না হলে তো আপনাকে হাসি দেখাবো!

8 C ·Traduzir

Hridoy – গাড়ি চালানো শেখার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু কনফিউজড

Sir – গাড়ি চালানোর গুরু, খুবই সন্ত্রস্ত Hridoy’র আচরণ দেখে



---

[ঘটনাস্থল: গ্রামীণ রোডে, Hridoy প্রথমবার গাড়ি চালানোর চেষ্টা করছে, Sir সাথে]

Sir: Hridoy, গাড়ির হুইলটা ভালো করে ধরিস।

Hridoy: (হাত দিচ্ছে, কিন্তু এক হাতে) স্যার, আমি এক হাতে ধরলে কেমন হয়?

Sir: এক হাতে চালালে গাড়ি বাঁকাতে সমস্যা হয়!

Hridoy: (হাসি দিয়ে) আমি তো বাঁকাতে না, সোজা গিয়ে দাঁড়াবো।

Sir: গাড়ি সোজা গেলে তো বিপদ! তুমি সিগন্যাল দাও, মোড় থেকে বাঁকাও।

Hridoy: সিগন্যাল দিতে গেলে হাত অন্য হাতে বদলাতে হবে, ঝামেলা!

Sir: ঝামেলা নয়, প্রয়োজনীয়তা!

Hridoy: স্যার, গাড়ির ব্রেক কেমন?

Sir: পায়ের তলায় প্যাড, চাপলেই গাড়ি থামবে।

Hridoy: (পা একদম নিচে নামাচ্ছে না) আমি তো পা দিয়ে হেলিকপ্টার চালাই নাই, ব্রেক মানেই কি থামানো?

Sir: হ্যাঁ, ব্রেক দিয়ে গাড়ি থামানো হয়!

Hridoy: আমি তো থামলে গা ভাঙবো, তাই ভয়ে থামি না।

Sir: (চোখ কপালে) ভয়ে গা ভাঙলে গাড়ি ছাড়াও সমস্যা!

Hridoy: গাড়ি ছাড়াও সমস্যা, তাই চলি সিগন্যাল দিয়ে ঘোরাঘুরি করি।

Sir: (চিৎকার) চলবে না! আজ থেকে গাড়ি চালানো শিখতে হবে, না হলে সবাই হাসবে!

Hridoy: স্যার, হাসলে তো মজাই!

8 C ·Traduzir

Sir: (ক্লাসে ঢুকে) আজকে আমরা Newton’r Laws নিয়ে আলোচনা করব। কেউ কেউ তো মনে হয় কিছু বোঝেনা, তাই না Hridoy?

Hridoy: (হালকা হাসি দিয়ে) স্যার, আমি তো মনে করি Newton কোনো Laws না, Newton তো Laws-এর বস!

Sir: (গম্ভীর হয়ে) বস নয়, তুমি বসে থাকো! ক্লাসে মন দাও!

Hridoy: (চোখ মুছে) স্যার, আমি তো ঠিকমত শুনতেছি... একটু ঘুম এসেছিল মাথায় একটু refresh দিতে।

Sir: (তিন বার থাপ্পড় দিয়ে) ঘুম আসছে মানে পড়াশোনা বাদ দাও?

Hridoy: না না, স্যার, ঘুম মানে মগজের RAM upgrade!

Sir: (হাত মুখে দিয়ে) ওই RAM upgrade হয়ে কি তোর সব subject upgrade হবে?

Hridoy: স্যার, আপগ্রেড হলে তো তোর lesson পারবো!

Sir: (চোখ চিমটি দিয়ে) এখন তুই যে ঘুমাচ্ছিস, এটা কী ধরনের আপগ্রেড?

Hridoy: স্যার, এটা অটো সেভিং মোড।

Sir: (গম্ভীর সুরে) এবার যদি আমি তোর উপর ক্লাসে টিফিন না দিলাম?

Hridoy: স্যার, টিফিন না দিলেও আমি Data চালাতে পারি!

Sir: Data চালানোর আগে তো পড়াশোনা চালাস!

Hridoy: স্যার, পড়াশোনা তো Data র মত, ছোট ছোট ফাইল একদিনে download হয় না।

Sir: তোর download speed আজকের পরীক্ষায় কেমন?

Hridoy: স্যার, পরীক্ষার আগে upload করার মত কথা নাই।

Sir: (চিৎকার) হ্যাঁ! ক্লাসে গুম গুম করিস, আর পরীক্ষায় শুনি zero zero zero!

Hridoy: স্যার, zero zero zero মানে full marks, কারণ zero থেকে start করা সবসময় বেশি ভালো!

Sir: (থাপ্পড় দিয়ে) এখন আর তোর ব্যাখ্যা শুনবো না, ঘুম থেকে উঠে ক্লাস কর!

Hridoy: স্যার, ঘুম থেকে উঠে ক্লাস করব, কিন্তু ঘুম না হলে মাথা ব্যথা!

Sir: (মাথায় হাত দিয়ে) এলো তো, তোর মগজ ঘুমায়, ঘুমে মাথা ব্যথা হয়!

Hridoy: স্যার, মাথা ব্যথা মানে Intelligent pain!

Sir: (হাসতে হাসতে) Intelligent pain মানে... আজ থেকে ক্লাসে ঘুমাতে পারিস, কিন্তু ঘুম থেকে উঠেই বুঝবি আমার প্রশ্ন!

Hridoy: এ কথা শুনে তো আমি এখনই ঘুমাতে চাই, যেন ঘুম থেকে উঠে প্রশ্ন বুঝতে পারি!

ripon92  
8 C ·Traduzir

একটি পুষ্পবাদল সমাচার এসএমএসের মতো, আসছে তোমার পাশে আর বুকে জমে নিয়ে জীবনের সমস্ত সুখ-দুঃখের বাদল।

ripon92  
8 C ·Traduzir

1.আমি তোমার প্রণ আমার সমস্ত ভালোবাসার মেলা, তোমার সাথে বিশ্বাস ভরা হৃদয় আমার সবসময় সাথে।
2.একটি পুষ্পবাদল সমাচার এসএমএসের মতো, আসছে তোমার পাশে আর বুকে জমে নিয়ে জীবনের সমস্ত সুখ-দুঃখের বাদল।
3.ভালোবাসার বন্ধু হওয়া সুখ, ভালোবাসার বন্ধু হওয়া আনন্দ, তোমার বন্ধু হওয়া আমার প্রণ সব সময়।
4.স্বপ্নগুলো সত্যি হয় ভালোবাসায়, চাঁদ উঠে হাসি দিয়ে শুরু করে তোমার দিনটি।
5.ভালোবাসার ছন্দ সুর দিয়ে গুনগুন করে শোন, মন সুখের পাতা ছিঁড়ে দেবে পুষ্পফুলে।

9 C ·Traduzir

বলে,,"কি টেস্ট ভাই বাসায় কাউকে বলো না প্লিজ"।

ইয়াসির মাথা চুলকে বলে,,"আরে না না কাকে বলব,খা তুই"।

হুট করে খাওয়া থামিয়ে ইশা ভ্রুকুচকে ইয়াসিরের দিকে তাকালে ইয়াসিরও ভ্রু নাচিয়ে বলে কি?

ইশা বলে,,"তোমার জামা কাপড় গুলো কি হাল করলাম কিন্তু তুমি না রেগে এত ভালো ট্রিট করছো কেন??"

ইয়াসির হেসে ইশার মাথায় হাত রেখে বলে,,"একটামাত্র বোন তার সাথে রাগ করা যায় নাকি বল?"

ইশাও আর না ভেবে মুচকি হেসে খেতে থাকে। এদিকে ইয়াসিরে পাশ থেকে ফটাফট ইশার কয়েকটা ছবি তুলে বলে,,"রুমে যা, বাইরে কেউ দেখলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।"

ইশাও খুশি মনে রুমে চলে খেতে খেতে একপর্যায়ে দেখতে পায় তেলাপোকার মাথার মতো কিছু একটা, একটুপর ইশা যখন নিচু হয়ে খেয়াল করে দেখে সত্যিই তেলাপোকা। ইশা বিকট চিৎকার দিয়ে উঠে,,,
ইয়াসির ইশার চিৎকার শুনে হেসে উঠে বলে,,"বাহ্ এত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গেল। কি রাক্ষসীরে দুমিনিটেই একদম ফিনিস দিয়ে ফেলেছে।।"

সবাই ইশার রুমের সামনে নক করলে। ইশা ঘাবড়ে গিয়ে দরজা খুলে সামনে ইযানকে দেখে ইযানের হাত ধরে বলে,,"ভাইয়া তেলাপোকা আইসক্রিমে তেলাপোকা বড় তেলাপোকা "

ইযান বলে,,"কিইইই??কোথায়?কিছু হয়নি তোহ্ তোর?"

তখনই ইয়াসির বলে,,,"ইশা তুই লুকিয়ে আইসক্রিম খাচ্ছিলি ডক্তর না তোকে নিষেধ করেছে???"

ইশা রেগে বলে,,"তুমি তোহ্ আইসক্রিম দিয়েছো ভাইয়া?"

ইয়াসির বলে,,"কিহ? কিসব বলছি একটা থাপ্পড় মারবো বেয়াদব মেয়ে আমার কাজ নেই তোকে আইসক্রিম দিবো?"

তখনই ইশার মা ইশার কান টেনে ধরে বলে,,"অসভ্য মেয়ে আমাকে জ্বালিয়ে মারবি নাকি?তুই আইসক্রিম আনলি কেন?দাঁত সবগুলো পড়ে যাক এই নিয়ত করেছিস নাকি?"

তখনই সোহানা বেগম বলে,,"তোমার মাইয়া খালি আমার নাতী ডারে দোষে। যেই আমার নাতী ভুল ডা ধরাইয়া দিছে ওমনি আমার নাতীর ঘাড়ে দোষ দিয়া দিছে, হতচ্ছাড়ি মাইয়া!!"

ইশা ওর মার থেকে কান ছাড়িয়ে বলে,,"খবরদার বুড়ি নাতী নাতী করবা না তোমার নাতী ধোঁয়া তুলসী পাতা নাকি?"

"হ তুলসী পাতাই। কালকার মধ্যে ওরে বিয়া দিবা মোর ফাইনাল ডিসিশন।"

ইয়াসির বলে,,"একদম আমিও সহমত আর দাদীজান চলো তো এই পেত্নীর সাথে কথা বলে তোমার প্রেসার হাই করার কোনো মানে নেই চলো চলো"

ইশা রেগে তাকিয়ে আছে। ইশার তাকানো দেখে ইয়াসির একটা চোখ টিপ মেরে মুচকি হেসে চলে যায়।

ইশা মনে মনে বলে,,"চান্দু তোমারে একবার পাই সদরঘাটের পানিতে চুবাইয়া মারমো শালা বারুদভাইয়ের বাচ্চা। "
এরপর সবার ধমক টমক গিলে ইশা ঘুমাতে যায়।

____________________

এদিকে টানা তিনটা মাস কেটে গেছে। ইয়াসিরের বাসায় আসার আনাগোনা কমে গেছে। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তাকে পাওয়া মুশকিল।এদিকে ইশা দিনে চার পাঁচ বার ইয়াসিরকে ফোন দিলেও সে লাপাত্তা। বেচারী সারাদিনই মনটা খারাপ থাকে। শুধু ইশা না বাড়ির সবাই আজকাল চুপচাপ একঘেয়ে হয়ে পড়েছে ইয়াসিরকে ছাড়া।

রাতে খাওয়ার টেবিলে সবার খাওয়ার মাঝে আয়ান বলে উঠে,,"কালকে ইয়াসির আসবে হয়ত ভোরে।"

ইশা এটা শুনে খুশির ঠেলায় বলে উঠে,,"সত্যি ভাইয়া আসবে??"

খাওয়া মাঝে হুট করে কথা বলায় গলায় খাবার আটকে বেচারী কাশতে লাগে ইযান আর আয়ান পানি খায়িয়ে ঠিক করে।

সারারাত ছটফট করতে থাকে ইশা। ইশা এবার জানিয়েই দিবে ইয়াসিরকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইশা সারারাত কল্পনা করতে থাকে কীভাবে কীভাবে প্রপোজ করবে?ইয়াসির কি আদোও রাজি হবে নাকি থাপ্পড়ে আসমানে পাঠিয়ে দিবে। ভাবনার জল্পনাকল্পনা শেষ করে ভোরের দিকে বেচারী ঘুমায় আর তখনি ইয়াসির আসে। সবাই উঠে এলেও ইশা ঘুমের তোপে জানতেই পারে না ইয়াসির এসেছে। সে ঘুমেই টুইটুম্বুর।
ইয়াসির বাসায় এসে ইশাকে না দেখে বলে,,"পেত্নী টা কি ঘুমাচ্ছে নাকি?"

সোহানা বেগম বলে,,"মাইয়া মানুষ উঠতে হয় ভোরে এই মাইয়া কোনো জাতেরই না এটা নিয়া যে তোমরা কি করবা যাইহোক ইয়াসির আসছে এবার ভালা পাত্র খুঁজো তারপর বিয়া দাও।"

সবাই সোহানা বেগমের কথায় পাত্তা না দিয়ে যে যার মতো কাজে লেগে পড়ে।কারন বাড়ির একটা মেয়েকে কেউই তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে ইচ্ছুক না। ইয়াসির এসেছে একটা ঘনিষ্ঠ ফ্রেন্ডের বিয়েতে এটেন্ড করতে নয়ত তাও তার দেখা মিলতো না৷ এইসব নিয়েই আয়ান আর ইয়াসির কথা বলছিল।

বাহিরে ইয়াসির আসায় একটু শোরগোল হচ্ছিল। ইশাও ঘুমঘুম অবস্থায় উঠে বসে দেখে ৭ টা বাজে। ইশা ঢুলুমুলু পায়ে এগিয়ে যায় আয়ানের রুমের সামনে দাঁড়িয়ে ইয়াসিরকে দেখে চোখমুখ ঢলতে ঢলতে বলে,,"ভাইয়া তুমি এসেছো?"

ইয়াসির আর আয়ান ইশাকে দিকে তাকায়। ইয়াসির খানিকবাদে জোরে চিল্লানি দিয়ে বলে,,"তোর বইন সত্যি পেত্নী প্রমাণ পেলি। আর এই পেত্নী খবরদার কাছে আসবি না সর যা যা শেওড়াগাছে যা।"

ইশা হকচকিয়ে বুঝার চেষ্টা করে ইয়াসির কিসব বলছে। একটু পর যখন সামনের আয়নায় নিজেকে দেখে বুঝতে পারে ওর চুলের অবস্থা দেখে নিজেই একপলক ঘাবরে উঠে দৌড়ে বেরিয়ে যায়। যতই হোক ক্রাশের সামনে এমন অবস্থায় থাকলে এ জন্মে আর প্রেম হবে না তার।

সকাল সকাল নাস্তার সময় ইয়াসির বলে,,,"আজকে বিকেলেই যাবো তোমরা কেউ যাবে?"

ইশা

9 C ·Traduzir

ফেলে আসা দিনের স্মৃতিতে।

কিছুটা পথ পেরিয়ে, অমিত হঠাৎ বলে ওঠে,
"চাচা, সামনে কোনো ভালো রেস্তোরাঁ দেখে দাঁরায়েন তো। রাতের খাবার তো এখনো খাওয়া হয়নি। বাসায় খাবার নিয়ে যাব।"

করিম চাচা একটু থে অবাক হয়ে বলেন,
"খাবার? গারি নিয়ে আসার সময় রফিক ভাই আর ভাবিকে দেখলাম, তোমাদের মহলের দরজা খোলে। ভাই বলল, 'তোমরা আসছো বিধায় ভাবি রান্না করবেন। তাই তিনিও এসেছেন ভাবির সঙ্গে।"

অমিত মুখটা কুঁচকে ফেলে। তীব্র এক অসন্তোষ ঝরে পড়ে তার কণ্ঠে। বল,
"এই মা-ও না! সবকিছুতেই এত বাড়াবাড়ি? রাতের খাবারটা রেস্তোরাঁ থেকে নিয়ে যেতাম। শুধু শুধু এখন ওনাকে কষ্ট করতে হবে।"

পেইজ: Jannat হায়দার।

বাড়ির সদর দরজাটা ধীরে ঠেলে ভেতরে পা রাখে অমিত। তার পেছনে শান্ত অথচ ক্লান্ত পায়ে হেঁটে আসছে আজরিন। ড্রয়িং রুমে বসে টিভিতে খবর দেখছিলেন রফিক মিয়া। কিচেন সুগন্ধে ভাসছে রোকেয়া বেগমের রান্না। অমিত আর আজরিনকে দেখে রফিক মিয়ার মুখে যেন অজান্তেই ফুটে ওঠে এক প্রশান্ত হাসি। উঠে এগিয়ে এসে বলেন,
— অমিত বাবা! তোমরা এসে পরেছ?

অমিত সালাম জানিয়ে বলে,
"কেমন আছেন, চাচা?"
রফিক মিয়া আদরের সুরে বলেন,
"এই তো বাবা, আলহামদুলিল্লাহ ভালো।"
আজরিনের পানে হাত বাড়িয়ে দিয়ে কোমল স্বরে বলে,
"দেও মা, লাগেজটা আমার হাতে দাও।”

অমিতের কণ্ঠ শুনে রোকেয়া বেগম কিচেন থেকে বেরিয়ে আসেন। শরীরের খোঁজখবর, ক্লান্ত ভ্রমণের আলোচনা শেষে অমিত উপরে রুমের পানে পা বাড়ায়। সঙ্গে রফিক মিয়া আজরিনের লাগেজটি হাতে তুলে নেন।

রোকেয়ার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে উপরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায় আজরিনের। পেছনে থেকে রোকেয়া বলেন,
— মা, একটু শরবত বা হালকা কিছু খাবে? কিছু বানিয়ে দিই?
আজরিন থেমে দাঁড়িয়ে মলিন হেসে বলে,
"না চাচি, কিছু লাগবে না। শুধু একটু গরম পানি করুন, আমি ওনার জন্য একটু কফি বানাবো।"

রফিক মিয়া লাগেজ রেখে চলে যান। অমিত ঘরের আলো জ্বালিয়ে ক্লান্ত দেহে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। আজরিন ঘরে ঢুকে অমিতকে উল্টো হয়ে শুয়ে থাকতে দেখে উদ্বিগ্ন স্বরে জিজ্ঞেস করে,
— " আপনার শরীর কি খুব খারাপ লাগছে? মাথা ব্যাথা করছে?"

নিস্তেজ কণ্ঠে অমিত বলে, "না, তেমন কিছু না... দুই-তিন ঘণ্টা ঘুমালেই ঠিক হয়ে যাবে।"

"আপনার জন্য একটু কফি করে আনব?''
অমিত একটু চুপ থেকে ম্লান কণ্ঠে বলে, ''কফি? না... তুমি পারবে না, হাত পুড়িয়ে ফেলবে। দরকার নেই। আমাকে একটু ঘুমাতে দাও..! আর শুনো, তিন-চার ঘণ্টা পর আমাকে ডেকে দিও। স্নান করতে হবে, ফ্রেশ হতে হবে।"

আজরিন আর কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে আসে, রোকেয়াকে গরম পানি করতে না করে। আবার রুমে ফিরে ওয়াশরুমে ঢোকে স্নানের জন্য।

স্নান শেষে আজরিন যখন বের হয়, চোখ পড়ে অমিতের পানে। অমিত যেন ক্লান্তির ভারে গুঁড়িয়ে গেছে, লোফারজোড়াও খুলেনি। আজরিন ধীর পায়ে গিয়ে অমিতের পায়ের পাশে বসে আলতো করে খুলে দেয় সেই লোফারজোড়া।

ঠিক তখনই নিচ থেকে রফিক মিয়ার ডাক আসে। আজরিন নিচে গিয়ে দেখে তারা ফিরে যেতে চায়। রোকেয়া জিজ্ঞেস করেন অমিত ঘুমিয়েছে কি না।
আজরিন বলে, "ঘুমাচ্ছেন।"

আজরিন একা এত বড় বাড়িতে তাকবে বিদায় রোকেয়া ঠিক করে আরেকটু সময় আজরিনের সাথে থাকবে। পরিবারের খোশ-গল্প করে তারা সময় কাটাতে থাকে। তাদের পাশের সোফায় রফিক মিয়া টিভিতে খবর দেখছে। কথা বলতে বলতে রোকেয়া আজরিনকে বলেন,
— "কাল তো তোমরা তোমার বাপের বাড়ি যাবে, না?"
— "হুম, তাই তো জানি।
— অমিতও যাবে?"
— "উনি কিছু বলেননি এখনো।"

এই সময় আজরিনের মোবাইলে জাহানারা বিবির ভিডিও কল আসে। দু'জন মিলে কথা বলে দীর্ঘক্ষণ।

9 C ·Traduzir

#এসেছিল এক বার। এবং সে আরহাম ভাই এর রুমে থাকতে চেয়েছিল।" (আনান)
আরহাম কথাটা শুনে মাথা তুলে তাকায়।
"থাকতে চেয়েছিল কিন্তু থেকেছিল ত না।
তাকে অন্য রুম দেওয়া হয়েছিল।
আসলে আরহামের রুমটা সুন্দর তাই৷ "
(আসরাফ খান)
"সমস্যা নেই দাদা মেয়েটা বেশ ভালো। আবার আরহাম ভাই যখন দেশে ছিল তখনত ওরাও দেশে ছিল। আমাদের বাসায়ত আশা যাওয়া করত। "
"ঠিক আছে সবাই যেহেতু মত দিয়েছো। তাহলে সেটাই থাক। "
ওদের কথোপকথনের মাঝে খান বাড়ির বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল।
গার্ড'স গাড়ির দরজা খুলে দিতে এক লাস্যময়ী নারী বেরিয়ে এলো।
পরনে লাল রঙা একটা টাইট গাউন।
মুখশ্রীতে কৃত্রিম সাজ লেগে আছে। যা তাকে আরও সুন্দর করে তুলেছে।
মেয়েটা মাত্রাতিরিক্ত ফর্সা। তার উপর মেকাপ যেন বেশি বেশি লাগছে। তবে সুন্দরও লাগছে।
মেয়েটা নিজের ব্যাগ পাশে থাকা গার্ডের হাতে দিয়ে ভেতরে চলে আসে।
"আসরাফ আঙ্কেল, মাধবি আন্টি। আপনারা কোথায়?"
মোনার ডাক সার্ভেন্ট তাকে ডাইনিং এড়িয়াতে যেতে বলে।
মোনা সে দিকে চলে যায়।
হৃদি, মোনাকে দেখে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে। ও বাবা কি লম্বা। আবার কি সুন্দর।
প্রেমা হৃদির হাতে কুনুই দিয়ে ধাক্কা দেয়।
হৃদির ধ্যান ফিরে,
"এভাবে থাকিয়ে কি দেখছিস? কালকেটো একটা।
ছোবল মারলে বুঝবি কেমন লাগে। "
হৃদি আসলে মোনাকে চিনে না। মোনার সম্পর্কে তার কোন ধারনা নেই।
তাদের দু'জনের এই প্রথম দেখা হলো।
হৃদি চোখ নামিয়ে নেয়।
মোনা গিয়ে মাধবি বেগমকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে,
"কেমন আছেন আন্টি?
আই মিস উ সো মাচ৷ আপনি জানেন৷ আমেরিকার আকাশে বাতাসে শুরু আপনাদেরকে খুঁজে বেড়িয়েছি আমি। বাই দ্য ওয়ে সবাই কেমন আছো?"
সবাই ভালো আছি বলে সম্মতি দেয়।
মাধবি বেগম হাসলেন,
"খাবার সময় আপন জনই আসে মোনা। এসো বসো।"
"তোমাড আন্টি ঠিকই বলেছে মোনা।
আমাদের সঙ্গে জয়েন করো।"
"হ্যাঁ আঙ্কেল অবশ্যই। "
মোনা মাথা তুলে তাকায়।
"ওটা আরহাম না? "
"হ্যাঁ।"
মোনা এগিয়ে যায়।
আরহামের ঘাড়ে হাত রাখে।
হৃদির এবার অসহ্য লাগতে লাগল।
আরিস তাকিয়ে আছে। খাওয়া থেকে সামনের ড্রামাটা বেশি এনজয়এবল।
আরহাম মোনার দিকে তাকায়।
তার খুবই স্ট্রং একটা ডার্ক এনার্জি অনুভব হচ্ছে এই মুহুর্তে।
আরহামের চোখে চোখ পড়তে মোনা, আরহামের পাশে একটা চেয়ার খালি ছিল সেখানে বসে পড়ে,
"আমার কথা ভুলে গেলে? বিদেশে যাওয়ার আগে কত দুষ্টুমি করতে ছোট থাকতে।। ভুলে গেলে সব দুষ্টু।"
আরহাম নিজের গাড়ের দিকে তাকায়।।
ওর দৃষ্টি দেখে মোনা কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। নিজের হাতটা সরিয়ে নেয়।
"তুমি অনেক হ্যান্ডসাম হয়ে গেছো আরহাম।
অনেক বেশি হ্যান্ডসাম। "
আরহাম চোখ ঘুরায়।।
হৃদি তাকিয়ে আছে মোনার দিকে।। কি বেহায়া।
গায়ে পড়া মেয়ে।
হৃদি নিজের খাওয়ার দিকে মন দেয়।
এমন সময় হৃদি অনুভব করে তার পায়ের উপর একটা হাত।
হৃদি নিচে তাকায়।
কোন হাত নেই। তার এক পাশে আরহাম অন্য পাশে প্রেমা।
ওরাত খাচ্ছে।
হৃদি তাকিয়েই আছে। তার তখনো মনে হচ্ছে কেউ তার উরুতে হাত রেখেছে।
তবে নড়াচড়া হচ্ছে না।
হৃদি ভাবে তার মনের ভুল।
সে পুনরায় খাবার লোকমা মুখে তুলতে হাতটা তার উরুতে বিচরণ করা শুরু করে।
হৃদির খাবার গলায় আঁটকে যায়।। নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।। সামনে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।
কেউই নেই। তাহলে কি হচ্ছে তার সাথে। কেন হচ্ছে।
হৃদি বাম হাত উরুতে রাখে।
সে স্পষ্ট অনুভব করছে কারোর হাত৷
হৃদি এবার আরহামের দিকে তাকায়।
আরহাম তার মত মত খাচ্ছে।
মোনা কথা বলছে তার হু হা জবাবা দিচ্ছে।
মাধবি বেগম হৃদির সামনা সামনি বসে আছে।
হৃদিকে খাওয়া বন্ধ করতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন,
"কি ব্যাপার। খাচ্ছিস না কেন হৃদ?"
"খ খাচ্ছি।
আ আসলে আমার খাওয়া হয়ে গেছে। আর খেতে মন চাইছে না৷ ".
তখনি হৃদির উরুতে যন্ত্রণা শুরু হয়৷ হাতটা তাকে শক্ত করে চেপে ধরেছে।
হৃদি ভয়ে উঠে দাড়ায়।
" পরে খাব আবার।"
হৃদি দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়।
আরহামের আভা ঘন অন্ধকার।
মোনা আরহামের দিকে তাকিয়ে বাকা হাসে।
"তাহলে এটাই তোমার পদ্মা৷ তোমার হৃদয়ের মধ্যমনি।"
মনে মনে কথাটা বলে মোনা।
আরহাম নিজের খাবারের শেষ লোকমা মুখে নিয়ে উঠে যায় সেখান থেকে।
"আরহাম। "
বাবার ডাকে আরহাম থেমে যায়।
"বলো।"
"আমি চাই তুমি মোনাকে একটু সময় দেও।"
"আমার কাছে অনেক কাজ আছে। সমনের ইভেন্টও আমার দায়িত্ব।
তুমি এই মুহুর্তে এমন সিলি প্রস্তাব কিভাবে দিতে পারো?"
"আমি তোমাকে সাহায্য করব।"
"সরি বাবা৷ আমাকে সাহায্য করাটা বাদ দিয়ে মোনাকে তুমি সময় দিও।"
কথাটা বলে আরহাম চলে যায় নিজের রুমে।
আরিস, বরাবরই আরহামের উপর ক্রাশ খায়।
কি অদ্ভুত সুন্দর করে কথা গুলো গুছিয়ে বলতে পারে।
একটা আলাদা প্রভাব আছে আরহামের কথায়।। প্রতিটা কথার ন্যায্য অর্থ আছে।। প্রতিটা কথার ভার একেব

9 C ·Traduzir

#
হান্নান খান এক বার আরহামের দিকে তাকায়।
ছেলেটা যেমন করে খাচ্ছিল তেমন করেই খাচ্ছে। এ সংবাদ শুনে তার কোন পরিবর্তন হলো না।
"কিন্তু আসরাফ এ বিষয়ে মেয়েটা আসার আগেই কথা গুলো বলাটা কেমন হয়ে গেল না? আগেও বলা যেত। "
কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলল হান্নান খান কথাটা।
আনিসুর খান বাকা হাসেন। কারণ তিনি জানে মোনাকে কেন এ বাড়িতে নিয়ে আসছে আসরাফ খান।
"বাবা আমার মনে হয়। মোনার বাবা আমাদের যথেষ্ট সাহায্য করে। তাকে এ বাড়িতে কিছুদিন থাকতে দিলে সমস্যা হবে না৷ "
"সমস্যার কথা আমি বলিনি। মোনার সাথে সবাই কম্ফোর্ট অনুভব করবে কিনা৷ সেটাই আমার প্রশ্ন। "
"দাদা মোনা ওই মেয়েটা না। ওই যে ২ বছর আগে যে এসেছিল এক বার। এবং সে আরহাম ভাই এর রুমে থাকতে চেয়েছিল।" (আনান)
আরহাম কথাটা শুনে মাথা তুলে তাকায়।
" দেশে ছিল। আমাদের বাসায়ত আশা যাওয়া করত। "
"ঠিক আছে সবাই যেহেতু মত দিয়েছো। তাহলে সেটাই থাক। "
ওদের কথোপকথনের মাঝে খান বাড়ির বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল।
গার্ড'স গাড়ির দরজা খুলে দিতে এক লাস্যময়ী নারী বেরিয়ে এলো।
পরনে লাল রঙা একটা টাইট গাউন।
মুখশ্রীতে কৃত্রিম সাজ লেগে আছে। যা তাকে আরও সুন্দর করে তুলেছে।
মেয়েটা মাত্রাতিরিক্ত ফর্সা। তার উপর মেকাপ যেন বেশি বেশি লাগছে। তবে সুন্দরও লাগছে।
মেয়েটা নিজের ব্যাগ পাশে থাকা গার্ডের হাতে দিয়ে ভেতরে চলে আসে।
"আসরাফ আঙ্কেল, মাধবি আন্টি। আপনারা কোথায়?"
মোনার ডাক সার্ভেন্ট তাকে ডাইনিং এড়িয়াতে যেতে বলে।
মোনা সে দিকে চলে যায়।
হৃদি, মোনাকে দেখে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে। ও বাবা কি লম্বা। আবার কি সুন্দর।
প্রেমা হৃদির হাতে কুনুই দিয়ে ধাক্কা দেয়।
হৃদির ধ্যান ফিরে,
"এভাবে থাকিয়ে কি দেখছিস? কালকেটো একটা।
ছোবল মারলে বুঝবি কেমন লাগে। "
হৃদি আসলে মোনাকে চিনে না। মোনার সম্পর্কে তার কোন ধারনা নেই।
তাদের দু'জনের এই প্রথম দেখা হলো।
হৃদি চোখ নামিয়ে নেয়।
মোনা গিয়ে মাধবি বেগমকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে,
"কেমন আছেন আন্টি?
আই মিস উ সো মাচ৷ আপনি জানেন৷ আমেরিকার আকাশে বাতাসে শুরু আপনাদেরকে খুঁজে বেড়িয়েছি আমি। বাই দ্য ওয়ে সবাই কেমন আছো?"
সবাই ভালো আছি বলে সম্মতি দেয়।
মাধবি বেগম হাসলেন,
"খাবার সময় আপন জনই আসে মোনা। এসো বসো।"
"তোমাড আন্টি ঠিকই বলেছে মোনা।
আমাদের সঙ্গে জয়েন করো।"
"হ্যাঁ আঙ্কেল অবশ্যই। "
মোনা মাথা তুলে তাকায়।
"ওটা আরহাম না? "
"হ্যাঁ।"
মোনা এগিয়ে যায়।
আরহামের ঘাড়ে হাত রাখে।
হৃদির এবার অসহ্য লাগতে লাগল।
আরিস তাকিয়ে আছে। খাওয়া থেকে সামনের ড্রামাটা বেশি এনজয়এবল।
আরহাম মোনার দিকে তাকায়।
তার খুবই স্ট্রং একটা ডার্ক এনার্জি অনুভব হচ্ছে এই মুহুর্তে।
আরহামের চোখে চোখ পড়তে মোনা, আরহামের পাশে একটা চেয়ার খালি ছিল সেখানে বসে পড়ে,
"আমার কথা ভুলে গেলে? বিদেশে যাওয়ার আগে কত দুষ্টুমি করতে ছোট থাকতে।। ভুলে গেলে সব দুষ্টু।"
আরহাম নিজের গাড়ের দিকে তাকায়।।
ওর দৃষ্টি দেখে মোনা কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। নিজের হাতটা সরিয়ে নেয়।
"তুমি অনেক হ্যান্ডসাম হয়ে গেছো আরহাম।
অনেক বেশি হ্যান্ডসাম। "
আরহাম চোখ ঘুরায়।।
হৃদি তাকিয়ে আছে মোনার দিকে।। কি বেহায়া।
গায়ে পড়া মেয়ে।
হৃদি নিজের খাওয়ার দিকে মন দেয়।
এমন সময় হৃদি অনুভব করে তার পায়ের উপর একটা হাত।
হৃদি নিচে তাকায়।
কোন হাত নেই। তার এক পাশে আরহাম অন্য পাশে প্রেমা।
ওরাত খাচ্ছে।
হৃদি তাকিয়েই আছে। তার তখনো মনে হচ্ছে কেউ তার উরুতে হাত রেখেছে।
তবে নড়াচড়া হচ্ছে না।
হৃদি ভাবে তার মনের ভুল।
সে পুনরায় খাবার লোকমা মুখে তুলতে হাতটা তার উরুতে বিচরণ করা শুরু করে।
হৃদির খাবার গলায় আঁটকে যায়।। নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।। সামনে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।
কেউই নেই। তাহলে কি হচ্ছে তার সাথে। কেন হচ্ছে।
হৃদি বাম হাত উরুতে রাখে।
সে স্পষ্ট অনুভব করছে কারোর হাত৷
হৃদি এবার আরহামের দিকে তাকায়।
আরহাম তার মত মত খাচ্ছে।
মোনা কথা বলছে তার হু হা জবাবা দিচ্ছে।
মাধবি বেগম হৃদির সামনা সামনি বসে আছে।
হৃদিকে খাওয়া বন্ধ করতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন,
"কি ব্যাপার। খাচ্ছিস না কেন হৃদ?"
"খ খাচ্ছি।
আ আসলে আমার খাওয়া হয়ে গেছে। আর খেতে মন চাইছে না৷ ".
তখনি হৃদির উরুতে যন্ত্রণা শুরু হয়৷ হাতটা তাকে শক্ত করে চেপে ধরেছে।
হৃদি ভয়ে উঠে দাড়ায়।
" পরে খাব আবার।"
হৃদি দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়।
আরহামের আভা ঘন অন্ধকার।
মোনা আরহামের দিকে তাকিয়ে বাকা হাসে।
"তাহলে এটাই তোমার পদ্মা৷ তোমার হৃদয়ের মধ্যমনি।"
মনে মনে কথাটা বলে মোনা।
আরহাম নিজের খাবারের শেষ লোকমা মুখে নিয়ে উঠে যায় সেখান থেকে।
"আরহাম। "
বাবার ডাকে আরহাম থেমে যায়।
"বলো।"
"আমি চাই তুমি মোনাকে একটু সময় দেও।"
"আমার কাছে অনেক কাজ আছে। সমনের ইভেন্টও আমার দায়িত্ব।
তুমি এই মুহুর্তে এমন সিলি প্রস্তাব কিভাবে দিতে পারো?"
"আমি তোমাকে সাহায্য করব।"
"সরি বাবা৷ আমাকে সাহায্য করাটা বাদ দিয়ে মোনাকে তুমি সময় দিও।"
কথাটা বলে আরহাম চলে যায় নিজের রুমে।
আরিস, বরাবরই আরহামের উপর ক্রাশ খায়।
কি অদ্ভুত সুন্দর করে কথা গুলো গুছিয়ে বলতে পারে।
একটা আলাদা প্রভাব আছে আরহামের কথায়।। প্রতিটা কথার ন্যায্য অর্থ আছে।। প্রতিটা কথার ভার একেব